শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫১ পূর্বাহ্ন

কাজী নজরুলকে জাতীয় কবি ঘোষণার গেজেট প্রকাশে রিট

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় বুধবার, ২২ জুন, ২০২২

কাজী নজরুল ইসলামকে ‘জাতীয় কবি’ ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটি দায়ের করা হয়েছে। ১০ আইনজীবীর পক্ষে আইনজীবী মোঃ আসাদ উদ্দিন এ রিট দায়ের করেন। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলা অ্যাকাডেমির মহাপরিচালক এবং কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালককে রিটে বিবাদী করা হয়েছে। এর আগে গত ৩১ মে কাজী নজরুল ইসলামকে ‘জাতীয় কবি’ হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশের জন্য সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোঃ আসাদ উদ্দিনসহ ১০ জন আইনজীবী এ নোটিশ পাঠান। নোটিশ পাঠানো অন্য আইনজীবীরা হলেন- মোহাম্মদ মিসবাহ উদ্দিন, মোঃ জোবায়দুর রহমান, আল রেজা মোঃ আমির, মোঃ রেজাউল ইসলাম, কে এম মামুনুর রশিদ, মোঃ আশরাফুল ইসলাম, শাহীনুর রহমান, মোঃ রেজাউল করিম এবং মোঃ আলাউদ্দিন। লিগ্যাল নোটিশ পাঠানোর পর আইনজীবী মোঃ আসাদ উদ্দিন বলেছিলেন, কাজী নজরুল ইসলাম মৌখিকভাবে বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে পরিচিত হলেও লিখিতভাবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নেই। বলা হয়ে থাকে, ১৯২৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর কলকাতার আলবার্ট হলে একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে সর্বভারতীয় বাঙালিদের পক্ষ থেকে কবিকে জাতীয় সংবর্ধনা দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। ওই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কাজী নজরুলকে ‘জাতীয় কবি’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সেই থেকে মুখে মুখে তিনি জাতীয় কবি হয়ে আছেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত সরকারিভাবে তাকে জাতীয় কবি হিসাবে ঘোষণা করে কোনো প্রজ্ঞাপন বা গেজেট প্রকাশ করা হয়নি। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। কারণ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি কোনো মৌখিক বিষয় নয়।
তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ২৪ মে কবিকে বাংলাদেশে আনা হয়। বসবাসের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ধানমন্ডিতে তাকে একটি বাড়ি দেয়া হয়। বাংলাসাহিত্য ও সংস্কৃতিতে অবদানের জন্য ১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাকে ডি-লিট উপাধিতে ভূষিত করা হয়। এরপর ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দিয়ে সরকারি আদেশ জারি করা হয়। ১৯৭৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি তাকে ‘একুশে পদক’ দেয়া হয়। সবকিছুরই ছবি, তথ্যসহ লিখিত দলিল আছে। কিন্তু নির্মম সত্য এটিই যে, ‘জাতীয় কবি’ হিসেবে সরকারি ঘোষণার কোনো লিখিত দলিল বা প্রমাণক নেই। বাংলাদেশের দুটি আইনে জাতীয় কবি হিসেবে নজরুলের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বিভিন্ন সরকারি আয়োজনে তাকে জাতীয় কবি হিসেবে উল্লেখও করা হয়। কিন্তু সবই পরোক্ষ স্বীকৃতি। এমন স্বীকৃতি কালের পরিবর্তনে মুছে যেতে পারে। আগামীর প্রজন্ম একদিন হয়তো না-ও জানতে পারে যে, আমাদের জাতীয় কবির নাম কাজী নজরুল ইসলাম।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com