করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারালেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসান (৫৫)।
রাজধানীর শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার (৭ জুন) রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
এদিকে, তার স্ত্রী রিনা আহসান করোনা পজিটিভ হয়ে শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজে ভর্তি আছেন।
বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বেশ কিছুদিন ধরেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন আহসান উল্লাহ। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী এবং দুই ছেলে রেখে গেছেন।
এদিকে, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কমিশনার আহসান উল্লাহ হাসানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দু:খ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শোক বার্তায় বলেন, ‘ঢাকা মহানগরীর বিএনপিতে হাসান ছিলেন একটি শক্তিশালী স্তম্ভ। নানা চড়াই উৎরাইয়ের মধ্যেও মরহুম হাসান ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপিকে সুসংগঠিত করেছিলেন নিজের সাংগঠনিক প্রতিভা বলে। করোনাভাইরাসের ছোবলে তার মতো একজন যোগ্য ও দক্ষ নেতা না ফেরার দেশে চলে গেলেন বিএনপির সকল নেতাকর্মীকে শোক সাগরে ডুবিয়ে।
তিনি বলেন, ছাত্র জীবন থেকে শহীদ জিয়ার আদর্শ ও দেশনেত্রীর নেতৃত্বে অনুপ্রাণিত হয়ে দলে যোগদান করার পর মাথা উঁচু করে সকল স্বৈরাচারের চোখ রাঙ্গানোকে উপেক্ষা করে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছিলেন। এই জন্য তাকে সইতে হয়েছে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। তার এই সংগ্রামী ভূমিকার জন্য তিনি দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ছিলেন অত্যন্ত প্রিয়।
ফখরুল বলেন, তিনি সমাজ সেবাকে রাজনীতির মূল লক্ষ্য করেছিলেন, তাই আমরা দেখেছি এই করোনাকালেও তিনি নিরন্ন কর্মহীন মানুষের পাশে বারবার ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে দাঁড়িয়েছেন নিজের সামর্থ্যানুযায়ী। করোনা মোকাবেলায় সরকারি ব্যর্থতায় অন্যান্য মৃত্যুবরণকারীদের মতো চিকিৎসা না পেয়ে সাবেক কমিশনার আহসান উল্লাহ হাসানকেও জীবন দিতে হলো। এই শোক কাটিয়ে উঠা অত্যন্ত কঠিন। আমি তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকার্ত পরিবার, আত্মীয়স্বজন, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। করোনায় আক্রান্ত তার সহধর্মিণীর আশু সুস্থতা কামনা করছি’।
এমআইপি/প্রিন্স/খপ