প্রথমার্ধের বড় অংশ জুড়ে রক্ষণভাগ সামলেও লাভ হলো না। নিজেদের ভুলে দুই গোলে পিছিয়ে পড়েই ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছে। বিরতির পর আক্রমণাত্মক হওয়ার যাও-বা চেষ্টা ছিল। কিন্তু গোল শোধ দেওয়ার সুযোগ সেভাবে মেলেনি। তাতে শক্তিশালী বাহরাইনের কাছে হেরে এশিয়ান কাপের বাছাই শুরু করেছে বাংলাদেশ। ‘ই’ গ্রুপের ম্যাচে জামালরা হেরেছে ২-০ গোলে। কুয়ালালামপুরের বুকিত জলিল ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ৪-১-৪-১ ছকে খেলেছে হাভিয়ের কাবরেরার দল। এই ম্যাচে খেলছে ইন্দোনেশিয়া ম্যাচের একাদশই। যদিও লাভ হয়নি তাতে। ৯৯ ধাপ এগিয়ে থাকা বাহরাইন বলের দখল নিয়ে নেয় শুরুতে। একের পর এক আক্রমণ হেনে ব্যতিব্যস্তও করে রাখে জামালদের। বাহরাইন ম্যাচ ঘড়ির ১০ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো। পারেনি জিকোর দৃঢ়তায়। মাহাদি ফয়সালের কর্নার থেকে আমিনে মোহামেদ বেরাদ্দির হেড ডান দিকে ঝাঁপিয়ে রক্ষা করেছেন গোলরক্ষক জিকো। ফিরতি বলটি ক্লিয়ার করেন ফাহাদ। ১৯ মিনিটে হাসান আলআসওয়াদের বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া জোরালো শট আবার ঝাঁপিয়ে রুখে দেন গোলরক্ষক জিকো। ২৩ মিনিটে হাসান আলআসওয়াদের ফ্রি-কিক গোলরক্ষের গ্লাভসে জমা পড়ে। পরের মিনিটে আলী আব্দুল্লাহ হারামের শট প্রতিহত করেন গোলরক্ষক। প্রতি আক্রমণে উঠে ভড়কে দেওয়ার চেষ্টা ছিল বাংলাদেশেরও। ২৭ মিনিটে রাকিব হোসেনের বাম প্রান্তের ক্রসে সাজ্জাদ মাথা ছোঁয়াতে পারেননি। দুই ডিফেন্ডার তাকে ব্লক করে রাখে। যা ছিল প্রথম সুবর্ণ সুযোগ। ৩ মিনিট পর এগিয়ে যায় বাহরাইন। হাসান আলআসওয়াদের কর্নার থেকে আলী আব্দুল্লাহ হারাম হেডে গোল করেছেন। ডিফেন্ডার টুটুল হোসেন বাদশা গায়ের সঙ্গে সেঁটে থাকার চেষ্টা করলেও দলকে রক্ষা করতে পারেননি।
বাহরাইন ব্যবধান দ্বিগুণ করেছে ৪২ মিনিটেই। জামাল বা রাকিব কেউই ঠিকমতো হেডটি ক্লিয়ার করতে পারেনি। বল চলে আসে বক্সের বাইরে থাকা হাসান আলআসওয়াদের পায়ে। এই মিডফিল্ডার চকিতে গড়ানো শটে জালে জড়িয়ে দেন বল। জিকো ঝাঁপিয়ে পড়েও প্রতিহত করতে পারেননি। ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশ বিরতির পর রক্ষণাত্মক খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করে। এই অর্ধে সোহেল রানা, জাফর ইকবাল, মেরাজ হোসেন ও পাপন সিংহ মাঠে নামেন। পাপনের তো লাল-সবুজ জার্সি গায়ে অভিষেক-ই হয়েছে। কিন্তু তার অভিষেকটা জয়ে রাঙানো যায়নি দলীয় ব্যর্থতায়। কাবরেরার দল ব্যবধানে আর হেরফের করতে না পারলেও ৫৫ মিনিটে সুযোগ তৈরি করেছিল বাহরাইন। কিন্তু আব্দুল্লাহ ইউসুফ হেলাল গোলরক্ষককে একা পেয়েও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি। জিকো ঝাঁপিয়ে পড়ে তা রুখে দিয়েছেন। প্রতি আক্রমণে উঠে বাংলাদেশও পারেনি প্রতিপক্ষকে চমকে দিতে। বাহরাইনের হাফ লাইনে গিয়ে কখনও কখনও খেই হারিয়েছে। আবার প্রেসিংয়ে হারিয়েছে বলের দখল। বাহরাইন অবশ্য প্রথমার্ধের মতো সেভাবে চাপ দিয়ে খেলেনি। নিজেদের স্ট্রাইলে খেলে ম্যাচ শেষ করার প্রবণতা ছিল তাদের মধ্যে। ইনজুরি সময়ে হারের ব্যবধান আরও বাড়তে পারতো। গোলরক্ষক জিকো বল ক্লিয়ার করে দলকে রক্ষা করেছেন। আগামী ১১ জুন তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।