৭১ এ জন্ম নেয়া দেশ ও বঙ্গবন্ধুর প্রেমে আসক্ত পঙ্গু কাসেম। উঠতি বয়সেই বাম পা হারাতে হয়েছে তার। জরাজীর্ন কুঁেড় ঘরে মানবেতর জীবন যাপন করছে পরিবারের সদস্যরা। কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ মাধখলা গ্রামের পুরান ভূইয়া বাড়ির মৃত হেলিম ভূইয়ার পুত্র কাশেম। ৩ শতক ভিটে বাড়ি ছাড়া সহায় সম্বল বলতে কিছুই নেই পঙ্গু কাসেমের। ছোট বেলা থেকেই কাঠ মেস্ত্রীর কাজ করে আসছিল কাসেম। যুবক বয়সে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে বাম পায়ে পচন দেখা দেয়। বহু চিকিৎসা করেও শেষ রক্ষা হয়নি। আর্থিক দৈন্য দশার মধ্যেও অবশেষে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বাম পা কেটে ফেলতে হয়েছে। চিকিৎসকের পরামর্শে একটানা দুই বছর ধরে বিশ্রামে থাকতে হয় তার। পরিবারের সদস্যদের মুখে অন্ন যোগাতে পঙ্গু অবস্থাই পুনরায় মানুষের ঘর তৈরি কাজ করেন সে। কিন্তু বিধিরাম, শারীরিক অসুস্থার জন্য এখন সে পুরোপুরি কাজ করতে পারছেন না। স্ত্রী, পুত্র ও দুই কন্যা নিয়ে জরাজীর্ন ঘরে বসবাস করতে হচ্ছে। তার বড় মেয়ে এ বছর এসএসসি পরীক্ষার্থী। একটি ঘরের অভাবে পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশ নেই। ঝড় বৃষ্টি এলেই অন্যের ঘরে আশ্রয় নিতে হয় তাদের। ভাঙ্গা পুরাতন দুচালা ঢেউটিনের ঘরে বৃষ্টি এলেই ঝরঝরে পানি পড়ে। পঙ্গু কাশেমের স্ত্রী রুনা আক্তার জানান, একটি ঘরের জন্য জনপ্রতিনিধি ও নেতাকর্মীদের কাছে ধর্না দিলেও এ যাবৎ ঘর পাইনি। প্রতিবন্ধী কাশেম হাউমাউ করে কেঁদে বলেন, সারা জীবন মানুষের ঘর তৈরির কাছ করেছি। কিন্তু আজ আমি ঘরের জন্য কষ্ট করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ঘর পেলে চিরকৃতজ্ঞ থাকব। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্থানীয় ৩নং গোবিন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট মো. সাইদুর রহমান বলেন, বিষয়টি খুবই মানবিক। পঙ্গু কাশেমের ঘরের জন্য সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।