ভারতের ক্ষমতাসীন দলের দুই শীর্ষনেতার মহানবী (সা.) ও হযরত আয়েশা (রা.)কে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে *কুরুচিপূর্ণ* মন্তব্য প্রত্যাহার করে মুসলিম উম্মাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনার দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শেরপুর জেলা ৯ জুন বৃহস্পতিবার এক বিক্ষোভ মিছিল করেন।
বিক্ষোভ মিছিলটি শেরপুর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও শেরপুর জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা হাফিজুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শেরপুর শহর আমীর মাহফুজুর রহমান, জেলা ছাত্রশিবির সভাপতি ইমরান রহমান, সাবেক সভাপতি জাকারিয়া মোল্লা, জেলা শিবির সেক্রেটারি হাফেজ আল আমিন প্রমুখ।
বিক্ষোভ পরবর্তী বক্তব্যে মাওলানা হাফিজুর বলেন, মহানবী (সাঃ) ও আয়েশা (রাঃ) কে নিয়প গর্হিত মন্তব্যের জন্য সরকারকে জাতীয় সংসদে ভারতের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ করতে হবে। অন্যায়ভাবে কারাগারে আটক আল্লামা সাঈদীসহ সকল আলেম-উলামার অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার আহবান জানান।
তিনি আরো বলেন, ভারতের ধর্মান্ধ ও উগ্রবাদীরা মূলত ইসলাম বিরোধীতা ও মুসলিম বিদ্বেষকে রাজনৈতিক হাতিয়ার বানিয়েছে। মূলত, ভারতের রাজনীতিতে উগ্রবাদীদের উত্থান পুরো উপমহাদেশকেই অস্থিতিশীল করে তুলেছে। সাম্প্রতিক ঘটনা প্রবাহে প্রমাণ হয় দেশটির উগ্রবাদীরা পরিকিল্পতভাবেই মুসলিম বিদ্বেষ উস্কে দিয়ে আগামীতে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চায়। কিন্তু এবারের প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ আলাদা। কারণ, এই ইস্যুতে পুরো মুসলিম উম্মাহই এখন ঐক্যবদ্ধ। তাই এবারের খেলা তাদের জন্যই বুমেরাং হতে বাধ্য। তিনি ভারতে মুসলিম বিদ্বেষ মোকাবেলায় ওআইসি, আরবলীগসহ বিশ্ব মুসলিমকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।