বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫২ পূর্বাহ্ন

মহেশখালীতে কলাচাষির মুখে ফুটেছে হাসি

কাইছার হামিদ মহেশখালী :
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই, ২০২২

সবুজ শ্যামলে ভরপুর সাগরকন্যা দ্বীপ মহেশখালীতেও ইতিমধ্যে অধিক গুণগত পুষ্টিতে ভরপুর কলাচাষ করে রমিজ নামের চাষীর মুখে ফুটেছে সাফল্যের হাসি। পরিদর্শনে গিয়ে দেখা কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের ছনখোলা পাড়া¯’ প্রথান সড়কের পশ্চিমে বিলে ব্যতিক্রম ধর্মী কলা চাষ করে প্রথম বছরেই বাম্পার ফলনে তিনগুণ লাভের দ্বারপ্রান্তে। বর্তমানে ওই চাষীর মুখে ফুটেছে সাফল্যের হাসি। তার হাসিতে আত্মহারা পুরো পরিবারসহ এলাকাবাসি। এতদাঞ্চলে সবুজে মোড়ানো বিলের বুকজুড়ে সাজানো কলাবাগানটিতে দেখা যায় কলা গাছের সবুজ পাতার আড়ালে ঝুলে আছে কাঁচা-পাকা কলার ছড়া। কালের বিবর্তনে পাহাড়ি অঞ্চল ছাড়াও ফসলি জমিতে কলা চাষ করে অর্থনৈতিক স্ব”ছলতার পথে হাঁটছে এদ্বীপের চাষীরা। উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের চাষি রমিজ উদ্দিন বাণিজ্যিকভাবে কলা চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন। তুলনামূলক কম খরচে বেশি লাভ পাওয়ায় কলা চাষে উদ্যম তিনি। ফসলি জমিতে বাণিজ্যিকভাবে এসব কলার চাষ করে কলার ছড়ার পাশাপশি কলা গাছের চারা বিক্রয় করা যায়। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ৭ হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে এ কলা চাষ হয়েছে। পঞ্চাশ বছর বয়েসি চাষী রমিজ উদ্দীনন ¯’ানীয় ম”ত গোলাম কাদের এর পুত। তার দুই ছেলে দুই মেয়ে সন্তানসহ ৪ সদস্যের ছোট্ট পরিবার তার সুখের সংসার। ছোট-খাটেও কৃষি কাজ করলে অভাব-অনটন পিছু ছাড়ছিলো না তার। দীর্ঘদিন ধরে পান বরজের পাশপাশি জীবন-জীবিকার তাগিদে অবশেষে শুরু করেন ব্যতিক্রমধর্মী কলাচাষ। বাড়ির আঙ্গিনার কয়েক কিলোমিটার দুরুত্বে ৫০ শতক ববা ১৫০ কড়া জমিতে সাগরি কলাসহ কয়েক ধরণের কলা বাগান করার মাধ্যমে রমিজ উদ্দিন বেকারত্ব জীবনের অবসান হয়। এতে তার সুখিময় সংসার। ইতিমধ্যে এলাকায় একজন সফল কলাচাষী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তিনি কলাচাষের বাম্পার ফলন করেন এ অজপাড়া গ্রামে। কলা বাগান দেখতে বা পাইকারী দামে কলা ক্রয় করতে ছুটে আসছেন বিভন্ন গ্রাম থেকে ব্যবসায়ীরা ও চাষীরা। এতে কলার ছড়া ছাড়া কলার চারা বিক্রি চলছে পুরোদমে। রমিজ উদ্দিন ভাষ্যানুসারে, তিনি অগ্রীম জমি বর্গা নিয়ে কলা চাষ শুরু করেছেন। বর্তমানে তার কলাবাগানে ৭শত মতো কলার ছড়া রয়েছে প্রতি ছড়ায় ১০-১৫ কাঁদি রয়েছে। বাকি গুলোতে কাঁদি আসতে শুরু করেছে। প্রতিটি কাঁদির মূল্য গুণগত মান অনুসারে ৩০-৪০ টাকা এতে প্রতি ছড়ার বাজার মূল্য ৭শত-১হাজার টাকা। চারা কলার গাছ লাগানের ৯ থেকে ১২ মাসের মধ্যে কলা ছড়া নেমে। পাশাপশি একটি কলা গাছ থেকে কয়েকটি চারাও পাওয়া যার। প্রতিটি চারা মূল্য ৩৫-৪০ টাকা করে বিক্রয় হয়। একবার কলা গাছের চারা রোপণ করলে ওই কলা গাছের চারা থেকে বংশব”দ্ধির ফলে ৩/৪ বছর নতুন করে চারা বংশবিস্তার হয়। এভাবে সব খরচ মিলে তার দেড় লক্ষ টাকা মত খরচ হয়েছে। সব কলা বিক্রি করে তিনি বছরে সাড়ে ৪ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন বলে আশা করেছেন। তার দেখানো চাষে উৎসাহিত হয়ে পরামর্শ নিতে দুর্দুরান্ত থেকে ছোটে আসছে মানুষ। মহেশখালী উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা কাইছারুল ইসলাম বলেন, এখানকার জায়গাগুলো উচু ও ধোঁয়াশা হওয়ায় কলার চাষের জন্য খুবই উপযোগি। এছাড়া চাষিদের সার্বিক পরামর্শ দিয়ে ওই বাগানগুলি পরিদর্শন করি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com