হজব্রত পালনের জন্য ছুটিতে মুশফিকুর রহিম। ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজেকে ফিরে পেয়ে দুই টেস্টে শতরান করা মিস্টার ডিপেন্ডেবলকে খুব মিস করেছে টিম বাংলাদেশ। তার অনুপস্থিতিতে যে দুজনকে কান্ডারি ভাবা হয়েছিল, সেই সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালও নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে পারেননি।
সাকিব প্রথম টেস্টে উভয় ইনিংসে ফিফটি (৫১ ও ৬৩) করলেও শেষ টেস্টে কিছুই করতে পারেননি। আর তামিম প্রস্তুতি ম্যাচে ‘বিগ হান্ড্রেড’ (১৬২) করলেও টেস্ট সিরিজে জায়গা মতো চরম ব্যর্থ। চার ইনিংসে দেশসেরা ওপেনারের ব্যাট থেকে এসেছে সাকুল্যে (২৯, ২২, ৪৬ ও ৪) ১০১ রান। বাকিদের মধ্যে লিটন দাস শেষ টেস্টে একটি অর্ধশতক (৫৩) করলেও বাকি তিন ইনিংসে (১২, ১৭ ও ১৯) কিছু করতে পারেননি। অনেকদিন পর সুযোগ পেয়ে নুরুল হাসান সোহান বরং দুই টেস্টেই একবার করে পঞ্চাশের ঘরে (৬৪ ও ৬০*) পা রেখেছেন। এছাড়া মাহমুদুল হাসান জয় (০, ৪২, ১০, ১৩) নাজমুল হোসেন শান্ত (০, ১৭, ২৬, ৪২), মুমিনুল হক (০ ও ৪) ও এনামুল হক বিজয়রা (২৩ ও ৪) সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেনি। তামিম-সাকিবের যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে না পারা ও বাকিদের সাহায্যর হাত বাড়িয়ে দিতে না পারার কারণেই কি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বিপর্যয় টাইগারদের? নামি ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ ও ব্যাটিং উপদেষ্টা নাজমুল আবেদিন ফাহিম ঠিক তা মনে করেন না। তিনি সিনিয়রদের পক্ষে। ব্যাখ্যা-বিশ্লেষনে ফাহিম বোঝানোর চেষ্টা করেন, সাকিব-তামিমের জ্বলে উঠতে না পারাই ব্যর্থতার মূল কারণ ভাবার অবকাশ নেই।
তার ভাষ্য, ‘তামিম, মুশফিক, সাকিবরা অনেকটা পথ পাড়ি দিয়ে এসেছে। তারা এক যুগের বেশি সময় ধরে দলকে সামনে এগিয়ে নিয়ে এসেছে। তারা নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্যটা যথাযথভাবেই পালন করে এসেছে। তাদের হাত ধরেই বিগত দিনে দল সামনে এগিয়েছে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘কিন্তু এখান থেকে সামনে আগাতে হলে প্রয়োজন নতুন, তরুণদের উঠে আসা। এখান থেকে দলকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্বটা তামিম, মুশফিক, সাকিবদের না। সেটা তরুণদের। তাদেরই আগামী দিনের কান্ডারি হতে হবে। দলকে এগিয়ে নিতে হবে।’ ‘আগামী দিনগুলোতে জয়, শান্ত, সোহান ও মেহেদি মিরাজদের সামনে এগিয়ে আসতে হবে। তাদেরই দায়িত্ব নিয়ে দলকে এগিয়ে নেওয়ার গুরুদায়িত্ব নিতে হবে। তাদের বুঝতে হবে এবং মাথায় রাখতে হবে সিনিয়রদের ছত্রছায়ায় থেকে থেকে সহায়ক ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার দিন শেষ। এখন দলের সমুদয় দায়িত্ব নিয়ে খেলার সময় এসেছে।’