শ্রাবণ দাঁড়িয়েছে মেঘ ভরা নিসর্গের বারান্দায়। বৃষ্টির ডোরবেল বাজিয়ে বর্ষার নিসর্গের আগমনে সংবাদটি দিয়ে দেয় রেশমীজ্বলা কদম, কেয়া, কেতকী, কামিনী, সাদা গন্ধরাজ, জুঁই, বেলী, হাসনাহেনা প্রভৃতি ফুলের সৌরভ। বর্ষার নিবিড় গুঞ্জরণে চঞ্চল হয়ে ওঠে মন। উদাস ভাবনায় ডুবে যায় সত্তার স্পন্দন। খিড়কিজাগা ভোরের ঊষায় যখন বর্ষণের আবছায়া মুখটুকু জেগে ওঠে, মনে হয় বর্ষার এই রূপ, বাদলদিনের এ ছবিটি এই বাংলারই আদি প্রতিচ্ছবি। যার মর্মে প্রকৃতির আবহমানতা এক অনন্য আবেশে লালিত হচ্ছে পৃথিবী সৃষ্টির সূচনাকাল থেকে।
আষাঢ়-শ্রাবণ এ দুই মাস বর্ষাকাল হলেও প্রকৃতপক্ষে চৈত্রসংক্রান্তির রেলব্রিজ পেরোতে পেরোতে বর্ষণজ্বলা ট্রেনটি এসে থামে বৈশাখের ধুলোজমা ধূসর জংশনে। স্টেশনের লাল ঝাউফুল ফোটা ঝকঝকে টিনের চালে যেন হঠাৎই বর্ষার গুঞ্জন জেগে ওঠে। বর্ষা শুধু বৃষ্টি বা বর্ষণ নয়; বর্ষা এই রূপসী বাংলার নদী, খাল, বিল, হাওর-বাঁওড়, শস্যক্ষেত্রের আকণ্ঠ উর্বরতার জন্যও রাখে এক অনশ্বর অবদান।
স্রষ্টার অনুপম এই ঋতুবৈচিত্র্য ছন্দের গ্রন্থিতে জীবন যেমন প্রবাহিত হয় তেমনি এক অদৃশ্য অসীম প্রাকৃতিক ধারার মধ্য দিয়ে পরিচালিত হয় নিসর্গ। যে নিসর্গ থেকে মানুষ পায় বাঁচার উপাদান। পাহাড়, পর্বত, বন, অরণ্য, নদী ও সমুদ্র সব কিছু প্রকৃতির এক অমোঘ প্রাসঙ্গিক বিষয়।
আর ওই প্রাসঙ্গিকতার ছই নৌকোর গলুইয়ের চঞ্চুতে ছুঁয়ে যায় স্বচ্ছ জলের অবয়ব ফোঁটা সংবেদনশীল মৃদু তরঙ্গের সিম্ফনি, বর্ষা যেমন প্রকৃতিকে সতেজ আর সজীব করে তোলে। তেমনি আটপৌরে গৃহস্থালি জীবনেও বর্ষার প্রভাব কম নয়। বৈশাখের ঝড়ো দিন পেরিয়ে বর্ষা এসে বসে জ্যৈষ্ঠের তাপদগ্ধ প্রাচীন জমিদারবাড়ির কাকচক্ষু জলের দীঘির পলেস্তারা খসে যাওয়া মোজাইকজ্বলা শান বাঁধানো ঘাটে। তারপর ধীরে ধীরে সারা আকাশ আর সারা নীলিমা জেগে ওঠে নীলাম্বর রাশি। জেগে ওঠে অজস্র মেঘের প্যাগোডা। অবশেষে জনজীবনের পুরোভাগে এসে হানা দেয় বর্ষা তথা বর্ষাকাল।
চলে বর্ষার দাপট কয়েক মাসজুড়ে। বিশেষ করে আচমকা বৃষ্টি ঝাঁপিয়ে পড়ে সব এলোমেলো করে দেয়।
গ্রামবাংলায় বর্ষার যে চিত্র নগরজীবনে তার ছবিটি একটু ভিন্ন। গাঁওগেরামে বর্ষা অভিন্ন বৃষ্টির মতো হলেও খাল-বিল-নদী বর্ষার নতুন পানিতে বর্ষাকে মনে হয় যেন কোনো রাজদুহিতার জ্বলজ্বলে গলদেশে হীরার নেকলেসের মতো। মনে হয় যেন ডুবোচরের ওপর ভেসে থাকা বালিহাঁসের নির্জন ছায়া। নদীর কিনারে ফোটা আকন্দ ফুলের অধরে বর্ষার দুপুরগুলো ঝকমক করে উঠে এমন আভা ছাড়ায় যে, মনে হয় এমন অনন্য রূপ বুঝি কখনই চোখে পড়েনি। ভরা নদী, অবসন্ন বিকেলে ভেসে যাচ্ছে দূরগামী জাহাজ তীব্র ভেঁপু বাজিয়ে। আর তখনই শুরু হলো বৃষ্টি। মুষলধারে ঝরে পড়া বৃষ্টির গহনে ডুবে যেতে যেতে ঝাপসা হয়ে আসা ওই জাহাজের কেবিনের কাচে মুখ রেখে বাইরে বর্ষণের নান্দনিক দৃশ্য দেখতে দেখতে অপূর্ব ভালো লাগায় মন যেন কেমন করে ওঠে। ফিরে যায় মন শৈশবে, মুখর কৈশোরে। নদীর তীরে গাংশালিক, মাছরাঙা, ফিঙে, ধবল বকের ওড়াউড়ি যেন বর্ষাকে করে আরো অনবদ্য, আরো বাঙময়। বৃষ্টির দিনে গ্রামগঞ্জের কাদামাখা পথঘাট, হালকা বৃষ্টির পানিতে ডোবা ঘাসের ডগায় বর্ণিল ফড়িং আর প্রজাপতিদের চঞ্চল উড়ন্ত পালকের ফড়ফড় শব্দে যেন বর্ষার মায়াবী ঝিলিক ঝলক দিয়ে ওঠে। গ্রামের বর্ষা যেন কোমল এক অভিব্যক্তি নিয়ে জীবনকে ছুঁয়ে যায়। কালেভদ্রে বর্ষা আবার জীবনকে বিপর্যস্তও করে তোলে বন্যা ও প্লাবনে।
নগরজীবনে বাদলদিনের আবছা একটু অন্যরকমভাবেই ধরা দেয়। প্রচ- কর্মমুখরতায়, ছুটন্ত বাসের জানালায়, হুডতোলা, নেকাব পরা রিকশায়, রেস্তোরাঁর গুঞ্জরণশীল টেবিলে বসে বন্ধুর সাথে গল্পের ভেতর, অযাচিত বৃষ্টির তাড়া খেয়ে কোনো শপিংমলের ঝলমলে কফিশপের আড্ডায় আর বাসস্টপে বাসের ছাউনিতলে ভিড়ের মধ্যেও বর্ষাভেজা রুমাল থেকে পানি নিংড়াতে নিংড়াতে এসে মিশে যায়।
এভাবে বর্ষা আসে। অনন্তকাল বর্ষা আসবে এই বাংলায় সাদা পরীর মতো নীল সিল্কের স্কার্ফ উড়িয়ে। ষড়ঋতুর এই বাংলায় বর্ষার প্রভাব যেমন অপরিসীম তেমনি বাংলা সাহিত্যেও বর্ষার রয়েছে বিরাট অবস্থান। কবিতা, গল্প, উপন্যাস, নাটক, চলচ্চিত্র, সঙ্গীত তথা শিল্পের প্রতিটি শাখাতেই নানাভাবে, নানা অনুষঙ্গে বর্ষা জায়গা করে নিয়েছে।
বর্ষা মানেই বৃষ্টি, বর্ষণ-বাদল ধারার গহণ দৃশ্যের ভেতর দূরের আবছায়া ধূসর দিগন্তের কার্নিশে ঝুলে থাকা এক চিলতে নিভন্ত আকাশ। থেমে থেমে কখনোবা মুষলধারায় অবিরল বৃষ্টি গগনের তস্তরী থেকে ঝরে পড়ে এ পৃথিবীতে, চরাচর সিক্ত করে আবার ফিরে যায় টুটাফাটা মেঘÑ মেঘের প্যাগোডার নিঃস্বনহীন কুলুঙ্গীতে। জনজীবনে বৃষ্টি যেমন বিড়ম্বনার সৃষ্টি করে তেমনি এ বৃষ্টি ছাড়া বাংলার চিরন্তন শ্যমল রূপটাকে কোনোভাবেই কল্পনা করা যায় না। বরষায় নিসর্গ, শস্য, মৃত্তিকা, পুষ্পবীথি, বৃরাজি হয়ে ওঠে প্রচ- ফলবতী।
রৌদ্রদগ্ধ প্রহরের কানকোতে ছলকায় রূপোর ঝিলিক। বৃষ্টির দিনের মর্মরে জেগে ওঠে এক অসীম আকুলতা। নদী, খাল, বিল, দীঘি নতুন জলের স্পর্শে ঝলমল করে ওঠে। চরের অধরে-অধরে বর্ষার জলের চুম্বন এক অমোঘ উচ্ছ্বাসের উৎসারণ ঘটায়। যখন বৃষ্টি নামে প্রবল বৃষ্টি মনে হয় নদীর ওপর ঝরে পড়ছে রাশি রাশি মুক্তোর দানা। নদীর বুকে যেন নেমে আসে অপ্সরীর ছায়া। মনে হয় নীল পরীদের শাদা হীরাজহরতজ্বলা নেকাবের উড়ন্ত ডানা ছড়িয়ে পড়েছে নদীর চিবুকে, রেশমি-উজ্জ্বল বাহু আর গলদেশজুড়ে।
বর্ষার রয়েছে এক নিজস্ব ভাষা, নিজস্ব অভিব্যক্তি। অনন্তকাল ধরে ঋতুবৈচিত্র্যের এ বাংলাদেশের গ্রামবাংলায় ষড়ঋতুর মধ্যে বর্ষার অবস্থান, উপলব্ধি এবং উপস্থিতি যতটা প্রবল ও দীর্ঘস্থায়ী, অন্য ঋতুর প্রভাব ততটা নয়। নতুন কণের মতো প্রকৃতি বর্ষার স্পন্দনে, ছোঁয়ায় ফিরে পায় এক অনুপম,ঐশ্বর্যময় বৈশিষ্ট্য। যে বৈশিষ্ট্যের গভীরে নিঃসৃত হতে থাকে নবীন আর নতুন এক প্রবাহ। এ প্রবাহ উষ্ণ প্রকৃতির কপোলে বুলিয়ে দেয় নিবিড় আর হিমজাগা অনুভূতি। বর্ষায় বিলে-বিলে নতুন জলের ধারায় ভেসে চলে ছোট ছোট নৌকো। সবুজ ধানের পাতার গালিচা দু’পাশে সরিয়ে নৌকো যায় গন্তব্যের দিকে। আর তখন যদি হঠাৎ বৃষ্টি নামে অঝোর ধারায়Ñ কী এক অপরূপ চিত্রময়তার খেলা প্রকৃতির ক্যানভাসে জেগে উঠবে তা কেবল কবির কল্পনাতেই ধরা দিতে পারে। এমন মুগ্ধ-মোহনীয় দৃশ্যের বর্ণনা দিতে গিয়ে রচিত হতে পারে গুচ্ছ গুচ্ছ গুঞ্জরণশীল পঙ্ক্তি।
বৃষ্টির নূপুর যখন অনবরত ঝরে পরতে থাকে টিনের চালে, লাগে যেন উদয় শংকর সেতারের বিখ্যাত গুঞ্জরণ প্রকৃতিকে করুণ বেহাগে বিরহী করে তুলবে আরো গাঢ় বৃষ্টিতে ডুবে যেতে যেতে ওই টিনের বাড়িটি যেন আবার ভেসে উঠবে বৃষ্টিরই আজলায়। বাড়িটার সামনের উঠোনের একপাশে একপশলা ফুলের বাগানের ফুলের চন্দ্রিল রেণুতে রেণুতে বৃষ্টিস্নাত প্রজাপতি আর ফড়িঙের চঞ্চু ডুবিয়ে দেয়া কী অন্য কোনো ঋতুতে খুব একটা চোখে পড়ে! আর ওই যে স্বপ্নাচ্ছন্ন বাড়িটার রেলিংয়ের গ্রিলে থোকা থোকা বোগেনভিলিয়া। জড়িয়ে থাকে সেই মেজেন্ডা কালারের বোগেনভিলিয়ার বুকে থেমে আসা বৃষ্টির বড় বড় ফোঁটা। ছুটন্ত লাল ট্রেনের ব্যুফেকারে জানলার খোলা শার্সির কাচে মুখ নামিয়ে গরম কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে বাইরের বৃষ্টি ঝড়া দেখা, বৃষ্টির আলাপন শোনার মধ্যে কী সুখ, তা শুধু এমন একটা অপূর্ব মুহূর্তেই বুঝি অনুভব করা সম্ভব। কিংবা রেলব্রিজ পার হতে হতে নদীর বুকে বৃষ্টির টেরচা ফোঁটার ঝাপিয়ে পড়ার দৃশ্যের গহিনে যে মনোমুগ্ধকর ছবি ফুটে ওঠে তা কেবল কোনো চারুশিল্পীর তুলির আঁচড়েই স্থির রূপে দেখার অবকাশ মেলে। বরষায়, তুমুল বৃষ্টির দিনে শুধু দুজনায় একান্তে নিজেদের খুঁজে পেতে যদি পথে যেতে যেতে আচমকা বৃষ্টি নামে। আর ওই বৃষ্টিতে গাড়ির কাচ তুলে এবং গাড়ির গতি যথাসম্ভব কমিয়ে দিয়ে স্টিরিওতে রবীন্দ্রসঙ্গীতের মূর্ছনায় মন কী হারিয়ে যেতে চাইবে না দূর-বহুদূর। অসম্ভব ভালোলাগায় চোখে জলও এসে যেতে পারে।
টুকরো টুকরো এই যে বর্ষার ঝিরিঝিরি, রিমঝিম দৃশ্যকল্প। তা শুধু বর্ষায়ই ভিন্ন এক মাত্রা নিয়ে জীবনে-প্রকৃতিতে উপস্থিত হয়। জ্যোৎস্না রাতের বৃষ্টির কথা ভাবলেই মন যেন কেমন এক বিষণœ ভালোলাগায় ভরে ওঠে ফরেস্ট বাংলোর নিঝুম স্তব্ধতাজাগা নির্জন রাতে বারান্দায় বসে চন্দ্রাতপ বৃষ্টির কার্ডিগানে মোড়ানো অরণ্য দেখতে দেখতে নৈঃসঙ্গ্য ডোবা হৃদয় ডুবে বুজাবে আরো নিঃসঙ্গ নৈঃশব্দের অতলে। বরষায় প্রকৃতি কতটা উপভোগ্য হয়ে ওঠে, কতটা সৌন্দর্যম-িত হয়Ñ বৃষ্টির ঋতু তার দারুণ এক নিদর্শন।
এই বরষাকে ঘিরে বাংলার সাহিত্য, সংস্কৃতি, সঙ্গীত, নাট্যকলায় রচিত হয়েছে অমর-অনশ্বর অজস্র পঙ্ক্তিগুচ্ছ। আর বরষায় সমৃদ্ধি করেছে বাংলার সাহিত্য-শিল্পের জগৎকে।
বরষা বন্দনা গীতির যে অপরিসীম স্ফুরণ ঘটেছে, ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে। কালিদাস থেকে রবীন্দ্রনাথ এবং তারও পরে আধুনিক কবিদের কবিতাতেও বৃষ্টি কিংবা বরষাবন্দনা নিয়ে উদ্ধৃত রচিত হয়েছে অজস্র কাব্যকথা। বাংলা কাব্যে রবীন্দ্রনাথের বরষার যে কবিতা মণিরতœরাজির মতো ছড়িয়ে রয়েছে এবং তার সঙ্গীতের ভুবনেও রয়েছে যে বরষাকেন্দ্রিক গানের ছড়াছড়ি। ফলে বরষা গীতির সন্ধানে হাত বাড়ালেই হাতে উঠে আসে মুঠো-মুঠো রবীন্দ্র রচনা। বরষাকে হৃদয় দিয়ে চেনাতে, উপলব্ধি করতে এবং তা উপভোগ করতে রবীন্দ্রনাথ যে অসীম কৃতিত্ব দেখিয়েছেন তা বাংলা কাব্য সাহিত্য এবং সঙ্গীতে এক বিরল বিষয়। সমকালীন আধুনিক কবিতায়ও বরষা কথা বৃষ্টির উদ্ধৃতি উপকরণ রূপে এসেছে। এসেছে গদ্য সাহিত্যেও। ভ্রমণসাহিত্যেও কখনো বৃষ্টিদিনের গল্প বলা হয়।
বৃষ্টিভেজা বিকেল, কখনোবা সান্ধ্য মেঘের মতো বৃষ্টি এক চিত্রময়তায় এসেছে জীবনে। টানা বৃষ্টির দিনের কথা এসেছে ইলশেগুঁড়ি। কিংবা শ্রাবণের বর্ষাময়তার কথাও। বৃষ্টি ভোরের, বৃষ্টি দুপুরের, নির্জন রাতের বৃষ্টি, বৃষ্টি মাঠের বুকে, বৃষ্টি সমুদ্র উপকূলে, নগরজীবনে, বৃষ্টি রমনায়, সোহরাওয়ারদী উদ্যানে, হাইরাইজ ভবনের টপ ফোরে, বৃষ্টি এভিনিউজুড়ে, বৃষ্টি মোবাইল ফোনের রিদমে, বৃষ্টি বোটানিক্যাল গার্ডেনে, বৃষ্টি সর্বত্র, ধুম বৃষ্টি সারা ঢাকায়। বৃষ্টি হাঁসের পালকে, বকের শাদা গলায়, মাছরাঙার ফাইবারের ঠোঁটে, কালো কুচকুচে ফিঙে, দোয়েল, খয়েরি শালিক, চড়ুই, দুর্গা টুনটুনির উড়ন্ত রোঁয়ায়। ধোয়াশাচ্ছন্ন বৃষ্টিÑ এই বাদল দিনে, এই ঘণঘোর বর্ষায়। বর্ষা প্রকৃতিকে নিরন্তর সতেজ ও সজীব করে তোলে। হাজার বছর ধরে সাহিত্য লালিত হয়ে আসছে বাদল-বরষার সজল আবেশমুখর আমেজ। কল্লোল যুগ-উত্তরকালের আধুনিক বাংলা কবিতার অবয়বে চোখ রাখলেই দৃষ্টিবদ্ধ হবে বৃষ্টি ধারা-সিক্ত সেসব উজ্জ্বল পঙ্ক্তিগুচ্ছ। বর্ষাবিজড়িত পঙক্তির প্রপাতে এভাবেই ভিজে উঠেছে বাংলা কবিতার স্বর্ণোপকূল।