অনেকের ত্বকেই ছোট ছোট আঁচিল দেখা যায়। আবার কারও কারও ত্বকে অতিরিক্ত আঁচিল ফুটে ওঠে। জানলে অবাক হবেন, ৩০০০ বছরের পুরোনো মমিগুলোতেও আঁচিলের সন্ধান মিলছে। এমনকি উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের সনেটেও আঁচিলের উল্লেখ আছে। আঁচিল হলো হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস (এইচপিভি) দ্বারা সৃষ্ট ত্বকে গোলাকার আকৃতির মাংসপি-। সাধারণত বেশিরভাগ আঁচিলই বিপজ্জনক নয় তবে এগুলো ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট করে। এমনকি কখনো কখনো আঁচিলগুলো সংক্রামকও হতে পারে। আবার অনেক সময় আঁচিলের স্থানে চুলকানি, পেকে যাওয়া বা রক্তপাত হওয়ার লক্ষণ দেখলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
তবে আপনার ত্বকের আঁচিলগুলো যদি নতুন হয় তাহলে ঘরোয়া উপায়েই তা নির্মূল করতে পারবেন। তবে ডায়াবেটিস রোগী বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যাদের কম তারা ভুলের এই পদ্ধতি অনুসরণ করবেন না।
জেনে নিন আঁচিল দূর করবে কোন ৩ উপাদান-
চা গাছের তেল: টিট্রি অয়েল বা চা গাছের তেলে অনেক পুষ্টিগুণ আছে। আঁচিল দূর করতে ব্যবহার করতে পারেন চা গাছের তেল। এজন্য টি ট্রি অয়েল কয়েক ফোঁটা নিয়ে এর সঙ্গে ২ টেবিল চামচ পানি মিশিয়ে নিন। তারপর এই তেলের মিশ্রণ আঁচিলের উপর ব্যবহার করে কিছুক্ষণ রেখে দিন। দিনে অন্তত ৫-৬ বার এই পদ্ধতি অনুসরণ করলেই ফলাফল মিলবে হাতেনাতে। চা গাছের তেলে থাকা শক্তিশালী অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে সক্ষম। এ কারণে আঁচিল বৃদ্ধির জন্য দায়ী জীবাণুকে ধ্বংস করে চা গাছের তেলের গুণাগুন। ফলে আঁচিল সহজেই নির্মুল হয়।
ক্যাস্টর অয়েল: ক্যাস্টর অয়েলে থাকে অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ে সহায়তা করবে। এজন্য ক্যাস্টর অয়েল আঁচিলে মেলে শুকিয়ে নিন। দৈনিক ২-৩ বার এই পদ্ধতি অনুসরণ করুন। দেখবেন আঁচিল হালকা হতে শুরু করেছে।
আপেল সিডার ভিনেগার: আপেল সিডার ভিনেগারও আঁচিলের চিকিৎসায় দারুন কার্যকরী। এর স্বাস্থ্যগুণ অনেক। বিভিন্ন রোগের দাওয়াই হিসেবে পরীক্ষিত এক উপাদান হলো আপেল সিডার ভিনেগার।
আঁচিলের চিকিৎসায়ও এটি দুর্দান্ত কাজ করে। অম্লীয় উপাদান হওয়ায় এটি ব্যবহারে আঁচিলে টিস্যুগুলোকে ধ্বংস হয়ে যায়। ব্যবহারের জন্য একটি তুলার প্যাড ও ব্যান্ডেজ প্রয়োজন। তুলার প্যাড ভিনেগারে ভিজিয়ে আঁচিলে লাগান। এরপর প্যাডের উপর ব্যান্ডেজ দিয়ে বেঁধে রাখুন। সারারাত এভাবেই রেখে দিন। পরের দিন ব্যান্ডেজ খুলে ফেলুন। দেখবেন এক সপ্তাহের মধ্যেই আঁচিল দূর হয়ে যাবে। সূত্র: ব্রাইট সাইড