সম্প্রতি জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত বানারাস ও লাখনোর সবচেয়ে প্রাচীন শান্ত্রিয় সঙ্গীতের অনুকরণে দিনাজপুরে এই প্রথম বারের মত ঠুমরী সঙ্গীত অনুষ্ঠানের শিল্পীদের দেশ-বিদেশের সঙ্গীত পিপাসু ¯্রতাদের অভিনন্দন পাওয়ার পর একটি আভিজাত চাইনিজ রেস্টুরেন্টে গতকাল ৮ জুন বুধবার শিল্পীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো মত বিনিময় সভা ও মিলন মেলা। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতার আলোকে মতবিনিময় সভায় গত অনুষ্ঠানের প্রতিবেদন পাঠ করেন সুরের আকাশ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সুর সাধক ফরহাদ আহমেদ। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বরূপ বকসী বাচ্চু, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পাটোয়ারী বিজনেস হাউজের পরিচালক শহিদুর রহমান পাটোয়ার মোহন, রাজ দেবোত্তর এস্টেটের এজেন্ট রণজিৎ কুমার সিংহ। সভাপতিত্ব করেন প্রবীন নেতা ও দিনাজপুর নাগরিক উদ্যোগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ। সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের দিনাজপুর কমিটির সাধারন সম্পাদক হারুন-উর-রশিদ। এসময় ঠুমরী শিল্পীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অনুরাধা শর্মা, লক্ষী কান্ত রায়, রেখা সাহা, শিমুল কর্মকার। তালযন্ত্রের শিল্পী পলাশ প্রেম, লটন কুমার সরকার, রতন কুমার দাস। হারমুনিয়াম শিল্পী সুজন কুমার দে। বেহেলা শিল্পী সাগীর আলী খান, বাঁশি শিল্পী সুদেব চন্দ্র রায়, গিটার শিল্পী মিদফাই আহমেদ ও তানপুরা শিল্পী পম্পি সরকার ও সুবর্ণা রায়। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন সুরের আকাশ সংগঠনের সদস্য হাবিবুল হক তুষার। প্রধান অতিথি দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বরূপ বকসী বাচ্চু বলেন, আমাদের সন্তানদের সাংস্কৃতি চর্চার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। সঙ্গীত জগতের প্রাচীন সঙ্গীত হলো শান্ত্রিয় সঙ্গীত। সেই সঙ্গীত চর্চার মধ্য দিয়ে আমাদেরকে প্রকৃত শিল্পী হিসেবে তৈরী হতে হবে। আমার বিশ্বাস ঠুমরী সঙ্গীত সন্ধ্যা দিনাজপুরবাসী ও সঙ্গীত পিপাসুদের হৃদয় চিরদিন জাগ্রত থাকবে “ইয়াদ পিয়াকে হ্যায়….” “যমুনা কিনারে মোর…” অথবা “ক্যায়া কারে সাজনি-আয়না বালাম” ইত্যাদি সুরের মধ্যে।