দ্বিতল পদ্মা সেতুর ওপরে সড়ক পথের পর এখন বাকি নিচতলার রেলপথের কাজ। সেতু হয়ে রেল যাবে ঢাকা থেকে দক্ষিণবঙ্গে। সড়কপথের কাজ শেষ হওয়ায় এবার রেলপথ স্থাপনের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। রেল কর্তৃপক্ষকে এ কাজের অনুমতি দিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ। গত শনিবার (১৭ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মুন্সিগঞ্জের মাওয়া থেকে শরীয়তপুরের জজিরা পর্যন্ত পুরো সেতুর রেলপথের অংশ পরিদর্শন শেষে এ অনুমতি দেওয়া হয়। বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের। তিনি বলেন, আমরা আজকে থেকে রেল কর্তৃপক্ষকে কাজের জন্য অনুমতি দিয়েছি। সেতু রেলট্র্যাকটি রেল কর্তৃপক্ষের আওতায় থাকবে।
সড়ক পথে যান চলাচলে রেলপথের কংক্রিটিং কাজে কোনো সমস্যা হবে না জানিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, সেতুতে ভাইব্রেশনের মাত্রা পয়েন্ট ১৩। যা একেবারেই কম। বিবিএ মনে করছে ভাইব্রেশনের কারণে রেলের কংক্রিটিং করতে কোনো ধরনের সমস্যা হবে না। এরপরও তারা যদি আরও আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে পরীক্ষা করার কোনো কিছু ধরা পড়ে সে ক্ষেত্রে গাড়ির কিছু গতি কমানো লাগলে লাগতেও পারে। তবে না লাগার সম্ভাবনা বেশি। গাড়ি বন্ধের কোনো প্রশ্নই আসে না। উপরে যান চলাচল স্বাভাবিক থাকবে এবং নিচে রেলের কংক্রিটিংয়ের কাজ চলবে। পাশাপাশি সেতুর অবশিষ্ট কাজগুলোও চলবে। এদিকে এক সপ্তাহের মধ্যে পর্যবেক্ষণ শেষে দ্রুতই সেতুতে রেল পথের কাজ শুরুর কথা জানান মাওয়া-ভাঙা সেকশনের প্রকল্প ব্যবস্থাপক-১ বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহমেদ। তিনি বলেন, অনেকদিন ধরেই আমরা চাচ্ছিলাম যে স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ শুরু করবো। আজকে দিনটি এসেছে। সবাই মিলে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ করেছি। কিছু কাজ বাকি আছে, তবে সেগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ না। আমাদের কাজের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আমরা প্রথমে এটিকে পর্যবেক্ষণে নিবো। চোখের দেখাতে খুব একটা ভাইব্রেশন হচ্ছে না, তবে এটি টেকনিক্যাল বিষয়, পুরোটাই যন্ত্রের মাধ্যমে করা হবে। সেক্ষেত্রে তেমন কোনো সমস্যা হবে না। হলেও সেটির সমাধান আছে।
তিন আরও বলেন, শনিবার থেকে কারিগরি বিষয় পরিদর্শন করা হবে। যদি ভাইব্রেশন বেশি হয় তবে পরীক্ষামূলক কাজ করা হবে আর যদি দেখা যায় তেমন কোনো বড় সমস্যা নেই সেক্ষেত্রে মূলকাজই শুরু হবে। পর্যবেক্ষণের জন্য এক সপ্তাহ সময় লাগবে। আমাদের যেসব যন্ত্রাংশ আছে, রেললাইন, স্লিপার সেগুলো মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে রাখা হবে যতদ্রুত সম্ভব আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে কাজ শুরু করবো। সড়ক পথের কোনো বিঘœ না ঘটিয়েই কাজ শেষ করবো। কংক্রিট জমাট বাঁধার বিষয় রয়েছে। তবে এখানে ভাইব্রেশনের মাত্র একেবারেই কম। এ ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না।