কুড়িগ্রামে বিদ্যালয়ে পাঠদান চলা কালিন সময় শিক্ষক লাঞ্চিত হওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে ঘন্টা ব্যাপি মানববন্ধন করেন কুড়িগ্রাম সদরের করিমের খামার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীও শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে বক্তারা জানান যে, অত্র বিদ্যালয়টি ১৯৯৮সালে এমপিও ভুক্ত হয়ে ২০০১সাল থেকে শিক্ষার্থীরা এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে আসছে। বিদ্যালয়টির অভ্যান্তরিন আয় যথেষ্ট পরিমাণ হয়ে আসছে। প্রতিবছর ২বার উপবৃত্তি টিউশন ফি সহ প্রায় ৪ লাখ টাকা আয় হয়ে থাকে। যা প্রধান শিক্ষক একক ভাবে বিভিন্ন খাতে খরচ করছেন বলে জানান তারা। এ ছারাও তিনি শিক্ষার্থীদের কাছে বিভিন্ন ফি, রেজি, পরিক্ষার ফি,ফরম পুরন একক ভাবে বিনা রশিদে আদায় করে সিংহ ভাগ আত্মসৎ করে নাম মাত্র আদায় হয়েছে বলে থাকেন। যা আয় ব্যয়ের হিসাব ও রশিদ বইয়ের মুরি পত্রে প্রমান পাওয়া যাবে। উল্লেখ যে, সদ্য অনুষ্ঠিত অর্ধবার্ষিক পরিক্ষায় প্রায় ৫৫ হাজার টাকা আয় হলেও প্রধান শিক্ষক এখন পযন্ত অন্যান্য শিক্ষকদের পরিক্ষা গ্রহন ও খাতা মুল্যায়নের সম্মানী প্রদান না করায় শিক্ষকরা গত ২৯/৬/২২ ইং তারিখে ঈদুল আজহা উপলক্ষে বোনাস ও পরিক্ষা গ্রহনের সম্মানি চেয়ে একটি আবেদন পত্র প্রধান শিক্ষক কে দিলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এবং প্রধান শিক্ষকের ভারাটিয়া পেটানো বাহিনী আঃ রাজ্জাক নামক একজন কে ডেকে এনে ৬ষ্ঠ শ্রেনীর কক্ষে পাঠান। সেখানে পাঠদান রত সিনিয়র শিক্ষক মোঃ মতিয়ার রহমান কে খমক দিয়ে বাইরে আসতে বলে এবং তাকে জুতা দিয়ে মারতে যায়। সেখানে উচ্চ আওয়াজ শুনে অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ সাখাওয়াত হোসেন সহ অন্যান্য শিক্ষক এগিয়ে এসে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করলে রাজ্জার আরো উত্তেজিত হয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক সাখাওয়াত হোসেনের দৃব্যবহার করে, এবং পরের দিন প্রধান শিক্ষক আবার ও তার পেটানো বাহিনী রাজ্জাক কে নিয়ে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন এবং শিক্ষকদের বিভিন্ন ভাবে শায়েস্তা হয়রানি করবেন মর্মে হুমকি দিতে থাকেন। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও সাধারণ কর্মচারিরা নিরাপত্তা হিনতায় ভুগছেন মর্মে গত ২৯/৬/২২ ইং তারিখে অত্র বিদ্যালয়ের সভাপতি ও গত ৩০/৬/২২ ইং তারিখে জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবরে দুটি অভিযোগ দায়ের করেন। এতে কোন প্রকার কাজ না হওয়ায় আজ সোমবার দুপুরে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে লাঞ্চিত শিক্ষকরা এ ঘটনার সুস্ঠ তদন্ত দাবী করে দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবী জানান।