কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।সিইসি বলেন, ‘সার্বিক দিক বিবেচনায় বলা যায়, কুমিল্লা সিটিতে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। ভোটারদের কাছ থেকেও তেমন কোনো অভিযোগ আসেনি। এ সিটিতে (কুমিল্লা) প্রায় ৬০ শতাংশ ভোট পড়েছে। খুব বিরূপ মন্তব্যও আমরা পাইনি।’ গতকাল বুধবার (১৫ জুন) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে ব্রিফিংয়ে সিইসি এসব কথা বলেন।
কুসিক নির্বাচন ৯৩ কেন্দ্রের বেসরকারি ফল কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে বিকাল ৪টায়। এখন ভোট গণনা চলছে। মোট ১০৫টি কেন্দ্রের মধ্যে এ পর্যন্ত ৯৩টি কেন্দ্রের বেসরকারি ফল পাওয়া গেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যš ( রাত ৮টা ১৯ মিনিট) প্রাপ্ত ফলে দেখা যায়, সদ্য বিদায়ী মেয়র ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু টেবিলঘড়ি প্রতীকে ৪৪ হাজার ৭৭৮ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী আরফানুল হক রিফাত নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৩৮৫ ভোট। আর বিএনপি থেকে বহিস্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৫ হাজার ৩১৪ ভোট। জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে থেকে নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হচ্ছে।
এদিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ঢাকায় নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের বলেছেন, সহিংসতা ছাড়ই কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) ভোট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এতে ৬০ শতাংশের কম-বেশি ভোট কাস্ট হয়েছে।
ধীরগতিতে ভোটগ্রহণ নিয়ে অভিযোগ ওঠার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) স্লো ছিল না। যারা বয়স্ক ভোটার, তাদের একটু সমস্যা হয়েছে। যারা ভোট দিতে অভ্যস্ত না, তাদের বুঝতে সময় লেগেছে। যারা ইভিএমে অভ্যস্ত, ভোট দিয়েছেন বুঝেছেন, তাদের ১৫ থেকে ৩০ সেকেন্ড লেগেছে। কেউ কেউ বলেছেন, ইভিএমের মাধ্যমে তাদের একটু অসুবিধা হয়েছে। আমরা লক্ষ্য করেছি, যারা একটু বয়স্ক, তাদের জন্য ব্যক্তি বিশেষের ক্ষেত্রে অসুবিধা হয়েছে। সাধারণভাবে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটটা ভালো হয়েছে।’
এমপি আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহারের বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রথমত মাননীয় সংসদ সদস্যের বিষয়টি আমার দৃষ্টিতে পাস্ট অ্যান্ড ক্লোজড। এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করবো না। বাহার সাহেবের ম্যাটার নিয়ে আমরা অনেক আলোচনা করেছি, আপনারাও করেছেন। নির্বাচন শেষ হয়েছে। এখন এ বিষয় নিয়ে কোনো রকম মন্তব্য আমাকে জিজ্ঞেস করলেও আমি করবো না।’
স্থানীয় সরকারের সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আচরণ বিধিমালা পরিবর্তন করা হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘সেটা আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবো। আইন সংশোধনের বিষয়টি কন্টিনিয়াস প্রসেস।’ প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘সকাল থেকেই আমরা যতদূর সম্ভব সিসি ক্যামেরা এবং টিভির মাধ্যমে সংবাদগুলো প্রত্যক্ষ করছিলাম। আমরা দেখেছি, নির্বাচনী পরিবেশ শান্তিপূর্ণ ছিল। কোনো রকম সংঘর্ষ ছাড়াই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। কুমিল্লার দুটি সেন্টারে বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির কারণে একটু বিঘœ ঘটছে। যতগুলো সেন্টার থেকে আমাদের অফিস তথ্য পেয়েছে। তাতে ৬০ শতাংশ প্লাস, মাইনাস ভোট কাস্টিং হয়েছে।’
ভোটে স্বচ্ছতার প্রসঙ্গ টেনে সিইসি বলেন, ‘আগে থেকেই আমরা শক্ত ছিলাম, যাতে ভোট স্বচ্ছ হয়। সংবাদকর্মীদের অবাধ পর্যবেক্ষণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। পর্যবেক্ষকরা তাদের দায়িত্ব পালন করেছেন। সবার কাছ থেকে মন্তব্য আমরা পেয়েছি। সকালে বৃষ্টি হয়েছিল, সেসময়ে কিছুটা বিঘœ ঘটেছিল। ফলে ভোট কার্যক্রমে কিছুটা স্লথ গতি এসেছিল। সার্বিকভাবে আমাদের অভিমতে সিটি করপোরেশন নির্বাচন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন কাউন্সিল শান্তিপূর্ণ সুষ্ঠু এবং নির্বিঘেœ হয়েছে। ভোটারদেরও তেমন কোনো অভিযোগ আমরা একেবারেই শুনিনি।’ নির্বাচনে ফার্স্ট ক্লাস নাকি সেকেন্ড ক্লাস পেয়েছেন, এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমরা দায়িত্ব পালন করেছি। কোন ক্লাস পেয়েছি, সেটা আপনারা মূল্যায়ন করবেন। আমি খুব বেশি উৎফুল্ল নই। খুব যে বেদনাক্লান্ত তাও নই। চেষ্টা করেছি, কতটা সফলভাবে করেছি, সেই মূল্যায়ন করতে পারবো না।’
ইভিএমে গোপনকক্ষে উঁকি দেওয়া ও ডাকাত ঢোকার বিষয়ে জানতে চাইলে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত পাইনি। ভোটকেন্দ্রে ডাকাত ঢুকেছে এটা হয়তো আরও পরে আসতে পারে। আমরা পরে পাবো।’ এদিকে, সিইসি কথা বলার সময় এই প্রশ্নের উত্তর দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। তিনি বলেন, ‘একটা পত্রিকায় এসেছে, একজন উঁকি দিয়েছিলেন। কিন্তু আপনাদেরই একটা মিডিয়া থেকে বলা হয়েছে, জিনিসটা মোটেও সত্য নয়।’ সিসি ক্যামেরায় কিছু দেখা গেছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, ‘আমরাও পাইনি, আপনারাও দেখাতে পারেননি।’ কুমিল্লা সিটি করপোরেশন ছাড়াও এদিন একটি উপজেলায় সাধারণ নির্বাচন ও তিনটি উপজেলায় বিভিন্ন পদে উপ-নির্বাচন, পাঁচ পৌরসভায় সাধারণ ও একটি ওয়ার্ডে উপ-নির্বাচন, ১৩২টি ইউনিয়নে সাধারণ ও ৪৭টি ইউপিতে বিভিন্ন পদে উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এরমধ্যে কুমিল্লা সিটি, ১৩২ ইউপি ও দুটি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ হয়েছে ইভিএমে।
১২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা: কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচন চলাকালে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে আটক ১২ জনকে কারাদ- দেয়া হয়েছে। তাদের তিনদিন থেকে তিন মাস পর্যন্ত সাজা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। নির্বাচন চলাকালে কুমিল্লা সদর দক্ষিণের ৯টি ওয়ার্ড পরিদর্শনকালে এ সাজা প্রদান করেন। এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ, বিজিবি ও র্যাবের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। আজ বুধবার জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গতকাল বুধবার দুপুরে কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ সাংবাদিকদের বলেছেন, সকাল থেকে আমরা কয়েকটি কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের কঠোর অবস্থানের কারণে এ পর্যন্ত প্রতিটি কেন্দ্রে মানুষ উৎসাহের সঙ্গে ভোট দিচ্ছেন। সবাই বাধাহীনভাবে কাজ করছেন। ভোটে সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষার জন্য কুমিল্লা নগরবাসীকে ধন্যবাদ জানাই।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণে ধীরগতির অভিযোগের বিষয়ে রিটার্নিং অফিসার শাহেদুন্নবী চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ধীরগতির বিষয়টা হচ্ছে, এখানে একজন ভোটার কিন্তু তিনটা ব্যালটে ভোট দেন। তারা ভোট দেয়ার আগে চিন্তা করতে সময় নেন। এবারই প্রথমবার ইভিএমে ভোট দিচ্ছেন। এসব কারণে কিছুটা সময় লাগতে পারে। এছাড়া মানুষ ইভিএমে অভ্যস্ত নন বলে ভোট গ্রহণে দেরি হচ্ছে। কেন্দ্রের গোপন কক্ষে উঁকি: কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের গোপন কক্ষে কাউকে উঁকি দিতে দেখা যায়নি বলে দাবি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কমিশনের দাবি, কেন্দ্রে স্থাপিত সিসিটিভি ক্যামেরায় এমন কিছু দেখা যায়নি। কুমিল্লা সিটিসহ দেশের অন্যান্য নির্বাচনে মনিটরিং করতে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করেছে ইসি। গতকাল বুধবার (১৫ জুন) পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সমন্বয়ক ইসির আইডিইএ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক (কমিউনিকেশন) স্কোয়াড্রন লিডার মো. শাহরিয়ার আলম এই দাবি করেছেন। এর আগে সকালে ঝড়-বৃষ্টির মধ্যেই কুসিকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী গোপনকক্ষে শুধুমাত্র ভোটার থাকার কথা থাকলেও, কুমিল্লার রেয়াজ উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের গোপন কক্ষে দুইজনকে দেখা যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া দৈয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের নারীদের বুথে এক পোলিং কর্মকর্তাকে উঁকি মারার ছবি গণমাধ্যমে এসেছে। তবে সিসি ক্যামেরায় কাউকে গোপন কক্ষে উঁকি দিতে বা ওই দুজনকে দেখা যায়নি বলে দাবি করেছেন মো. শাহরিয়ার আলম। গোপন কক্ষে উঁকি দেওয়া হচ্ছে, এমন কিছু দেখেছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, কুসিক ভোটের প্রত্যেকটি গোপন কক্ষই আমরা সিসি ক্যামেরায় দেখতে পাচ্ছি। গোপন কক্ষে কেউ উঁকি দিচ্ছে এরকম আমরা দেখিনি। কেউ উঁকি দিলে সেটা আমরা দেখতে পেতাম। দেখলে অ্যাকশন নিতাম। মনিটরিং করে আমরা অস্বাভাবিক কিছু পাইনি। তিনি বলেন, অভিযোগ ছিল যে, ভোটকেন্দ্রের গোপন কক্ষে দুজন ব্যক্তি গেছেন, তা এখন পর্যন্ত আমরা পাইনি। একটি অভিযোগ এসেছে। আমরা খতিয়ে দেখেছি, সে ধরনের কিছু ছিল না।
কুসিক ছাড়াও এদিন একটি উপজেলায় সাধারণ নির্বাচন ও তিনটি উপজেলায় বিভিন্ন পদে উপ-নির্বাচন, পাঁচ পৌরসভায় সাধারণ ও একটি ওয়ার্ডে উপ-নির্বাচন, ১৩২টি ইউনিয়নে সাধারণ ও ৪৭টি ইউপিতে বিভিন্ন পদে উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে কুসিক, ১৩২ ইউপি ও দুটি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ হচ্ছে ইভিএমে। এসব ভোটে মোট ১ হাজার ৪৪০টি সিসি ক্যামেরা ব্যবহৃত হচ্ছে। তার মধ্যে কুসিক নির্বাচনে ৮৫০টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। আর পাঁচ পৌরসভায় ৫৯০টি বসানো হয়েছে।
জানা গেছে, ইসির সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে মুঙ্গলবার (১৪ জুন) ভোর ৬টায় পর্যবেক্ষণ শুরু হয়েছে। মনিটরের মাধ্যমে ভোটকেন্দ্রগুলোয় যা হচ্ছে তা তারা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ইসির মোট ৩০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী এই দায়িত্ব পালন করছেন। সবসময় পাঁচজনে ৮ ঘণ্টা করে এই দায়িত্ব পালন করছেন।
আগামী ১৬ জুন ভোর ৬টা পর্যন্ত তারা এই পর্যবেক্ষণ করবেন। ভোটকেন্দ্র বা ভোটকক্ষে কোনো প্রকার অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সংগঠিত হলে বা কারিগরি সমস্যা পরিলক্ষিত হলে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবে এই পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র।
এমপির দাবি নির্বাচন কমিশনার ভুল করেছেন : নির্বাচন কমিশন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য ( কুমিল্লা সদর আসন) আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারকে নির্বাচনী এলাকা ছাড়ার যে কথা বলেছিলেন, সেটি ইসির এখতিয়ার বহির্ভূত বলে মন্তব্য করেছেন এমপি বাহার। গতকাল বুধবার ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুল কেন্দ্রে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।
এ সময় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে নির্বাচনি এলাকা ছাড়তে ইসির দেয়া চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে বাহাউদ্দিন বাহার বলেন, চিঠি দিয়ে সিইসি (প্রধান নির্বাচন কমিশনার) ভুল করেছেন। সিইসির কর্মকর্তারা এভাবে একজন সংসদ সদস্যকে চিঠি দিয়ে সম্মানহানি করতে পারেন না। তিনি বলেন, কিছু কর্মকর্তা ভোটের উৎসব নষ্ট করতে চায়। অতি উৎসাহী কোনো কর্মকর্তা যাতে ভোটের পরিবেশ নষ্ট না করে। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হচ্ছে। কোথাও কোনো গন্ডগোল নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আমার অনুরোধ, যাতে ভোটাররা সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট দিতে পারেন সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য। প্রসঙ্গত, নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে গত ৮ জুন এমপি বাহারকে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেয় ইসি। তবে তিনি এই নির্দেশ মানেননি।