ট্রলারের পাটাতনে উৎসুক কয়েকটি মুখ। ওরা গভীর সমুদ্রে এসেছে মাছ ধরতে। প্রত্যেকের চেহারায় কৌতূহল, আতঙ্ক ও রহস্যের ছাপ। ট্রলারের ভেতর থেকে হঠাৎ পাওয়া গেছে এক জীবন্ত নারীকে। টর্চ জ্বেলে চ ল চৌধুরী মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করেন, ‘কোন বোটেত্থে আইছো? সত্যি করে কও।’ মেয়েটি কোনো উত্তর দেয় না। চারপাশে রহস্যের জাল বিছিয়ে বসে থাকে নির্বিকার।
মেজবাউর রহমান সুমনের ‘হাওয়া’ সিনেমার ট্রেলার শুরু হয়েছে ঠিক এভাবেই। এরপর প্রায় আড়াই মিনিট জুড়ে ভয়, রহস্য ও উত্তেজনা জিইয়ে রেখে এগিয়েছে গভীর সমুদ্রের গল্প। তাই রক্ত-মাংসের চরিত্রদের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হয়ে উঠেছে সমুদ্রও।
অনবদ্য চিত্রায়ন আর আবহ সংগীতের ওপর ভর করে ‘হাওয়া’র ট্রেলারে টুকরো টুকরো যত দৃশ্য উঠে এসেছে, সবই প্রশংসার দাবিদার। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় ট্রেলারটি প্রকাশ হওয়ার পর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করছেন দর্শকরা। এ সিনেমায় সম্পূর্ণ নতুন লুকে ধরা দিয়েছেন অভিনয়শিল্পীরা। চ ল চৌধুরী, নাজিফা তুষি, শরিফুল রাজ, সুমন আনোয়ার, নাসির উদ্দিন খান, সোহেল ম-ল সবাই হয়ে উঠেছেন যেন রূপকথার একেকটি চরিত্র। রূপকথা শব্দটি ‘হাওয়া’ সিনেমার ক্ষেত্রে খুব সিগনিফিকেন্ট। যেমনটা আগেই বলেছিলেন নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমন, ‘এ কালের রূপকথার গল্প হলো হাওয়া। যে রূপকথার গল্প আমরা শুনে আসছি হাওয়া তেমন নয়। এটি মাটির গল্প নয় বরং পানির গল্প। সৈকতে দাঁড়িয়ে আমরা যে সমুদ্র দেখি, গভীর সমুদ্রের গল্প অন্যরকম।’ সিনেমার ট্রেলারের সঙ্গে পুরোপুরি মিলে যায় নির্মাতার এই বয়ান।
২০১৯ সালের শেষের দিকে কক্সবাজার ও সেন্ট মার্টিন এলাকায় টানা ৪০ দিন হয়েছিল এ সিনেমার শুটিং। সিনেমাটি নিয়ে চ ল চৌধুরী বলেন, ‘এ রকম গল্প নিয়ে এর আগে, এ দেশে আর কোনো সিনেমা নির্মাণ হয়নি। হয়তো কেউ সাহসও করেননি। আমরা এত কষ্ট করতে পেরেছি সিনেমাকে ভালোবাসি সেই জন্য। দর্শকও ভালো সিনেমা দেখতে চান। এটা আমার বিশ্বাস, যদি ভালো কিছু হয়, দর্শক এর মূল্য দেবেন।’ ‘হাওয়া’ সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে সান মিউজিক অ্যান্ড মোশন পিকচার্স লিমিটেড, নির্মাণ সংস্থা ফেইসকার্ড প্রোডাকশন। নির্মাতা সুমন জানিয়েছেন, কোরবানির ঈদের পর মুক্তি পাবে সিনেমাটি।