সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্মরত সহকারি শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়ন ও শতভাগ পদোন্নতির দাবিতে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪ টার দিকে উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। জানা গেছে, উপজেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অধিকাংশ সহকারী শিক্ষকরা দুপুরের পর পাঠদান না করিয়ে দূর-দূরান্ত থেকে এ মানববন্ধনে অংশ নিতে অনেক আগেভাগেই বেরিয়ে আসেন। স্কুলের পাঠদানের সময়ে উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটোকে মানববন্ধন করায় অভিভাবকসহ সকল মহলে চলছে আলোচনা সমালোনা।গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মতিউর রহমান মানিক জানান,সময়ের ব্যাপারে সকলকে বলা হয়েছিল।আমি স্কুল থেকে ছুটি নিয়েই আগে বের হয়েছিলাম। সানবান্ধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বশির আহমেদ জানান, আমি ও আমার শিক্ষকরা সময়মতো স্কুল ছুটি দিয়ে তারপর প্রোগ্রামে গিয়েছিলাম শেষের দিকে। একাধিক অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, ৫ আগষ্টের পর থেকে প্রায় দুই মাস বিদ্যালয়ে অনিয়মিত পাঠদান হওয়ায় শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অথচ শিক্ষকরা এখন আবার দাবি আদায়ের জন্য পাঠদান বন্ধ রেখে প্রতিনিয়ত মিটিং ও মানববন্ধ করছেন। এতে শিক্ষার মান নিয়ে শংশয় প্রকাশ করেছেন তারা। উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটোকে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রেখে দূর দুরন্ত থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকগণ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করলেও স্কুলের সময়সীমার ব্যাপারটি নিয়ে কর্তৃপক্ষের কেউ প্রশ্ন তোলেননি। আবার মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেদারুল ইসলামের কাছে স্বারকলিপি প্রদান করেন শিক্ষকরা। সে সময় মানববন্ধনে শিক্ষক নেতারা আরো কর্মসূচী দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছিলেন।উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মাহামুদ হাসানের নিকট শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধরেখে চারটায় মানববন্ধন করার কোনো বিধি-বিধান আছে কিনা এবং যারা মানববন্ধনের জন্য স্কুলের নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই নিয়ম বহির্ভূতভাবে কর্মস্থল ত্যাগ করেছেন তাদের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাব তিনি বলেন, ব্যাপারটি আমি খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি। নিয়মের ব্যত্যয় ঘটলে অবশ্যই আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করবো।