ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় দিনাজপুরের হিলি বন্দরবাজার দখল করে নিয়েছে দেশি পেঁয়াজ। পাইকারি বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ২৮ টাকা কেজি দরে। দেশি পেঁয়াজের দামও কম এবং আমদানি পর্যাপ্ত থাকায় হারিয়ে গেছে ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা। সোমবার (৬ জুন) হিলি পেঁয়াজ বাজার ঘুরে দেখা যায়, যেসব পাইকারি পেঁয়াজের আড়ৎগুলো ছিলো ভারতীয় পেঁয়াজের দখলে। ঐসব আড়ৎগুলো দেশিও পেঁয়াজ দখল করে নিয়েছে। আবার প্রতিটি খুচরা দোকানেও রয়েছে এসব দেশি পেঁয়াজ। পাইকারি ব্যবসায়ীরা এসব পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ২৮ টাকা কেজি দরে। তা আবার খুচরা বিক্রেতারা বিক্রি করছেন ৩০ টাকা কেজি দরে। বর্তমান ভারতীয় কোন পেঁয়াজের চাহিদা নেই ক্রেতাদের মাঝে। কেন না দেশি পেঁয়াজের গুনাগত মান ভাল এবং দামটাও নাগালের মধ্যে। হিলি বাজারে সবজি কিনতে আসা লুৎফর রহমান বলেন, কয়েক দিন আগে ভারতের পেঁয়াজ নিয়েছিলাম ৩০ টাকা কেজি দরে। আজ পেঁয়াজ নিতে এসে দেখি ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে নেই। সব দোকানে রয়েছে দেশি পেঁয়াজ। তবে দামটা একি রকম, দাম যদি একি হয় তাহলে ভারতীয় পেঁয়াজের কোনই দরকার নেই। হিলি বাজারে সবজি বিক্রেতা আব্দুল লতিফ বলেন, কয়েকদিন থেকে ভারতের পেঁয়াজ আর পাওয়া যাচ্ছে না। দেশি পেঁয়াজের দামও কম আছে তাই লোকজন দেশি পেঁয়াজি বেশি কিনছেন। পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী ফেরদৌস রহমান বলেন, আজ দুইদিন থেকে ভারতীয় পেঁয়াজ শেষ হয়ে গিয়েছে। দেশের বিভিন্ন মোকাম থেকে দেশি পেঁয়াজ পর্যাপ্ত আমদানি হচ্ছে। দামও স্বাভাবিক, তাই ক্রেতাদের তা কিনতে মাথা ব্যাথা নেই। ২৮ টাকা কেজি দরে পাইকারি দিচ্ছি। হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানি কারকরা বলেন, গত ঈদের পর থেকে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। ঈদের আগে এবন্দরে পর্যাপ্ত পেঁয়াজের আমদানি হয়েছিলো। সেই সব পেঁয়াজ এতোদিন নাগাদ বিক্রি করেছে। পেঁয়াজের ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) বন্ধ আছে। যদি সরকার পেঁয়াজের পারমিট আবার দেয় তাহলে আমরা আবার ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করবো। তাতে পেঁয়াজের দাম আরও কমে যাবে।