রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:২৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
আমার কথা বলে চাঁদা-সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করলে পুলিশে দিন : আসিফ নজরুল তিস্তার পানি দ্রুত বাড়ছে আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন মাহমুদুর রহমান ঢাকার খাল দিয়ে ব্লু নেটওয়ার্ক তৈরির পরিকল্পনা করছে সরকার : পানিসম্পদ উপদেষ্টা শিক্ষাব্যবস্থায় হিন্দুত্ববাদ ও নাস্তিক্যবাদ বরদাস্ত করা হবে না : মামুনুল হক নৌকা থাকায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন হতে পারে : উপদেষ্টা আদর্শিক ভিন্নতা থাকলেও সবাই একসঙ্গে জাতি গঠনে কাজ করবে: মঞ্জুরুল ইসলাম জাতিসংঘে ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা মাহমুদ আব্বাসের মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে ভাষাসৈনিক অধ্যাপক আব্দুল গফুরের দাফন ছাত্র-জনতার অদম্য সংকল্প ও প্রত্যয় স্বৈরাচার থেকে আমাদের মুক্তি দিয়েছে

পাইলসের সমস্যা চিরতরে সারবে তবে..

খবরপত্র ডেস্ক
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই, ২০২২

পাইলসের সমস্যায় অনেকেই কষ্ট পান। এটি একটি গুরুতর রোগ হলে অনেকেই রোগটি নিয়ে অবহেলা করেন। যদি প্রথমদিকেই পাইলসের সমস্যায় চিকিৎসা নেওয়া হয় তাহলে পরবর্তী সময়ে আর যন্ত্রণা পোহাতে হয় না কিংবা অস্ত্রোপচারের জন্য ছুরি-কাঁচির তলায়ও যেতে হয় না।
পাইলস কেন হয়? এ বিষয়ে ভারতের কলকাতার ঢাকুরিয়া আমরি হাসপাতালের বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. রুদ্রজিৎ পাল জানান, পায়ুদ্বারের ভেতরে অনেক শিরা থাকে। দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে সেই শিরা সাধারণত ফুলে যায়। তারপর ওই স্থান শক্ত হয়ে একটা সময়ের পর তা ছিঁড়ে যায়। আর রক্তনালি ছিঁড়ে গেলে তো রক্তপাত হবেই। এ সমস্যারই নাম পাইলস বা হেমোরয়েডস।
এই চিকিৎসক আরও জানান, রক্তপাতই এই অসুখের প্রধান ও অন্যতম লক্ষণ।সাধারণত মলত্যাগের সঙ্গেই রক্তপাত হতে থাকে। এছাড়া ব্যথাও হয় অনেকের। তবে সবারই যে অসহ্য যন্ত্রণা হয় তা কিন্তু নয়। এক্ষেত্রে প্রাথমিক অবস্থাতে এই রোগ ধরা পড়লে সহজেই সমস্যার সমাধান করা যায়।
এবার পাইলস রোগ সারাতে করণীয়: চিকিৎসকের মতে, প্রথমেই কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে দূরে যেতে হবে। কনস্টিপেশন কমাতে পারলেই এই সমস্যা কমবে। আর ঘরোয়া উপায়ে পাইলসের সমস্যার সমাধান করতে কয়েকটি নিয়ম মানতে হবে। সেগুলো হলো- >> ডা. রুদ্রজিৎ পাল জানান, কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে পাইলসের রোগীদের অবশ্যই ফাইবার বা আঁশজাতীয় খাবার খেতে হবে। ফাইবার মল নরম করতে ও নিয়মিত মলত্যাগে সাহায্য করে। >> অনেকেই সারদিনে ৩-৪ লিটার পানি পান করেন না। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। তাই জলপান করতেই হবে। মনে রাখবেন, শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে পারলে অনেক রোগেরই ঝুঁকি কমবে। >> শরীরচর্চার বিকল্প নেই। রুদ্রজিৎ পাল এ বিষয়ে জানান, সুস্থ থাকতে হলে ব্যায়াম করতেই হবে। ব্যায়াম করলে অন্ত্রের চলন ঠিক থাকে। ফলে কৌষ্ঠকাঠিন্য থেকে দূরে থাকতে পারবেন। দিনে অন্ততপক্ষে ৪৫ মিনিট ব্যায়াম করুন।

>> শিশুকাল থেকেই সবার টয়েলট ট্রেনিং পাওয়া জরুরি। এই চিকিৎসকের মতে, বেশিরভাগ সময় দেখা যায় যে টয়লেট ট্রেনিং ঠিকমতো না হওয়ার কারণে শিশুরা অনিয়মিত মলত্যাগ করছে। এতে কিন্তু ছোট থেকেই শিশু কৌষ্ঠকাঠিন্যের ভুগছে, পরবর্তী সময়ে দেখা যায় এর থেকেই অল্প বয়সেই সে পাইলসের রোগী হয়ে যায়।
এসব নিয়ম মেনেও যদি পাইলসের সমস্যা না কমে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ওষুধ খেতে হবে। এই অবস্থায় ল্যাক্সেটিভসহ বেশ কিছু ওষুধ দারুণ কার্যকরী বলে জানান ডা.রুদ্রজিৎ পাল। তবে এই রোগ আরও গভীরে চলে গেলে ওষুধেও একসময় কাজ হয় না। তখন করতে হয় সার্জারি। এখন উন্নত প্রযুক্তি দ্বারা এই অপারেশন করা হয়, যা খুবই নিরাপদ। সার্জারির পরে রোগী খুব সহজেই সুস্থ হয়ে যান।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com