পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে শুরু হয়েছে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি। গতকাল শুক্রবার ১ জুলাই সকাল ৮টা থেকে এই টিকিট বিক্রি শুরু হয়। এদিন দেওয়া হয়েছে ৫ জুলাইয়ের টিকিট। তবে টিকিট বিক্রির প্রথম দিনেই তিন ঘণ্টার মধ্যে প্রায় সব টিকিট শেষ হয়ে যায়। এমনই অভিযোগ করেছেন টিকিট প্রত্যাশীরা। তারা বলছেন, প্রতি লাইনের প্রথম কিছু লোক টিকিট পেয়েছে। বাকিরা আর পায়নি। রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে গেলে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার রাত থেকেই কাউন্টারে দাঁড়িয়েছেন টিকিট প্রত্যাশীরা। রাজধানীর গেন্ডারিয়া থেকে আসা মো. মহিউদ্দিন বলেন, গতকাল রাত ১০টায় এসে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। শুক্রবার বেলা ১১টায় যখন কাউন্টারের ঠিক কাছে আসলাম তখনই শুনি টিকিট শেষ। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েও টিকিট পেলাম না।
আরেক টিকিট প্রত্যাশী মো. মোস্তফা কামাল বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি। দিনাজপুরের টিকিট আগেই শেষ হয়ে গেছে। আজ শুক্রবার জন্য এখন অপেক্ষা করতে হবে। মিরপুর থেকে টিকিট কাটতে আসা রিয়াদ বলেন, লাইনে দাঁড়িয়েছিলাম, আবার অনলাইনেও টিকিট কাটার চেষ্টা করেছি, কিন্তু কোনো টিকিট পাইনি। ঢাকায় ছয় স্টেশন এবং গাজীপুরের জয়দেবপুর স্টেশনে পাওয়া যাচ্ছে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট। এর মধ্যে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে উত্তরাঞ্চলগামী আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট মিলছে। আর রাজশাহী ও খুলনাগামী ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে কমলাপুর শহরতলী প্ল্যাটফর্ম থেকে। ঢাকা বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীগামী সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। তেজগাঁও রেলস্টেশনে পাওয়া যাচ্ছে ময়মনসিংহ, জামালপুর ও দেওয়ানগঞ্জগামী ট্রেনের টিকিট। এছাড়া ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে মিলছে মোহনগঞ্জগামী মোহনগঞ্জ ও হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট। ফুলবাড়িয়া রেলস্টেশন থেকে সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। ১ জুলাই দেওয়া হয়েছে ৫ জুলাইয়ের টিকিট। আজ ২ জুলাই মিলবে ৬ জুলাইয়ের টিকিট। ৩ জুলাই দেওয়া হবে ৭ জুলাইয়ের টিকিট। ৪ জুলাই পাওয়া যাবে ৮ জুলাইয়ের টিকিট এবং ৫ জুলাই দেওয়া হবে ৯ জুলাইয়ের টিকিট। এছাড়া ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে ৭ জুলাই থেকে। ওইদিন ১১ জুলাইয়ের টিকিট বিক্রি হবে।