টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে খেলার স্ট্যাম্প দিয়ে পিটিয়ে জাকির হোসেন(১৬) নামের এক বাক প্রতিবন্ধী কিশোরকে হাত ভেঙে দেয় পাইস্কা ইউনিয়নের ভত কুড়া দক্ষিণ পাড়ার ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার ফটিক হোসেনের আত্মীয় সজন। আহত হয়েছে ওই বাক প্রতিবন্ধী পরিবারের মা, ভাই, বোনসহ অপর প্রতিবেশি। জরুরী সেবা (৯৯৯) কল পেয়ে গতকাল দুপুরে ওই প্রতিবন্ধীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় গতকালই থানায় অভিযোগ দায়ের করে প্রতিবন্ধী বাবা মাজেদ আলী। গত বৃহস্পতিবার উপজেলার পাইস্কা ইউনিয়নের ভাতকুড়া গ্রামে ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত প্রতিবেশিরা মানিক হোসেন(২৪) মৃত আ. ছালামের ছেলে, মানিকের ভাগ্নে সাব্বির হোসেন(২৬), তাঁর বোন ছালমা বেগম(৪৪), শান্ত হোসেন(২২) আব্দুল হালিমের ছেলে ও সাইফুল ইসলাম(২৭) শহিদ মিয়ার ছেলে। আর আহতরা হলেন, জাকির হোসেনের মা জাহিদা বেগম, ছোট ভাই স্বপন মিয়া, বোন শ্যামলী খাতুন ও প্রতিবেশি সেলিনা বেগম। প্রতিবন্ধীর ছোট ভাই স্বপন মিয়া জানান, গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১ দিকে আমাদের বাড়ির পাশে টিউবলয়ের পাইপ লাইন করছিল মানিকের পরিবার। লাইনের পানি আমাদের রান্না ঘরের দিকে আসে। পানি লাইন অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে বললে খিপ্ত হয় মানিকের পরিবার। আবারও না করলে খিপ্ত হয়ে লাঠি দিয়ে আমার উপর আঘাত করে মানিক। পরে পাশে দাড়িয়ে থাকা আমার প্রতিবন্ধী ভাইয়ের উপর হামলা চালায়। লাঠির আঘাতে তাঁর ডান হাত ভেঙে যায়। তাঁকে উদ্ধার করতে গেলে মা জাহিদা বেগম, বোন শ্যামলী খাতুন ও প্রতিবেশি সেলিনা বেগমকেও পিটিয়ে আহত করে মানিক হোসেন, সাব্বির হোসেন, ছালমা বেগম, শান্ত হোসেন ও সাইফুল ইসলাম। জাকিরকে উদ্ধার করে হাসপালে নিয়ে গেলে তাঁরা প্রথামিক চিকিৎসা দিয়ে জামালপুর হাসপাতালে রেফার্ড করে। স্বপন আরও বলেন, আমরা গবীর মানুষ। টাকা না থাকায় পরিবারের কেউ চিকিৎসা নিতে পরতেছি না। জরুরী সেবায় জানালে ধনবাড়ী থানা পুলিশ এসে জাকিরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে চিৎকিসা দেয়। মানিকরা পাইস্কা ইউনিয়ন ইউপি সদস্য ফটিক হোসেনের সম্পর্কে ভাই হওয়ার দাপটে এ হামলা চালায়। আমাদের ওরা সবাই হুমকী দিচ্ছে। আমরা এর বিচাই চাই। এ ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে ইউপি সদস্য ফটিক হোসেন। ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বাবুল বলেন, ‘ঘটনা জানার পর ওই বাক প্রতিবন্ধী পরিবারের সাবাইকে দেখতে যাই। এভাবে নিরীহ পরিবারের উপর হামলা চালানো ঠিক হয়নি তঁদের।’ ধনবাড়ী থানার কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত ইদ্রিস হোসাইন বলেন, ‘জরুরী সেবায় কল পেয়ে ভোক্তভূগী প্রতিন্ধীকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। অভিযুক্ত সাইফুলকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা হবে।