বরিশালের গৌরনদী উপজেলার আধুনা গ্রামের আল-মাসুদ ঢাকার একজন ব্যবসায়ী। ব্যবসার কাজে তিনি চীনে গিয়েছিলেন। সেখানে ড্রাগনের বাগান দেখে তিনি মুগ্ধ হন। তিনি সেদেশের (চীনের) লোকজনদের কাছে জানতে পারেন ড্রাগন ফল চাষ পদ্ধতি সহজ,রোগ-বালাই কম ও বাজারে ড্রাগন ফলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এতে বেশী লাভ,তাই তিনি বানিজ্যিক ভাবে ড্রাগন চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেন। সিদ্ধান্ত নেন নিজ এলাকায় ড্রাগন চাষের। পরবর্তিতে গত দেড় বছর আগে উপজেলার আধুনা গ্রামে তার শশুড় মান্নান মীরের ৮০ শতক জমিতে বেড তৈরী করে তিনি চায়না পদ্ধতিতে বিভিন্ন জাতের ৫ হাজার ড্রাগনের চারা রোপন করেন। ইতিমধ্যে তিনি অনেকটা সুফল পেতে শুরু করেছেন।আল-মাসুদের সাথে আলাপ করে জানাগেছে,তিনি ড্রাগন ফলের চারা সংগ্রহ করেছেন চীন দেশ থেকে। চায়না ম্যাথডে অর্থাৎ কম জায়গায় বেশী চারা, বেশী ফল। এই পদ্ধতিতে দক্ষিণাঞ্চলে সর্ব্ব প্রথমে তিনি ড্রাগন চাষ শুরু করেন। চারা রোপনের পর বছর যেতে না যেতেই তার ড্রাগন গাছে লাল,সাদা ও হলুদ বর্ণের প্রচুর ফুল ও ফল ধরেছে। ৮০ শতক জমিতে মাটি ভরাট,মাটি তৈরী, চারা সরবরাহ ও চারা রোপন সহ সবকিছু মিলে ড্রাগন চাষ করতে এ যাবত তার প্রায় ২০লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে বলে তিনি জানান। ২ মাস আগে থেকে তিনি ফল বিক্রি শুরু করেছেন। বর্তমানে বাজারে মৌসূমী ফল ভরপুর থাকার পরেও প্রতিকেজি ড্রাগন ফল পাইকারী ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা মূল্যে বিক্রি করছেন। আগামী এক বছরে ২৫ লক্ষাধিক টাকার ফল ও চারা বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। আল-মাসুদের ড্রাগন ফলের বাগান দেখতে প্রতিদিন এলাকার লোকজন এসে ভীড় করছেন। তাদের অনেকেই আগ্রহী হয়ে উঠেছেন ড্রাগন চাষে। তার বাগানে বর্তমানে ৩ জন শ্রমিক কাজ করছে। গৌরনদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মামুনুর রহমান জানান,ড্রাগন বিদেশী ফল হলেও আমাদের দেশে ড্রাগনের চাষ শুরু হয়েছে। পুষ্টিগুনে সমৃদ্ধ ড্রাগন ফল ডায়াবেটিকস ও ক্যানসার প্রতিরোধে খুবই কার্যকরী। তিনি আরো জানান,মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের বিদেশী ফল ড্রাগন চাষে আগ্রহী করে তুলতে পারলে একদিকে যেমন বিদেশী ফলের আমদানী নির্ভরতা কমে আসবে অপরদিকে ফল চাষ করে কৃষকরা লাভবান হতে পারবে।