ক্যান্সারের মতো মরনব্যধি থেকে রক্ষা এবং অকাল মৃত্যুরোধে সরকার প্রণিত ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০৫ বাস্তবায়নে জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিয়ে জামালপুরে দিনব্যপী এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসকের সম্মেলনে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য বিভাগ ও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছা বেগম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন একই মন্ত্রণালয়ের বিশ্বস্বাস্থ্য অধিশাখার অতিরিক্ত সচিব নিলুফার নাজনীন। শনিবার জেলা প্রশাসন আয়োজিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক শ্রাবস্তী রায়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত জেলা নির্বাহী হাকিম আব্দুল্লাহ আল মামুন। সভায় অন্যান্যের মাঝে আলোচনায় অংশ নেন সিভিল সার্জন ডাঃ প্রনয় কান্তি দাস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোকলেছুর রহমান, জামালপুর পৌরসভার মেয়র ছানোয়ার হোসেন ছানু, বিএমএ এর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মোশায়ের উল আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সৈয়দ আতিকুর রহমান ছানা,জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ মাহফুজুর রহমান, পিপি অ্যাডভোকেট নির্মল কান্তি ভদ্র, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরা মোস্তারী ইভা, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক, সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের অধ্যাপক অব্দুল হাই আল হাদী, জেলা স্কাউটের সহকারী পরিচালক পরেশ চন্দ্র বর্মন, জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতির প্রতিনিধি ও উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম, জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শুভ্র্র মেহেদী, ঝাউলা গোপালপুর কলেজের শিক্ষক তারিকুল ফেরদৌস প্রমুখ। কর্মশালায় তামাক নিয়ন্ত্রনে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা, জনসমাবেশে ও গণপরিবহনে ধুমপান মুক্তকরণ, তামাকবিরোধী প্রচার, প্রচারণা জোরদারকরণ, তামাক কোম্পানীর বিজ্ঞাপন অপসারণ করা, তরুণদের ধুমপানে নিরুৎসাহিত করতে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা, সরকারি, বেসরকারি সংস্থাসমুহের উদ্বুদ্ধমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করাসহ প্রণিত আইন ব্যপকভাবে প্রচার এবং আইনের প্রয়োগ করার জন্য জোর সুপারিশ করা হয়।প্রধান অতিথি স্বাস্থ্য বিভাগ ও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছা বেগম জীবন থেকে নেয়া উদাহরণ দিয়ে বলেন শৈশবে আমরা পড়ালেখার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ এবং মুক্তমাঠে খেলাধুলা, ছোটাছুটি করা, অবাধ সাতার পাড়া, সুস্থধারার আড্ডায় মেতে থেকেছ। আর এখন অভিভাবকরা সন্তানদের ভারী বইয়ের ব্যগ কাধে তুলে দিয়ে স্কুল, কোচিং দৌড়াদৌড়িতে ব্যস্ত। এ প্লাসের নেশায় তারা মত্ত থাকে। ঘরে এসে ইন্টানেটে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। একটা পর্যায়ে মানুষ হবার বদলে ডিরেল হয়ে পড়ে। এ অবস্থা থেকে আমাদের পরিত্রাণ না হলে পরিণতি ভয়াবহ হবে। এক্ষেত্রে তিনি সমন্বিত উদ্যেগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। অপরাপর জামালপুরে ভূমি মালিকদের মাঝে মাঠপর্চা বিতরণজামালপুর পৌরসভায় আধুনিক ও ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি জরিপ শেষে শনিবার এলাকার ভূমিমালিকদের মাঝে মাঠপর্চা বিতরণ করা হয়। তিরুথা আব্দুল বারেক সাহেবের বাড়িতে পর্চা বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট মানাধিকার কর্মী ও সাংবাদিক জাহাঙ্গীর সেলিম।পর্চা বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন সার্ভেয়ার ও টিমলিডার মোহাম্মদ রুহুল আমিন, সর্দার আমিন গোলাম মোস্?তফা, বদর আমিন সাইফুল ইসলাম, চেইনম্যান গাজী নাছির উদ্দিনসহ এলাকার অর্ধাশতাধীক ভূমি মালিক।জামালপুুর পৌরসভার বন্ধতীর্থ মৌজার ৫২ নং জেল ও ২ নং সীটের আওতায় ৫০০ খতিয়ানের মধ্যে ৪২০টি খতিয়ান জরিপ শেষ হয়েছে। বাকী ৮০টির জরিপ আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে শেষ হবে বলে জরিপকারীরা জানান। ভূমি মালিক মিয়ার উদ্দিন মাস্টার বলেন আন্যান্য এলাকায় জরিপকারীদের ব্যপারে অভিযোগ থাকলেও ২নং সিটের আওতায় বিশেষ করে সার্ভেয়ার রুহুল অমিন সাহেবের নামে কোন মালিকের পক্ষে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ উঠে নাই। অপর ভূমি মালিক জয়নাল আবেদীন বলেন এই টিম দ্রুত সময়ের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তি করে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ও পরিবেশে জরিপের কাজ শেষ করেন। আমরা খুবই খুশি। নারী ভূমি মালিক শরিফা বেগম পর্চা হাতে পেয়ে খুশি হয়ে বলেনএত সহজে ও দ্র্রুত সময়ের মধ্যে টাকা পয়সা ছাড়াই পর্চা হাতে পাবো তা ভাবি নাই। দরিদ্র কৃষক ও অল্প জমির মালিক গনি মিয়া বলেন আমরা কোন হয়রানীর শিকার হইনি। এ ব্যপারে মুঠোফোনে আঞ্চলিক সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা (জেডএসও) জন কেনেডি জাম্বিল বলেন আমরা স্বচ্ছতার সাথে জরিপ কাজ করার চেষ্টা করছি। এরপরও যদি কেউ অনৈতিক কিছু দাবি করে তখন সরাসরি আমাকে অভিযোগ করতে পারেন। অভিযোগকারী তথ্যপ্রমানসহ উপস্থাপন করলে ওই কর্মচারির বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। অপরদিকে জামালপুরে বিট পুলিশিং কার্যক্রমের বিশেষ সভাএলাকা থেকে মাদক, জুয়া, যৌন নির্যাতন, বাল্য বিয়েসহ সবধরণের সামাজিক অপাধ নির্মূলে জামালপুর পৌরসভার ১১ ও ১২ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ৭নং বিট পুলিশিং ও কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমের আওতায় শনিবার বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী জাহাঙ্গীর সেলিম। বামুনপাড়া বিট পুলিশিং কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন ৭নং বিট এর সদ্য সাবেক বিট পুলিশ অফিসার মোঃ তারিকুজ্জামান, সদ্য যোগদানকারী বিট পুলিশ অফিসার মাজহারুল ইসলাম, এলাকারবাসীর পক্ষে হাবিবুর রহমান, একরামুল হক আবু, বিদ্যুৎ হোসেন, উদয়ন ক্লাবের সভাপতি সাজন প্রমুখ। সভায় এলাকার বিট কার্যক্রমের সফলগাঁথা তুলে ধরে বক্তারা বলেন এ এলকার বিট কার্যক্রম শুরু হবার পর মাদক ও জুয়া নেই বললেই চলে। এছাড়া পারিবারিক বিরোধ নিষ্পত্তি, ছোটখাটো বিরোধ নিষ্পত্তি, সামাজিক বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন ইস্যুতে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে। বিদায়ী বিট অফিসার তারিকুজ্জামানের প্রশংসা করে বলেন তিনি এলাকার জন্য নিজের মনে করে কাজ করেছেন। নতুন অফিসার যেনো এলাকায় নিয়মিত আসেন এ ব্যপারেও উপস্থিত সবাই অনুরোধ করেন।