যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় এবার বিলীন হল ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্প কারখানা ও দেওয়ানগঞ্জ বাজারের একাংশ। বুধবার দুপুরে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার খাষপুকুরিয়া ও বাঘুটিয়া ইউপির মিটুয়ানি পাকা রাস্তার মাথায় কয়েকটি তাঁতশিল্প ও বসতবাড়িসহ ৫-শ মিটার নদী গর্ভে চলে গেছে। এদিকে উপজেলার দক্ষিণ অঞ্চল খাষপুকুরিয়া ও বাঘুটিয়া ইউনিয়নের দেওয়ানগঞ্জ বাজার এলাকা ও চরসলিমাবাদ বাজার ভুতের মোর এলাকায় এখনো ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া গত এক সপ্তাহ প্রায় ৩৫টি বসত ভিটা ১০/১২ টি তাঁত কারখানা চলে যায় যমুনার গর্ভে। চোখের সামনে ২০মিনিটের ব্যবধানে ১০টি বাড়ি এবং তাঁত কারখানা বিলীন হওয়ায় কান্নায় ভেঙ্গে পড়ছে এলাকাবাসি। তারা অভিযাগ করছেন, ভাঙন রােধে সংশ্লিষ্টরা সঠিক সময় যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহন করলে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না। তবে পাউবাে সূত্র বলছে ভাঙন ঠেকাতে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে ভুতের মোরে, স্থানীয়রা জানান সােমবার ভাের থেকে হঠাৎ করে যমুনা নদীতে স্রোত ও ঘূর্ণ্যাবর্ত্যরে সষ্টি হয়। দেখতে দেখতে নদী পাড়ে শুরু হয় ভাঙন। এতে মুর্হুতের মধ্যে নদী পাড়ে আতঙ্ক শুরু হয়ে যায়। দেওয়ানগ›জ বাজারের পাশে প্রায় ৫শ মিটার এলাকায় এখন ভাঙন চলছ। তবে এখনও ভাঙন ঠেকাতে কােন ব্যবস্থা(নতুন বরাদ্দ) গ্রহন করেনি পাউব। মিটুয়ানী গ্রামের মোতালেব জানান, (বৃহস্পতিবার ) ফজরের নামাজ পড়ছি। হঠাৎ করে ভাের বেলা থেকে ভাঙনে বিলীন হয় এলাকার পাঁচ থেকে সাতটি বাড়ি। প্রকৃতি জীবকুল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার, মসজিদ, রাস্তা – ঘাট, ফসলি জমি ও বসতভিটা রক্ষার্থে ভাঙন ঠেকাতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হােক। বরাদ্দ করা হোক নতুন করে জিও ব্যাগ। এদিক খাষপুকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদর চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান জানান, খাষপুকুরিয়া গ্রাম থেকে চরসলিমাবাদ ভুতের মোর এলাকার পর্যন্ত জিও ব্যাগ ডাম্পিং সহ নদীর তীর সংরক্ষণে প্রকল্প টেন্ডার, অনুমোদন ও কাজ শুরু করা প্রয়োজন। জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজের অগ্রগতি ও সঠিক তদারকির অভাবে বারবার নদী পাড় ভাঙন বলে জানান স্থানীয়রা। মিটুয়ানি হাইস্কুলে প্রধান শিক্ষাক গোলাম মোস্তফা বলেন, খাষপুকুরিয়া ও বাঘুটিয়া ইউনিয়ন বেরীবাধের আওতায় না আসায় অসময়ে নদী ভাঙ্গন লেগেই থাকে। তাই শত শত বসত ভিটা, বহু শিক্ষা ও হাট বাজার নদীতে চলে গেছে। এখন রাস্তা ঘাটের বেহালদশা সচলের কোন লক্ষন দেখছি না। এদিকে চৌহালীর দক্ষিণ অঞ্চলে ভাঙ্গন ডেকাতে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হচ্ছে। এলাকা রক্ষায় প্রত্যক্ষভাবে প্রয়াজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা প্রয়োজন।