বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণ করে দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে।
গতকাল রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সভপতিত্বে অনুষ্ঠিত জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে এই ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রস্তাব গৃহিত হয়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের শহীদ আব্দুর রাজ্জাক-সাঈফ মিজান স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সভায় এ ধন্যবাদ প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন বাসসের পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি গৌতম চৌধুরী। এরপর উপস্থিত সদস্যরা অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে করতালি দিয়ে এ প্রস্তাবটিকে সমর্থন জানান এবং বলেন পদ্মা সেতু শুধুমাত্র লোহা-লক্কর, ইট সিমেন্টের স্থাপনা নয়, এটি আমাদের সক্ষমতার প্রতীকও বটে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের অবিষ্মরণীয় অগ্রযাত্রায় এই পদ্মা সেতু যোগ হওয়ায় বিশ^ব্যাপী আমাদের মর্যাদা গ্রহণযোগ্যতা আরো অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ এই সেতুটি উদ্বোধন হওয়ায় অর্থনৈতিকভাবে কল্পনাতীত লাভবান হচ্ছি। ইতোমধ্যেই বাংলার আপেলখ্যাত পিরোজপুরের সুস্বাদু পেয়ারা ট্রাক ভরে সেতু পেরিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে। আমাদের এই অঞ্চলের অর্থনীতি কৃষিভিত্তিক বিধায় আমাদের কৃষকরা এ সেতু নির্মাণের ফলে ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান সভাপতির বক্তব্যে এই প্রস্তাবটিকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আমাদের অশেষ কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ। তিনি বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। এই পদ্মা সেতুটি আমাদের গর্বের- আমাদের গৌরবের। এই গৌরব করার সুযোগ যিনি আমাদেরকে দিলেন সেই বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাঙ্গালী জাতি শ্রদ্ধার সাথে চিরদিন স্মরণ রাখবে।
সভায় পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ হোসেন, সিভিল সার্জন ডা. হাসনাত ইউসুফ জ্যাকী, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এস.এম তৌহিদুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সুলতান মাহমুদ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ওমর ফারুক, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী বলরাম মন্ডল, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আ. ছত্তার হাওলাদার, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আলিম গাজী, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আব্দুর বারী, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. ইকবাল কবীরসহ নির্বাহী প্রকৌশলীগণ ও জেলা পর্যায়ের সকল কর্মকর্তাবৃন্দ, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ, পৌর মেয়রবৃন্দ, মহিলা সংস্থার জেলা চেয়ারম্যান রুহিয়া বেগম হাসি, সাংবাদিকবৃন্দসহ জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এই ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রস্তাবের সিদ্ধান্তের একটি অনুলিপি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রেরণেরও সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
এদিকে ২৫ জুন পিরোজপুর স্টেডিয়ামে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক মন্ডলী, ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ, সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দসহ সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষদের নিয়ে একটি বিশাল সমাবেশ ও আনন্দ উল্লাস, আতশবাজী আকাশে উড়ানো, সংগীতানুষ্ঠানসহ বিভিন্ন আনন্দ উৎসব করতে সফল নেতৃত্ব দেয়ায় জেলা প্রশাসক মো. জাহেদুর রহমানকেও আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানানো হয়।