মালয়েশিয়ার তরুণী নূর আজিমা প্রেমের টানে বাংলাদেশের কুমিল্লায় এসেছেন। গত সোমবার তিনি ভালোবাসার মানুষ বাংলাদেশী তরুণ সাইফুল ইসলামকে বিয়ে করে বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে বসবাসের দৃঢ় প্রত্যয় নিয়েই বাংলাদেশে পদার্পণ করেছেন। কিন্তু কেন তার এই কঠিন সিদ্ধান্ত! নিজের মাতৃভূমি ছেড়ে সুদূর মালয়েশিয়া থেকে নূর আজিমা কেনই বা চলে এসেছেন এই সবুজ শ্যামল বাংলাদেশে?
জানা গেল, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী ব্যবসায়ী প্রেমিক সাইফুলকে তিনি বিয়ে করতে চাইলে সাইফুল তাকে বাংলাদেশে আসতে বলেন। সাইফুল আরো বলেন, ‘তুমি বাংলাদেশে এসে আমার পরিবারের সাথে কথা বলো। আমার পরিবার যদি চায় তবে আমি তোমাকে বিয়ে করব।’ ভালোবাসার মানুষের শর্ত মেনেই মালয়েশিয়ার পেনাং শহর থেকে বাংলাদেশে ছুটে আসেন নূর আজিমা। তবে তিনি শুধু একাই আসেননি, সাইফুলকে বিয়ে করতে অভিভাবক হিসেবে খালা আমাইকা এম সুকিরি ও খালাতো বোন সারিনা সায়মানকেও নিয়ে আসেন সাথে। পরে উভয় পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ে হয়। সোমবার (১১ জুলাই) ওই তরুণী কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার শিলমুড়ি ইউনিয়নের দীঘলগাও গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে সাইফুল ইসলামের বাড়িতে আসেন। পরদিন মঙ্গলবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে সাইফুল ও আজিমার বিয়ে হয়। মঙ্গলবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিলমুড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: ইসহাক। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি জানান, বরুড়া উপজেলার শিলমুড়ি ইউনিয়নের দীঘলগাও গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে সাইফুল ইসলাম ১০ বছর ধরে মালয়েশিয়ার পেনাং শহরে ব্যবসা করেন। ব্যবসার সুবাদে ওই শহরের বাসিন্দা নূর আজিমার সাথে পরিচয় হয় সাইফুলের। পরে দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তিনি জানান, সেই সম্পর্কের জের ধরে সোমবার প্রেমিক সাইফুলের গ্রামের বাড়িতে ছুটে আসেন মালয়েশিয়ান ওই তরুণী। মঙ্গলবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যায় ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী উভয়ের সম্মতিতে বিয়ে হয় তাদের। প্রেমিক সাইফুল বলেন, নূর আজিমা অত্যন্ত ভদ্র এবং মার্জিত চরিত্রের নারী। সে আমাকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল। আমি বলেছি, তুমি বাংলাদেশে এসে আমার পরিবারের সাথে কথা বলো। আমার পরিবার যদি চায় তবে আমি তোমাকে বিয়ে করব। মেনে নিয়ে সে বাংলাদেশে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে আমার পরিবার ও তার পরিবারের সম্মতিতে আমরা বিয়ে করি।