গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চম ভাগে, আইনসভা অধ্যায়ে, ২য় পরিচ্ছেদে, ‘আইন প্রণয়ন ও অর্থসংক্রান্ত পদ্ধতি’ অনুযায়ী ৮১ অনুচ্ছেদে সংজ্ঞায়িত ‘অর্থবিল’ই ব্যবহারিক অর্থে বাজেট। সংবিধানের কোথাও বাজেট শব্দের নামনিশানা নেই অথচ লোকসমাজে বাজেট একটি বহুল ব্যবহৃত ও পরিচিত শব্দ। সংসদে সম্পূরক এবং নতুন অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব পেশ কালে ট্রেজারি বেঞ্চ থেকে যে ‘বাজেট বক্তৃতা’ দেয়া হয় তা আইনত বাজেট নয়, সেটি পারতপক্ষে অর্থবিলের নির্বাহী সারাংশ এবং এটিকে বড়জোর সরকারের ‘ভাবাবেগ মিশ্রিত রাজনৈতিক অর্থনীতির বার্ষিক বিবৃতি’, অধিকাংশ সময় নির্বাচনী ইশতেহারও বলা যায়। যেমন ২০২২-২৩ বাজেট বছরের বাজেটটিকে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে ইতোমধ্যে নির্বাচনী ইশতেহার ভাবতে বলা হয়েছে। ‘অর্থবিল’ এর দর্শন ফাঁকফোকরসহ সচরাচর লোকচক্ষুর আড়ালেই থেকে যায়, রাষ্ট্রপতির অনুমতিক্রমে সংসদে উপস্থানীয় নথিতে অর্থবিলের অবস্থান ‘সংযোজনী’ হিসেবে। বাজেট প্রস্তাব পেশের পর ‘বাজেট আলোচনা’য় অর্থবিলের পর্যালোচনা ও প্রাসঙ্গিকতা খুব একটা দেখা যায় না। প্রসঙ্গত, ‘অর্থবিলের’ আওতা ও পরিধিসংক্রান্ত সংবিধানের ৮১(১) উপ-অনুচ্ছেদে (ক) কর আরোপ, নিয়ন্ত্রণ, রদবদল, মওকুফ বা রহিতকরণ; (খ) সরকার কর্তৃক ঋণগ্রহণ বা কোনো গ্যারান্টি দান কিংবা সরকারের আর্থিক দায়-দায়িত্ব সম্পর্কিত আইন সংশোধন এবং (গ) সংযুক্ত তহবিলের রক্ষণাবেক্ষণ, অনুরূপ তহবিল থেকে অর্থ দান বা নির্দিষ্টকরণ এর দায়িত্ব সংসদের বলা আছে, কিন্তু সরকারের ঋণগ্রহণ বা গ্যারান্টিদান (বিশেষ করে নানান শর্ত সাবুদে ভরা কঠিন শর্তের দেশী-বিদেশী ঋণ গ্রহণ সম্পর্কে) কিংবা সরকারের আর্থিক দায়-দায়িত্ব সম্পর্কে সংসদে আলোচনার নজির দেখা যায় না। তদুপরি পর্যাপ্ত বা প্রযোজ্য পরীক্ষা পর্যালোচনায় চলতি বাজেটবর্ষের সম্পূরক (বাজেট) বিল পাসের আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে বা ক্ষেত্রে সংসদের সেই অধিকার ও দায়িত্ব পরিপালনের সুযোগ সীমিত। সংবিধানের ৮১(৩) মতে রাষ্ট্রপতির সম্মতির জন্য সংসদে উত্থাপিত, পর্যালোচিত এবং ‘পাসকৃত’ ‘বাজেট’টি পেশ করার সময়ে স্পিকারের স্বাক্ষরে এটি একটি অর্থবিল মর্মে সার্টিফিকেট দিতে হয়, যা সকল বিষয়ে চূড়ান্ত এবং সে সম্পর্কে কোনো আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না। গরিবদের খাবার জোগানো, মধ্যবিত্তের আয়বর্ধন, চাকরির সুযোগ সৃষ্টি, বেকার ও কর্মহীনদের বাঁচানোর ব্যবস্থা, দুস্থ মানুষকে রক্ষা করা, দুর্বল শ্রেণীর মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রশ্নেই সরকারকে কুশলী হতেই হচ্ছে। বিশাল কর্মযজ্ঞের বাজেট অর্থায়নে রাজস্ব আসবে কোথা থেকে? সবাই জানে শ্রীলঙ্কা অতিরিক্ত হারে ব্যবসায়ীদের কর কমিয়ে, ব্যবসায়ীদের নানা সুবিধা দিয়ে আজ বিপদে পড়েছে। বাংলাদেশে ‘ভ্যালু অ্যাডিশনের’ ওপর নির্ভর করে পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে ‘ক্যাশ প্রণোদনা’ দেয়া হয়। এখন তাদের ‘ভ্যালু অ্যাডিশন’-এর হার কমিয়ে নগদ প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। ‘ভ্যালু অ্যাডিশন’ বাড়ানোর জন্য দেশীয় শিল্পের ব্যবস্থা করা হয়েছে, সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয়েছে। তাহলে ‘ভ্যালু অ্যাডিশন’ কমবে কেন? কোটা তুলে দেয়ার পরও বলা হয়েছিল এ শিল্প ‘শেষ’। শিল্পটি ‘শেষ’ হয়নি বরং তার রফতানি শনৈঃশনৈঃ বেড়েছে। প্রয়াত মুহিত সাহেবের কথা, প্রয়াত সাইফুর রহমানের কথা মনে পড়ে। তারা উভয়েই ভিন্ন সময়ে বলেছেন, ‘একশ্রেণীর ব্যবসায়ী শুধু নিতেই জানে, দিতে জানে না।’ দেয়া তো দূরের কথা বরং অনেকেই টাকা বিদেশে নিয়ে গেছেন। এমতাবস্থায় সরকারের কাজ হবে বাংলাদেশ এবার এই ক্রান্তিকালে অন্তত বড় বড় ব্যবসায়ী-শিল্পপতিকে বলা, দেশের জন্য কিছু অবদান রাখতে, যাতে সরকার অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বহাল রাখতে পারে। যাতে অর্থনীতির সামগ্রিক কাঠামোটি ঠিক রাখা যায়। করোনা মহামারীর প্রভাব কাটিয়ে অর্থনীতির পুনরুদ্ধার পর্যায়ে শুরু হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, যার ধাক্কায় আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের মূল্য এখন ঊর্ধ্বমুখী। পাশাপাশি ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নে দেশে প্রধান প্রধান ভোগ্যপণ্যের দাম আরো বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা হয়েছে প্রবল। এ অবস্থায় ভর্তুকি বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং অর্থনীতির সার্বিক বিষয় বিবেচনায় সরকারি ব্যয় কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ বাস্তবতায় আগামী ২০২২-২৩ বাজেট বছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে, যা মোট জিডিপির প্রায় ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ।
চলতি ২০২১-২২ অর্থবছর বাজেটের আকার নির্ধারিত ছিল ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। বাজেটের এ আকার জিডিপির ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে জিডিপির অংশ হিসেবে বাজেটের আকার ২ শতাংশের মতো কমিয়ে আনা হয়েছে। বাজেটের আকার কমলেও আগামী অর্থবছরে বাজেট ঘাটতি দাঁড়াচ্ছে প্রায় আড়াই লাখ কোটি টাকায়। বাজেটের এ ঘাটতি জিডিপির ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। বাজেটে সরকারের মোট ব্যয় যে জিডিপির তুলনায় কম ধরা হচ্ছে বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে তা ঠিক, তবে ভর্তুকির পরিমাণ বাড়বে, তাই ঘাটতি মেটাতে রাজস্ব আয় বাড়ানো বাঞ্ছনীয়। রাজস্ব আহরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বনি¤েœ। এখান থেকে উত্তরণের কোনো দিকনির্দেশনা পাওয়া যাচ্ছে না। নতুন বাজেটে ভর্তুকির মাত্রা বাড়ানো হয়েছে, তারপরও যে পরিমাণ ঘাটতি রাখা হচ্ছে সেটা হয়তো পরবর্তী সময়ে বেড়ে যাবে। ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক সাহায্য ও ঋণের মাধ্যমে পূরণের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। অভ্যন্তরীণ বিশেষ করে অত্যন্ত ব্যয়বহুল সঞ্চয়পত্র থেকে এবং ব্যাংকঋণ কমানো উচিত কর্ম হবে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে রড, সিমেন্টসহ বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়েছে। একইভাবে পানি সরবরাহ, পয়োনিষ্কাশন, বৈদ্যুতিক সামগ্রী, ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল পণ্যের দাম বেড়েছে। ফলে প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের ব্যয় বাড়ানোর প্রয়োজন ছিল। কিন্তু উন্নয়ন ব্যয় খুব বেশি বাড়ানোর প্রস্তাব নেই বাজেটে। আসছে বাজেটে এডিপির আকার প্রাক্কলন করা হয়েছে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে এডিপির আকার ২ লাখ ৩৭ হাজার ৭৮ কোটি টাকা।
আগামী অর্থবছরের জিডিপির আকার বাড়ানো হয়েছে। প্রাক্কলিত আকার ৪৪ লাখ ৪৯ হাজার ৯৫৯ কোটি টাকা। সে অনুযায়ী প্রাক্কলিত জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ২ শতাংশ। আগামী অর্থবছরের প্রাক্কলিত মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রা ৫ দশমিক ৩ শতাংশ।
স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয় যে, এবারের বাজেটের আর্থিক কাঠামো প্রস্তুত করা অন্য যেকোনো বছরের তুলনায় কষ্টকর। কারণ ব্যয়ের বড় দুটি অংশ যাবে ভর্তুকি প্রণোদনা এবং সুদ পরিশোধে। এ দুই খাতে প্রায় ৫৭ শতাংশ ব্যয় হবে। এর সঙ্গে বেতন-ভাতাসহ সরকারের অন্যান্য পরিচালন ব্যয় যোগ করলে সেটা আরো বেড়ে যাবে। তাই উন্নয়নমূলক কাজকর্ম করার জন্য অর্থ খুব কমই থাকবে। এটিই এবারের বাজেটের সবচেয়ে বড় সমস্যা। বন্যার বাঁধ নির্মাণে যে অর্থায়ন করা হবে সে বাঁধ নির্মাণ হবে অর্ধেক মূল্যে এবং বাকি অর্ধেক আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। সঙ্গে সঙ্গে পরেরবার বাঁধ ভাঙলেই আবার কপাল খুলবে প্রকল্প পরিচালকের। ডলারের বিপরীতে টাকার দাম কমছে। হয়ত আরো কমবে বা না কমবে কিন্তু এক শ্রেণীর মানুষ বঞ্চিত হতেই থাকবে। আরেক শ্রেণী কালো টাকা অর্জনে ব্যস্ত থাকবে! এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন অর্থনীতিকে গতিশীল করার জন্য দেশীয় কী কী বিষয় আমরা গুরুত্ব দিতে পারি! সামাজিক নিরাপত্তা ও কৃষিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে সামনে এগোনো ও দুর্নীতি কমানোর লক্ষ্যে প্রশাসনিক একটি রোডম্যাপ নিয়ে কাজ করাই টেকসই অর্থনীতির প্রধান ধারক হতে পারে। রফতানি পণ্যতে মাছ, কৃষিজ উপাদান এবং তৈরী পোশাকের বাইরে ইলেকট্রনিকস ও ওষুধ শিল্পকে প্রসারমান করার একটি বড় পরিকল্পনাকে বাস্তবায়নই হতে পারে আগামীর অর্থনীতিকে সমৃদ্ধির পথে নেয়ার কৌশল। বিশ্বে আরো একটি অর্থনৈতিক বিপর্যয় আসন্ন। আমাদের এই বিপর্যয় রুখতে হলে নৈতিক অর্থনীতির চর্চাকে বেগবান করতেই হবে। বঞ্চিত শ্রেণী যাতে বেশি তৈরি না হয় সে জন্য মনিটরিং ও নীতির চর্চা বাড়ানোর ওপর জোর দিতে হবে। সরকারের উচিত তাদের সমালোচকদের আরও বেশি করে পর্যবেক্ষণ করে সামনের পথ টেকসই উন্নয়নের দিকে একটি রোডম্যাপ তৈরি করা। সমালোচনা থেকেও এমন কিছু তথ্য বের হয়ে আসে যে জায়গায় কাজ করলে রাষ্ট্র লাভবান হতে পারে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অন্য দেশের সঙ্গে তুলনার জায়গায় না গিয়ে মানুষের অধিকার রক্ষায় কতটুকু কাজ করা যাবে সেটাই বড় চিন্তার বিষয়। অর্থ যোগ নীতি মিলে যদি নৈতিক অর্থনীতির একটি পর্যায়ে আনা যায় তবেই পাল্টে যেতে পারে দেশের দুর্নীতির কালো অধ্যায়। কালো টাকা সাদা করার সুযোগ, অপরাধীকে শাস্তি দেয়া না দেয়ার মতো বিষয়ের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ কিভাবে কালো টাকার উৎপাদন বন্ধ করা যায় সে বিষয়টিই মুখ্য চিন্তাভাব।
সাধারণ নিয়মে ছোট শিল্পে বিনিয়োগ হলে কর্মসংস্থান বাড়ে। এখানেও বৈষম্য হচ্ছে। ফলে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এবারের বাজেটে দেশীয় বাজারমুখী শিল্পকে বেশি গুরুত্ব দেয়ার দরকার ছিল। দেশের বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা দুর্বল এবং এ ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় থেকে কঠোর ব্যবস্থা ও নজরদারির অভাব হলেই দায়সারা মনিটরিং হবে এবং অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ নেবে। ভোক্তা অধিকার সংস্থা, টিসিবি, পণ্য বিপণন ব্যবস্থাপনা, চাহিদা সরবরাহ নেটওয়ার্ক এবং সর্বোপরি আমদানি-রফতানি ব্যবস্থাপনায় কঠোর নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা আনয়নপূর্বক এ সমস্যা সমাধানে তৎপর হতে হবে। অধিকন্তু বিভিন্ন বাজার কমিটি দ্রব্যসামগ্রীর গুণাগুণ যাচাই কমিটি, মালামাল সংরক্ষণ ও গুদামজাত ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এবং সর্বোপরি মহানগর ও পৌর এলাকাস্থিত বাজারগুলোতে তাদের নিজস্ব পরিদর্শন টিমের আন্তরিকতার সঙ্গে তদারকি কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে। আর সবার সমন্বিত কার্যক্রমে এ দুরবস্থার নিরসন সম্ভব হবে। গ্রামনির্ভর বাংলাদেশের গ্রামের মানুষের আয়ের উৎস শহরবাসীর তুলনায় অনেক কম ফলে শহরের চেয়ে গ্রামে মূল্যস্ফীতির উচ্চহার উদ্বেগের বিষয়। এ সমস্যা মোকাবেলায় যা প্রয়োজন, তা হলো গ্রামের মানুষের আয় বাড়ানো যার অংশ হিসেবে বর্ধিত সরকারি বিনিয়োগের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে তুলতে হবে, গ্রামের মানুষের, বিশেষ করে শিক্ষিত ও অর্ধশিক্ষিত যুবকদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে অগ্রাধিকার দিতে হবে, তাদের মধ্যে সব ধরনের ব্যবসার উদ্যোগ সৃষ্টিতে সরকারকে আর্থিক সহায়তা দিতে হবে। গ্রামাঞ্চলে সেবা খাতের কার্যক্রম, বিশেষ করে ব্যবসা, পরিবহন, টেলিকম, রিয়েল এস্টেট, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, হোটেল, রেস্তোরাঁ ইত্যাদির ব্যাপক প্রসারের ব্যবস্থা নিতে হবে। রেমিট্যান্সের অর্থ উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তা হলেই দেশ মূল্যস্ফীতির অভিশাপ থেকে মুক্ত হবে, কর্মসংস্থান, উৎপাদন ও আয় বাড়বে। লেখক : সাবেক সচিব, এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান