পদ্মা সেতুতে স্পিডগান, সিসিটিভি স্থাপনের পর মোটরসাইকেল চলাচলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। গতকাল মঙ্গলবার (২৮ জুন) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন সব দপ্তর/সংস্থার ২০২২-২৩ সালের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সই ও ২০২১-২২ সালের শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।
পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা যে অনির্দিষ্টকালীন সিদ্ধান্ত তা নয়। এটা এখন বন্ধ আছে, মোটরবাইক সম্পর্কে যেটা বলা হয়েছে সেখানে এখন স্পিডগান, সিসিটিভি মিটার বসানো হবে। সেগুলো স্থাপনের পর হয়তো নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
যাত্রী কম থাকায় লঞ্চ মালিকদের হতাশা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনদিনেই হতাশা এলে হবে না। আমরা তো আশাবাদী। ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ কেন তৈরি করছি? এটার চাহিদা আছে বলেই করছি। সেজন্য আমাদের শত শত কোটি টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে, আমরা তো লক্ষ্য নিয়েই আছি। আমরা তো অপরিকল্পিত দেশ পরিচালনা করছি না। অপ্রয়োজনীয় কিছু প্রধানমন্ত্রী করছেন না। আমি মনে করি, লঞ্চ যাত্রা সামনে আরও উপভোগ করবেন। পদ্মা সেতুর নাট-বল্টু খোলার সঙ্গে রাজনীতি দেখছেন কি না সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা দেখেছি যে একজন নেত্রী যিনি এতিমের টাকা আত্মসাতের জন্য কারাবরণ করে আছেন, তিনি নিজেই বলেছেন পদ্মা সেতুতে কেউ যাবেন না ভেঙে পড়বে, এটার নাট-বল্টু জোড়াতালির। জোড়াতালির রাজনীতি তো সেরকমই। তাকে যারা ফলো করেন তারা তো এটাকে সত্যই মনে করবেন। গলা থেকে একজন নারীর অলংকার ছিনতাই যেমন এটিও তেমন।