গত পঞ্চাশ বছরে যে আহ্বান অনেক আগেই শোনা উচিত ছিল; কিন্তু বিধিবাম, তা সবেমাত্র শুনতে পাওয়া গেল, এই বিলম্বে শোনাটাও অবশ্যই মন্দের ভালো বলেই ধরে নেয়াটা শ্রেয়; সে আহ্বানটি অতিসম্প্রতি জানিয়েছেন দেশের প্রধান রাজনৈতিক নির্বাহী তথা বাংলাদেশের সরকার, প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। তিনি জাতির নতুন প্রজন্মের প্রতি অদূর ভবিষ্যতে রাষ্ট্রের ভার বুঝে নেয়ার জন্য প্রস্তুত হতে ডাক দিয়েছেন। এই ডাক তথা আহ্বানটা যদি আরো আগে জানানো যেত, তবে হয়তো তরুণদের মধ্যে এই বোধটা আগেই জাগ্রত হতো। তবে প্রশ্ন হতে পারে, কাদের হাতে দায়িত্বভার অর্পণ করা হবে? রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসে ঢুকে অধ্যাপককে হেনস্তাকারী ছাত্রকে, সাভারে ক্রিকেট স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে অধ্যাপক উৎপল দত্তের হত্যাকারীকে, নিরীহ পথচারী বিশ্বজিতের হত্যাকারীদের, ঢাকা কলেজের চাঁদাবাজ ছাত্রদের, যারা মানুষকে হত্যা করে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল সেসব ছাত্রনামধারী দুর্বৃত্তদের, নাকি বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আরবারের হত্যাকারী তার সহপাঠীদের? কেউ হয়তো বলতে পারেন তারা তো ছাত্রসমাজের একটি ক্ষুদ্র অংশ মাত্র। না, তারা সবাই সমাজ বাস্তবতার প্রতীক। আমরা অনুরোধ করব, আপনারা সবাই দয়া করে নিয়মিত সংবাদপত্রের পাতায় নজর রাখুন। এমনতর শত শত নেতিবাচক সংবাদ প্রতিদিন দেখবেন, পড়বেন। তা থেকে বুঝবেন সমাজ বাস্তবতা আজ কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। পিতৃহত্যা মাতৃহত্যা ভ্রাতৃ হত্যাসহ হাজারো খুনখারাবি হচ্ছে দেশে। নানা অপরাধের সয়লাবে সুনীতি, সুসমাচার, প্রেম-প্রীতি, ভালোবাসা, কল্যাণ-কামনা, ধৈর্য-সহ্য, সবই অপরাধের স্রোতের টানে উধাও হয়ে গেছে। প্রতিকার কোথায়? ‘জাস্টিস ডিলেড জাস্টিস ডিনাইড’, দূষিত বায়ুতে মানুষ যেমন ছটফট করে, তেমনি সমাজের দুষ্টচক্রের সৃষ্ট দূষিত পরিবেশের শিকার হয়ে জনগণের এখন ছটফটানি শুরু হয়ে গেছে। এসব দুষ্টচক্রের হাত থেকে এ জনপদকে রক্ষা করবে কে? এসব কাজ যাদের পারার কথা, খোঁজ নিয়ে দেখুন তারাই সেই শক্তিধর, যারা এসব দুষ্টচক্রের পৃষ্ঠপোষক। এসব দুর্বৃত্তই সেই ক্ষমতাধরদের প্রতিপত্তির ‘শ্রী’ বৃদ্ধি করে থাকে। এমন কারণেই বলতে হয়, অসুস্থ সমাজই যত অসুস্থ প্রজন্মের জন্ম দিয়ে থাকে। মূল কথা, সমাজটা যদি পাল্টানো যেত তবে সব বিষবৃক্ষ শুকিয়ে মরত, পানি সিঞ্চন না পেয়ে। কিন্তু এমন এজেন্ডা কারো আছে বলে তো জানি না। যাই হোক, রাষ্ট্রের দায়িত্ব নেয়ার অর্থ আমানতদারী, সেই আমানতের বাস্তব অর্থ বোঝার মতো মানুষ দূরবীক্ষণ যন্ত্র দিয়েও তো এখন খুঁজে বের করা কঠিন। হ্যাঁ, আমরা স্বীকার করি, গর্ব করার মতো কিছু তরুণ এখনো রয়েছে যারা বোধ বিবেচনায় পরিশুদ্ধ; সততা তাদের ভূষণ, জ্ঞান গরিমায় বিশ্বমানের, সেটিই তাদের শক্তি। তাদের কোথায় পাবেন জানেন? বিমানবন্দরে, এরা বিদেশ চলে যাচ্ছে, প্রখ্যাত সব বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলারশিপ নিয়ে। এভাবে দেশ মেধাশূন্য হচ্ছে। তারা চলে যাচ্ছে, এ জন্য যে, এসব তরুণের মনে, আমাদের নেতারা দেশ নিয়ে তাদের মনে কোনো আশাবাদ জাগাতে পারেননি। বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে, যারা দেশ ছেড়ে যাচ্ছে, তাদের বার্ষিক সংখ্যা শত শত নয়, তা বেশ কয়েক হাজার।
অথচ এই যোগ্যদেরই রাজনীতিতে আসা উচিত, দেশকে সেবা দিতে জাতিকে নতুন স্বপ্ন দেখানোর জন্য। অথচ এ দেশের রাজনীতি থেকে তারা হাজার গজ দূরে, কেননা আজকে আমাদের রাজনীতিতে এমন ব্যক্তিদের পদচারণা, যাদের অধিকাংশই শুধু স্লোগান দিতে পারঙ্গম, দাঙ্গাহাঙ্গামায় পারদর্শী, শিক্ষা-দীক্ষায় বকলম, জ্ঞান-গরিমায় শূন্য কলসের মতো বাজে বেশি। এরা কিভাবে সেসব প্রতিশ্রুতিশীল তরুণদের আকর্ষণ করবে? আমাদের নেতাদেরকে বিষয়টা ভেবে দেখতে হবে। অবশ্যই আজো অতীতের মতো মেধাবী রাজনীতিক রাজনৈতিক ময়দানে নেই, তা নয়। তবে তারা সংখ্যালঘু। যেদিন তারা সংখ্যাগুরু হবেন, সেদিন হয়তো দেশে সোনা ফলবে, তবে সেদিন কবে হবে, তা কি কেউ বলতে পারে? সেসব দীপ্যমান তরুণ দেশ ছাড়লে আর কোন প্রজন্মকে খুঁজবেন আগামীতে দেশের দায়িত্ব বুঝে নেয়ার জন্য? এখানে হয়তো বলতে চাইবেন এসব মেধাবী ছাত্র আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই তো বেরিয়েছে। যদি তাই হতো, তবে তো শত শত নয় হাজার হাজার মেধাবী ছাত্রই বের হতো। এখন তো মেধা, ব্যুৎপত্তিসম্পন্ন, জ্ঞান-গরিমায় শ্রেষ্ঠত্বের তকমা পাচ্ছে, তারা অবশ্যই দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। আজকে আমাদের উচ্চশিক্ষার পীঠস্থানগুলোতে উচ্চমানের শিক্ষাদানের পরিবেশ কি রয়েছে? জিজ্ঞাসা এখানেই; তবে এসব বিদ্যাপীঠের যে মানের শিক্ষকরা রয়েছেন, তাদের একটা বড় অংশই আন্তর্জাতিকমানের, তাদের বিদেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নেয়া আছে। কিন্তু তাতে কী হবে, ক্যাম্পাস তো পেশিশক্তির দখলে, তাদের মদদ দিচ্ছে যাদের ক্ষমতা রয়েছে সেসব রাজনৈতিক শক্তি এবং তথাকথিত শিক্ষকদের ক্ষুদ্র একটি অংশ। আমাদের এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফলদায়ী কোনো বৃক্ষ রোপণ করা হয়নি যে, তা ফলভারে নুয়ে পড়বে। বরং বিষবৃক্ষই রোপিত হয়েছে এবং হচ্ছে। আর একটা বড় প্রশ্ন, আমাদের পাঠক্রমে কী সন্নিবেশিত রয়েছে তা আমাদের জানা উচিত, সেখানে সৎমানুষ হওয়ার পাঠ, নীতিনৈতিকতার দীক্ষা, ন্যায়অন্যায়ের বোধ, শ্রদ্ধা-ভালোবাসা সহিষ্ণুতা এসব কি আমাদের পাঠক্রমে রয়েছে? যদি থেকে থাকে ভালো, কিন্তু বিরাজমান পরিস্থিতির আলোকে এ বিষয় মনে করার কোনো কারণ নেই। যেসব বিষয় পাঠ্যক্রমে সংযুক্ত রয়েছে, বলা যায়, আজকের যে পরিবেশ তার সাথে দূর অতীতের পরিবেশের আকাশ-পাতাল পার্থক্য। তখন সমাজজীবন ছিল শান্ত সমাহিত আর আজ তো কেবল উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা। সেই অতীতের ছাত্রদের পড়তে হতো ‘মরাল এথিক্স’, পাপ-পুণ্যের যত কথা। এর প্রতিক্রিয়া সমাজজীবনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত বলে তখন শান্তি স্থিতি ছিল দিন যাপনে। যাক, আমরা ফিরে যাই আমাদের প্রতিপাদ্য বিষয়ে তথা নির্ভরযোগ্য উত্তরসূরির আলোচনায়। আজ প্রকৃতপক্ষে দেশের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য শিক্ষাদীক্ষা, সভ্য ভব্য জ্ঞান-গরিমায় নীতিনৈতিকতায় মানোত্তীর্ণ ব্যক্তিদের খুব প্রয়োজন বলে ভাবা হয় না। বরং দলের স্রোতে ভাসতে জানলে, নেতাদেরকে তোষামোদি করে আর সদা তাদের প্রশংসার বন্যা বইয়ে দিয়ে, তাদের সৃষ্ট স্রোতে গা ভাসিয়ে রাখতে পারলে সব মুশকিল আসান। ক্ষমতা হাতে আসবে খুব সহজেই। সেই ব্যক্তির জন্য সেটি আশীর্বাদ বটে তবে দেশ ও দশের জন্য তা কতটা কল্যাণকর হয়, তা অবশ্য প্রশ্নসাপেক্ষ।
আজ তো বিশ্বে চলছে বুদ্ধি বিবেচনার প্রতিযোগিতা ও সক্ষমতার রেস। আমাদের গড্ডলিকায় ভেসে আসা নেতৃত্ব এসব প্রতিযোগিতায় খোঁড়া ঘোড়ার মতো টেনে হেঁচড়ে চললে তো খাবি খেতে খেতে সবার পেছনেই পড়ে থাকতে হবে। যোগ্যতার এই সঙ্কট নতুন নয়, আমাদের অবিসম্বাদিত নেতা, দেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার অব্যবহিত পরে মনোবেদনা প্রকাশ করে বলেছিলেন, ‘আমার সোনার বাংলা গড়ার সেই সোনার মানুষ কই!’ আজো কি সে অভাব পূরণ হয়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে পিনপতন নীরবতাই হচ্ছে এর জবাব। সে অভাব রেখে নিশ্চিন্তে চলা যাবে না বলেই প্রধানমন্ত্রী উপরোল্লিখিত আহ্বান জানান। তবে সে আহ্বান শুধু একা জানানো হলেই সবার জন্য কার্যকর হবে, সে কথা ভেবে বসে থাকলে চলবে না। আরো অন্তত তিনটি বড় দল রয়েছে, যারা এককভাবে ক্ষমতায় আসতে পারে বা শেয়ার করে দেশের দায়িত্ব নিতে পারে। তাদের দলেও যোগ্য নতুন নেতাকর্মীর প্রয়োজন রয়েছে অনিবার্য। সবারই মনে রাখতে হবে, গণতন্ত্র মানে ক্ষমতার পালাবদলের সার্কেল। জনগণ এ সার্কেল পরিচালনা করে। আজকে হয়তো গণতন্ত্রের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। এখন এই কালো মেঘকে সরাতে, সবার ঐক্য, আর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজন ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস। প্রয়োজন সবার মনঃবিকার দূর করা। যাই হোক, সবার সে আহ্বান জানানোর পর যোগ্য নেতাকর্মী হয়ে যাবে, এমন আশা কিন্তু পিসি সরকারের বা জুয়েল আইচের জাদু নয়। মুহূর্তেই সব হয়ে যাবে এমন প্রক্রিয়া অবাস্তব। এ জন্য দরকার দেশের শিক্ষা কার্যক্রম অর্থবহ করে তোলা তথা যেখান থেকে ছাত্ররা যোগ্য মানুষ হয়ে সমাজে আসবে, পেশি শক্তি নয়। পশু-পাখির বাচ্চা ও ছানা, তারা পশু-পাখিই হয়, কিন্তু মানুষের সন্তানকে সত্যিকার মানুষ হতে হয় প্রশিক্ষণগৃহ থেকে শুরু করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পর্যন্ত। তার কারিকুলাম তথ্য পাঠ্যসূচি যদি ঠিক না হয়, তবে সবই ভেস্তে যাবে।
শিক্ষাপাঠ্যক্রম নিছক বস্তুবাদী হলে, তবে তার ফল হবে মাকাল। সেখানে নীতিনৈতিকতা, ধর্মীয় মূল্যবোধ, সৃজনশীলতা, দশ ও দেশের প্রতি দায়িত্বানুভূতি জাগিয়ে তোলার ‘মন্ত্র’ থাকতে হবে। আমরা কেন বিশ্বের দিকে দৃষ্টি দিই না? সেখানে সুনাগরিকের কোনো কমতি নেই, তারা এক টুকরো কাগজ রাস্তায় না ফেলে যথাস্থানে নিক্ষেপ করছে। রাষ্ট্রও জনগণের প্রতি মমতা ভালোবাসা দেখাতে ত্রুটি করে না, শুধু তাই নয়, দেশের বাইরে দুস্থ মানুষের জন্য ‘চ্যারিটি ফান্ডে’ টাকা দিচ্ছে। ‘আমাদের দেশে সেই ছেলে হবে কবে, কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে। কতকাল এ জন্য অপেক্ষা করতে হবে? কিন্তু আমাদের দেশে তো এখন চলছে কে কত জোরে ‘লিপ সার্ভিস’ দিতে পারে। এখন খাজনার চেয়ে বাজনা বেশি।
আমাদের দায়িত্বশীলরা যা পারেন তাও বলেন, যা পারবেন না সেটি আবার বারবার উচ্চকণ্ঠে বলেন। এসব যোগ্যতা সক্ষমতার অভাবজনিত কারণেই ঘটছে যত সমস্যা। যোগ্য-সক্ষম ব্যক্তিরা আত্মপর্যালোচনা করেন, যা পারেন না তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন, বিনয়ী হন। বসে থাকেন না, কিসে কাজ ভালোভাবে সম্পন্ন করা যাবে, সে জন্য বিজ্ঞজনের পরামর্শ গ্রহণ করেন, কিভাবে সঙ্কট থেকে উত্তরণ ঘটবে। দেশে সমস্যার তো কোনো আকাল নেই, মানুষের হাজারো চাওয়ার বহু বিষয় রয়েছে এ জন্য কোনো অনুসন্ধান কমিটির প্রয়োজন নেই। এসব সমস্যা একে একে হাতে নিয়ে সুরাহার জন্য অগ্রসর হতে হবে। এ দেশের সিলেট বিভাগ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অতিবৃষ্টি, সীমান্তের ওপার থেকে নেমে আসা ঢল। এসব বৈশ্বিক আবহাওয়ার পরিবর্তনের জের। বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৬) সুপারিশগুলোর মধ্যে যা আমাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য সেগুলোর যথাযথ ‘অ্যাডড্রেস’ আমরা করেছি কি? এত ভয়াবহ একটা ব্যাপার অদূর ভবিষ্যতে অনিবার্যভাবে ঘটতে যাচ্ছে; তা যে আমরা কিভাবে মোকাবেলা করব? সিলেট পরিস্থিতি দেখেই বোঝা যায়। ‘আকলমান্দকে লিয়ে ইশারা কাফি।’ জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে বিজ্ঞানীদের ধারণা, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের দক্ষিণের নি¤œাঞ্চলের এক বিস্তীর্ণ অঞ্চল কয়েক ফুট সমুদ্রের পানিতে ডুবে যাবে। ২০৪০ সাল পর্যন্ত সময়ের জন্য আওয়ামী লীগ দলের করণীয় নির্ধারণ করেছে। সে পর্যন্ত দেশের কী হবে, ক্ষমতাসীনরা কিছু কি তার ভেবেছেন, না, তেমন কনক্রিট কিছু তো শুনিনি।
যাক এ প্রসঙ্গ, প্রধানমন্ত্রী দেশের তরুণদের আগামী দিনে রাষ্ট্রভার গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুতি নেয়ার যে আহ্বান জানিয়েছেন, এতে দেশ ও দলকে আর কোনো মেসেজ দেয়ার চেষ্টা আছে কি না তা নিয়ে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মধ্যে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। বেশ আগে চলতি সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর বিদেশী এক সংবাদমাধ্যমের সাথে সাক্ষাৎ দানকালে প্রধানমন্ত্রী এমন আভাস দিয়েছিলেন, এবারই তার শেষ নির্বাচন, এরপর তিনি নির্বাচনে অংশ নেবেন না। এই বক্তব্যকে তিনি এখনো ধরে রেখেছেন কি না তা আমরা জানি না; রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা এখনো মনে রেখেছেন এবং তার ওপর ভিত্তি করেই সংশয়ে আছেন। তবে আমরা মনে করি তিনি সুস্বাস্থ্যের অধিকারী, এখনো কাজে নিমগ্ন, নিবেদিত। তার দলে তার কোনো বিকল্প রয়েছে সেটি কেউ মনে করে না, তিনি রাজনীতি থেকে সরে গেলে দলের কী হবে, সেটি ভাবাই যায় না, তা ছাড়া দেশেও একটা নেতৃত্বের শূন্যতা দেখা দিতেও পারে। সব মিলিয়ে দেখলে বলা যায়, বিষয়টা খুব জটিল। তা ছাড়া তাকে দল ছাড়তে হবে, এটা কল্পনাও করা যায় না। দলের নেতারা আগামী দিন নিয়ে যা এখন বলছেন সেখানে সব কিছু সরাসরি তাকে ঘিরেই। সে জন্য তার এখনই রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর কোনো কারণ নেই, এটা খুবই পরিষ্কার। যে আহ্বান নিয়ে কথা উঠেছে সেটি শুধুই তরুণসমাজের জন্য। ভিন্ন কিছু নয়।
ndigantababor@gmail.com