বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ঈদুল আজহার আগেই কারাবন্দি নেতা-কর্মীদের মুক্তি দিয়ে তাদের পরিবারের সাথে ঈদুল আজহা উদযাপন করার সুযোগ দিন। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে জামায়াতের আমির বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মুফাসসিরে কুরআন ও সাবেক এমপি মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর যাবত কারাগারে বন্দি রয়েছেন। সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল জনাব এ টি এম আজহারুল ইসলাম প্রায় ১১ বছর যাবত ও সাবেক এমপি অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল খালেক মণ্ডল প্রায় সাত বছর যাবত কারাগারে আটক রয়েছেন।
এছাড়াও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি মাওলানা আনম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, চট্টগ্রাম মহানগর শাখার নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি জনাব শাহজাহান চৌধুরীসহ জামায়াতের অনেক নেতৃবৃন্দকে মিথ্যা মামলায় দীর্ঘ দিন ধরে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযমের ছেলে সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আল আযমী ও জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নির্বাহী পরিষদ সদস্য শহীদ মীর কাসেম আলীর ছেলে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের তরুণ আইনজীবী ব্যারিস্টার মীর আহমাদ বিন কাসেম আরমানকে ২০১৬ সালের আগস্ট মাস থেকে গুম করে রাখা হয়েছে। তাদেরকে নিজ নিজ বাসা থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয় দিয়ে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়। আজ পর্যন্ত তাদের পরিবার-পরিজন জানতে পারেনি তারা কোথায়, কী অবস্থায় আছে। ছয় বছর যাবত তাদের পরিবার-পরিজন গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে জীবন-যাপন করছেন।
এসব নেতা-কর্মীদের মুক্তি চেয়ে তিনি বলেন, ‘ঈদুল আজহার আগেই তাদের ফিরিয়ে দিয়ে পরিবারের সাথে ঈদ পালন করার সুযোগ দেয়ার জন্য আমরা আহ্বান জানাচ্ছি। নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল জনাব এ টি এম আজহারুল ইসলাম ও সাবেক এমপি অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল খালেক ম-ল এবং নায়েবে আমির মাওলানা আনম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও চট্টগ্রাম মহানগর শাখার নায়েবে আমির জনাব শাহজাহান চৌধুরীসহ গ্রেফতারকৃত জামায়াতের সকল নেতা-কর্মী যাতে তাদের পরিবারের সাথে আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করতে পারেন, সেজন্য পবিত্র ঈদুল আজহার আগেই তাদের মুক্তি দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’