পদ্মা সেতুর নাটবল্টু খোলার অভিযোগে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার বিকেলে রাজধানীর শান্তিনগর এলাকা থেকে মো. বায়েজিদ (৩১) নামের ওই যুবককে আটক করা হয়েছে। এর আগে সেতুর নাটবল্টু খোলার একটি ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে।
যান চলাচলের প্রথম দিন গতকাল রোববার গাড়ি থেকে নেমে প্রচুর মানুষ পদ্মা সেতুতে হাঁটাহাঁটি করে
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাইবার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল করিম (মাসুদ) প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ভিডিওতে যে যুবককে পদ্মা সেতুর নাটবল্টু খুলতে দেখা গেছে, তাঁকে আমরা আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। তাঁর নাম মো. বায়েজিদ। তিনি কেন এই কাজ করেছেন, সেটা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
এ বিষয়ে আজ সোমবার সিআইডি সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান পুলিশ সুপার রেজাউল। সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, বায়েজিদের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী। তিনি কোথায় থাকেন, কী করেন-সে বিষয়ে এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিআইডির একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ওই যুবকের ব্যক্তিগত গাড়ি আছে। সেটা নিয়েই তিনি চলাফেরা করেন।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের যানবাহনের চাপ বাড়ে। যাত্রীর চেয়ে দর্শনার্থীর সংখ্যাই ছিল বেশি। মুন্সিগঞ্জ, ২৬ জুন
দেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হয়েছে গতকাল শনিবার। আজ ভোরে যান চলাচলের জন্য এই সেতু উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। দুপুরের দিকে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে এক যুবককে নাটবল্টু খুলে সেটা দর্শকদের উদ্দেশে তুলে ধরতে দেখা যায়।
বায়েজিদ কেন এই কাজ করলেন, তা বের করতে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিআইডি
এরপর সেতু বিভাগ থেকে পদ্মা সেতুতে উৎসুক মানুষের হাঁটাচলার বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। বলা হয়, সেতুর ওপর এবং টোলপ্লাজার আশপাশে গুরুত্বপূর্ণ মালামাল ও যন্ত্রপাতি আছে। উৎসুক মানুষের কেউ কেউ সেতুতে নেমে এসব মালামাল ও যন্ত্রপাতি চুরি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অবস্থায় সেতুতে মানুষের না নামার বিষয়টি নিশ্চিত করতে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে অনুরোধ জানিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ।