দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকটসহ সকল সমস্যার সমাধান রাজপথেই হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, এই দেশ, এই ভূমি, এই দেশের মানুষ সব সময় গণতন্ত্রের পক্ষে। সুতরাং রাজপথে আন্দোলন হবে না এমনটা ভাবার কোনো সুযোগ নেই।
গতকাল শুক্রবার (২২ জুলাই) দুপুরে বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদের কনফারেন্স রুমে এক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা কলেজের সাবেক জিএস ও বিএনপির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মরহুম আব্দুল আউয়াল খানের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই স্মরণসভার আয়োজন করে অপরাজেয় বাংলাদেশ।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, মরহুম আব্দুল আউয়াল খান ছিলেন একজন ধর্মপ্রাণ জাতীয়তাবাদী নেতা। তিনি আসলে আমাদের ছেড়ে যাননি। তিনি আমাদের মাঝে ছিলেন আছেন এবং থাকবেন। তবে স্বশরীরে না হলেও তার কর্মগুণে। তিনি বলেন, দেশের যে সংকট সেটা আমরা ফয়সালা করবো রাজপথে। এটাই আমাদের লক্ষ্য। আমাদের নেতা ইতোমধ্যে সেই ঘোষণা দিয়েছেন। এরশাদের পতন হয়েছিল রাস্তায়। শ্রীলঙ্কার পরিবর্তন হলো রাস্তায়। দেশের অনেক ইস্যুর সমাধান হয়েছে রাস্তায়। দেশে এখন সংসদ নেই। সঙ রয়েছে। দুদু বলেন, আওয়ামী লীগ জানে তাদেরকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে। তারা এখন পতনের দ্বারপ্রান্তে। দেখেন ক্ষমতা এমন জিনিস যা সহজে কেউ ছাড়তে চায় না। কারণ এখানে থেকে অনায়াসে আরাম আয়েশ ও লাগামহীন দুর্নীতি করা যায়। আমরা বলবো, ভাই-বন্ধু, আপনাদেরকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে। আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কিন্তু ক্ষমা করে দেয়ার কথা বলেছেন।
তিনি আরো বলেন, রাজপথে আন্দোলন হবে না এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই। কারণ শ্রীলঙ্কার পরিবর্তন কিন্তু রাজপথের বিপ্লবের মাধ্যমে হয়েছে। এই মাটি, এই দেশ সবসময় গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার পক্ষে। যদি কেউ ভাবেন যে মানুষ সব সময় এক থাকবে তাহলে তা ভুল সিদ্ধান্ত।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ বলেন, আওয়ামী লীগ দেড় যুগ ধরে জোর করে দেশ শাসন করছে। তারা দেশকে বহু পেছনে ঠেলে দিয়েছে। রাজনৈতিক সংস্কৃতি ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ধ্বংস করছে। তারা হাতিরঝিলে শতভাগ বিদ্যুতায়নের দেশ উপলক্ষে উৎসব করেছে। এখন সেই আওয়ামী লীগই কেন এলাকাভিত্তিক রুটিনমাফিক লোডশেডিং করছে? কারণ তারা কুইক রেন্টালের নামে নিজেদের দলীয় লোকদের অবাধে লুটের সুযোগ দিয়েছে। দুই বছর পর শুরু হবে বিদেশী ঋণের কিস্তি পরিশোধ। তখন দেশের পরিস্থিতি কী হবে?
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, তাঁতী দলের কাজী মনিরুজ্জামান মনির, জিয়া নাগরিক ফোরামের মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, কৃষক দলের রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সহ-সভাপতি একেএম ওয়াজেদ আলী ও সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন সিরাজী।