দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ অথনৈতিক অঞ্চল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পাঞ্চল। এই শিল্পাঞ্চল ৩০ হাজার একর জমি অধিগ্রহণের কারণে হাজার হাজার গরু,মহিষ, ভেড়া চারণভূমি হ্রাস পেয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে শত শত খামারিদের হাজার হাজার গরু-মহিষ-ভেড়া খাদ্য সংকটে পড়ার কারণে প্রায় ২শত মহিষ মারা গিয়েছে। যার ফলে ১১ জুন (শনিবার) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পানগরের বেজা অফিসের সামনে ক্ষতিগ্রস্ত খামারীরা একত্রিত হয়। এই সময় বিষয়টি সরোজমিনে দেখার জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্থ খামারিদের বক্তব্য শুনেন। এই সময় খামারি মোহাম্মদ ইউসুফ কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন,শিল্পজোনের এই চারণভূমিতে আগে আমাদের মহিষের পাল বিচরণ করতো। কিন্তু বর্তমানে শিল্পজোন হওয়ার কারণে আমাদের মহিষ গুলো খাদ্য সংকটের পাশাপাশি চারণভূমির অভাবে ভুগছে। শিল্পজোনের আওতার বাহিরে সাগর পাড়ে যে চর জেগেছে তাতে আমাদের মহিষ চরণের জায়গা থাকলেও উপকূলীয় কিছু অসাধু কর্মকর্তার কারণে নানা মূখী হয়রানী শিকার সহ জরিমানা আদার করছে বলে অভিযোগ করেন ক্ষতিগ্রস্থ এই খামারী। এই বিষয়ে উপকূলীয় বিট কর্মকর্তা মোহম্মদ গফুর বলেন দেশের বৃহৎ সুপার ডাইক রক্ষা করার জন্য আমরা উপকূলীয় অঞ্চলে বনায়ন করছি। তবে এই চারণ ভূমিতে মহিষ বিচরণ করলে মহিষকে আটক করে মালিক থেকে টাকা নেওয়ার বিষটি সম্পুর্ণ মিথ্যা। এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনহাজুর রহমান বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ এই সব খামারীদের তালিকা করে এই সমস্য সমাধানের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরোজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন জানান, কৃষি ও শিল্প উন্নয়নে সরকার আওয়ামীলীগের সরকার। কৃষি ও উৎপাদন মূখী কার্যক্রমে এই সরকার নানা ধরণের ভূর্তকী সহ বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করে আসছে। চরাঞ্চলের শতশত পরিবার মহিষ চারণ করে জীবিকা নির্বাহ করার পাশাপাশি দেশের আমিষের চাহিদা পূরণে অবদান রাখছে এই খামারীরা। খামারীদের এই চারণ ভূমির সমস্য নিয়ে যথাযথ কতৃপক্ষের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।