ধান থেকে আমরা চাল পাই। এ চালের ভাত আমরা শুধু ক্ষুধা নিবারণের জন্যই খাই না। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পুষ্টি পেতেও খেয়ে থাকি। তাই কৃষি বিজ্ঞানীরা আয়রন ও জিংকসমৃদ্ধ নতুন ধানের জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। এসব ধানের চাল মানুষের শরীরের জন্য বেশ উপকারী। আসুন জেনে নিই জিংকসমৃদ্ধ জাতের ধান সম্পর্কে।
আমন মৌসুমে চাষ উপযোগী জিংক ধানের জাত সমূহের মধ্যে রয়েছে ব্রি ধান-৬২। এ ধানের ১০০ দিনের মধ্যেই ঘরে তোলা যায়। ২০ দিনেই চারা রোপণের উপযোগী হয়। এ ধানে জিংকের পরিমাণ কেজি প্রতি ২০ মিলিগ্রাম। ব্রি ধান-৭২ জাতের ধানও বেশ ভালো। এ ধানের ফসল ১২৫ থেকে ১৩০ দিনের মধ্যেই ঘরে তোলা যায়। এ ধানে জিংকের পরিমাণ কেজি প্রতি ২২.৮ মিলিগ্রাম।
ব্রি ধান-২০ জাতের ধান ১২৫ থেকে ১৩০ দিনের ঘরে তোলা যায়। এ ধানে জিংকের পরিমাণ কেজি প্রতি ২৬.৫ মিলিগ্রাম। এর চাল লম্বা, চিকন ও রং লাল বাদাদি রঙের। বোরো মৌসুমে চাষ উপযোগী জিংক ধানের জাত সমূহ সম্পর্কে জেনে নিন। ব্রি ধান-৭৪ জাতের ধান ১৪৫ থেকে ১৪৭ দিনের মধ্যে ঘরে তোলা যায়। এ ধানে জিংকের পরিমাণ কেজি প্রতি ২৪.২ মিলিগ্রাম। এর চাল মাঝারি মোটা ও রং সাদা।
ব্রি ধান-৮৪ জাতের ধান ১৪০ থেকে ১৪৫ দিন। এ ধানে জিংকের পরিমাণ কেজি প্রতি ২৭.৬ মিলিগ্রাম। এতে আয়রনের পরিমাণ ১০.১ মিলিগ্রাম। তাই রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এসব জাতের ধান চাষ করা উচিত।