পদ্মা নদীর শিমুলিয়া-সাত্তার মাদবর মঙ্গলমাঝি ঘাট নৌরুটে দুই চলন্ত ফেরির মুখোমুখি সংঘর্ষে ১ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ১০জন। আজ রোববার ভোর পৌনে ৪টার দিকে নৌরুটের শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে টার্নিং পয়েন্টে ফেরি বেগম রোকেয়া ও সুফিয়া কামাল ফেরির মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দূর্ঘটনায় সুফিয়া কামাল ফেরিতে থাকা গাড়িতে চাপা পরে নিহত হয় খোকন শিকদার(৪০) নামের এক গাড়ি চালক। নিহত খোকন ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া চিংবাখালি এলাকার হারুন শিকদারের ছেলে। তিনি একজন পিকাপভ্যান চালক ছিলেন। বিআইডাব্লিউটিসি শিমুলিয়াঘাটের ব্যবস্থাপক (বানিজ্য) মো : জামাল হোসেন ও বিআইডব্লিউটিএ সাত্তার মাদবর মঙ্গলমাঝি ঘাটের শুল্ক আদায়কারী তৌফিকুল ইসলাম জানান, ফেরি সুফিয়া কামাল ৩০টি যানবাহন নিয়ে শরীয়তপুরের মাঝিকান্দি থেকে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়াঘাটে আসছিলো, একই নৌপথে ৩৪টি যানবাহন ও অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে মাজিকান্দির অভিমুখে যাচ্ছিলো ফেরি বেগম রোকেয়া। দুটি ফেরি পদ্মা নদীর টানিং পয়েন্ট জাজিরা প্রান্তে পৌছালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দুটি ফেরি সামনের অংশ। বিকল হয়ে যায় বেগম রোকেয়া ফেরি গাড়ি উঠানামার রেম্প। এসময় ফেরি সুফিয়া কামাল ফেরিতে থাকা এতটি গাড়িতে চাঁপা পড়ে ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয় খোকনের। আহত হয় অন্তত ১০ জন। এতে ফেরিতে থাকা ১০/১২টি গাড়ির ক্ষতি হয়। পরবর্তীতে সুফিয়া কামাল শিমুলিয়াঘাটে ও বেগম রোকেয়া মাজিকান্দিঘাটে পৌছে নোঙর করেছে। অন্যান্য যাত্রীরা নিরাপদ রয়েছে। ফেরি সুফিয়া কামাল ফেরির মাস্টার মোহাম্মদ হাসান বলেন, নদীতে প্রচ- স্রোতে টার্নিংয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। তবে যাত্রীরা জানিয়েছেন, অবহেলার কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। মাওয়া নৌপুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ আবু তাহের জানান, ফেরি দুর্ঘটনায় নিহত ব্যাক্তির মরদেহ মাওয়া নৌপুলিশ ক্যাম্পে রয়েছে। আইনী পক্রিয়া শেষে নিহতের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তবে কোন যাত্রী নিখোঁজ রয়েছে কি না এখনো বলা যাচ্ছে না।