গ্যালাক্সি এ০৩ কোর নামে নতুন একটি স্মার্টফোন বাজারে নিয়ে এসেছে স্যামসাং। বিশাল স্ক্রিন, দুর্দান্ত ব্যাটারিসহ আকর্ষণীয় সব ফিচারের জন্য ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে মোবাইলটি। বাজারে পাওয়া যাচ্ছে, ব্রোঞ্জ ও ওনিক্স ব্ল্যাকসহ আরও দুটি নতুন রঙে। সবসময়ই ক্রেতাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ার স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্যামসাং। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী আধুনিক ও অনন্য ফিচারের স্মার্টফোন উৎপাদন করে ব্যাপক আস্থা ও জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে ব্র্যান্ডটি। সব শ্রেণির মানুষ যেন সাধ্যের মধ্যে নিজের পছন্দ অনুযায়ী ফোন কিনতে পারে, সেদিকে সবসময় লক্ষ্য রাখে স্যামসাং। আর এ কারণেই বাজারে এখন পর্যন্ত নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে স্যামসাং।
স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি এ০৩ কোর স্মার্টফোনটি মূলত যারা আগে বেসিক ফোন ব্যবহার করতেন, কিন্তু এখন স্মার্টফোন ব্যবহার করতে চাইছেন, তাদের কথা চিন্তা করে তৈরি। এছাড়াও যারা একদম নতুন করে স্মার্টফোন ব্যবহার করে ইন্টারনেটের বিস্তৃত দুনিয়ায় প্রবেশ করতে চাইছেন তাদের জন্যও ‘পারফেক্ট চয়েজ’ ফোন হবে এটি।
যারা দীর্ঘ সময় স্মার্টফোন ব্যবহার করে গেম খেলেন বা ভিডিও দেখেন তাদের চার্জ শেষ হয়ে যাওয়ার ঝামেলা থেকে মুক্ত করতে ফোনটির রয়েছে শক্তিশালী ব্যাটারি। এরই মধ্যে সব শ্রেণির মানুষের কাছে স্মার্টফোনটির অনন্য ফিচারের কারণে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছে। এ মুহূর্তে ফিচার ও দামের মূল্যায়নে এ স্মার্টফোনটি বাজারের অন্যতম সেরা স্মার্টফোন।
স্মার্টফোনটি যেসব ফিচারের কারণে এমন জনপ্রিয়তা পেল, চলুন তা জেনে নেওয়া যাক
এক্সসাইটিং নতুন কালারস্
গ্যালাক্সি এ ০৩ কোর রিলঞ্চ করা হয়েছে আকর্ষণীয় কয়েকটা নতুন ডিজাইনে। ব্রোন্জ এবং অনিক্স ব্ল্যাক, এ দুই কালারের পাশাপাশি গ্লসি অ্যান্ড প্যাটার্নড ফিনিশ ফোনটিকে প্রিমিয়াম একটি ফীল দেয়। সঙ্গে নন স্লিপারি গ্রিপ আপনাকে রাখবে সর্বদা দুশ্চিন্তা মুক্ত।
ভিডিও দেখার সেরা ডিসপ্লে
এ ডিজিটাল যুগে সবাই ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক, ইনস্টাগ্রামের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর ভিডিওর দিকে ঝুঁকে পড়েছে। তরুণ প্রজন্মের অনেকেই এসব প্লাটফর্মে ভিডিও বানানোর মাধ্যমে নিজেদের সম্পৃক্ততা বাড়াতে চাইছেন। তাদের জন্য দরকার এমন একটি স্মার্টফোন যা ভিডিও দেখার এ চাহিদাকে পূরণ করবে।
স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি এ০৩ কোর এর এ স্মার্টফোনটির ডিসপ্লে ক্রেতাদের এমন চাহিদার কথা চিন্তা করেই বানানো হয়েছে। ফোনটিতে রয়েছে ৬.৫ ইঞ্চির এইচডি প্লাস এলসিডি ইনফিনিটি ভি ডিসপ্লে যার আসপেক্ট রেশিও ২০:৯। স্মুথ ভিডিও দেখার জন্য এ ফিচার ও আসপেক্ট রেশিও-এর ডিসপ্লে স্ক্রিন সবচেয়ে বেশি উপযোগী। কার্ভড ডিজাইনের কারণে ২১১ গ্রাম ওজনের হালকা এ ফোনটি হাতে ধরে রাখা খুবই সহজ।
‘একাই একশ’ ক্যামেরা
এ স্মার্টফোনটির ক্যামেরাকে বলা হচ্ছে ‘একাই একশ’ ক্যামেরা। ফোনটির মেইন ক্যামেরা হচ্ছে ৮ মেগাপিক্সেল এবং সঙ্গে থাকছে ৫ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা। যা এ দামের ফোনগুলোর মধ্যে এটিকে দিয়েছে আলাদা বিশেষত্ব। নিখুঁত ও ঝকঝকে ছবি তোলার অনন্য বৈশিষ্ট্যের কারণে ফোনটি এরই মধ্যে স্মার্টফোন ব্যবহারকারী তরুণ প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
শক্তিশালী প্রসেসর
ব্যবহারকারীদের স্মার্টফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে আরও স্মুথ করতে ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে শক্তিশালী প্রসেসর। স্যামসাংয়ের এ ফোনটিতে রয়েছে কোয়াড ১.৬ গিগাহার্জ ও কোয়াড ১.২ গিগাহার্জের ইউনিসক অক্টাকোর প্রসেসর। শক্তিশালী এ প্রসেসরের কারণে ফোনটি দিয়ে বিরামহীনভাবে গেমস খেলা যাবে। তাই এ ফোনটিকে ‘হেভি গেমার ক্যাটাগরি’তে ফেলা হয়। নিশ্চিন্ত হয়ে দীর্ঘক্ষণ ভিডিও দেখতে চাওয়া স্মার্টফোনগুলোর মধ্যে এ ফোনটির অবস্থান অনেক ওপরে। গেমস খেলা ও ভিডিও দেখার অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করতে ফোনটিতে রয়েছে এলপিডিডিআর ৪ র্যাম।
চ্যাম্পিয়ন ব্র্যান্ডের চ্যাম্পিয়ন ব্যাটারি
ডিজিটাল এ সময়ে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা নিরবচ্ছিন্নভাবে গেমস খেলতে চান বা ভিডিও দেখতে চান। ভিডিও দেখার সময় তা মাঝপথে আটকে গেলে খুব বিরক্ত হন ব্যবহারকারীরা। ফোন ব্যবহারকারীদের এ বিরক্তি থেকে মুক্তি দিতে স্যামসাং গ্যালাক্সি এ০৩ কোর ডিভাইসটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের চ্যাম্পিয়ন ব্যাটারি।
পাশাপাশি ব্যবহারকারীদের ফাইলের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা বজায় রাখতে স্যামসাংয়ের এ ফোনটিতে রয়েছে ‘সেইফ ফোল্ডার’ ফিচার। ফোনটিতে রয়েছে স্টোরেজ ও মেমোরি অপ্টিমাইজ করা এবং অ্যাডাপ্টিভ টাইম আউটের মতো আধুনিক সুবিধা।
স্মার্টফোনটির ডার্ক মোড, ইএমআই ক্যালকুলেটর এবং আইডেন্টিফাই সিমিলার পিকচারের মতো ফিচারগুলো ব্যবহারকারীদের স্মার্টফোনের অভিজ্ঞতাকে করবে আরও সমৃদ্ধ। ফোনটিতে রয়েছে ২ জিবি র্যাম ও ৩২ জিবি রম।
এছাড়া ফোনটিতে স্টোরেজ বাড়ানো যাবে ১ টেরাবাইট পর্যন্ত। এ সুবিস্তৃত স্টোরেজ ক্যাপাসিটির কারণে ফোনটির ব্যবহারকারীরা প্রচুর ভিডিও ডাউনলোড করে রাখতে পারবে। পাশাপাশি স্মার্টফোনটিতে থাকছে ২০ শতাংশ দ্রুত অ্যাপ লঞ্চ হওয়ার সুবিধা। এসব অনন্য ফিচারসহ বাজারের সেরা এ স্মার্টফোনটি পাওয়া যাচ্ছে অবিশ্বাস্য মূল্য মাত্র ১১ হাজার ৮৯৯ টাকায়। এতো কম দামে এতো সব দুর্দান্ত ফিচার দিতে সক্ষম হওয়া কেবল বাজারের নেতৃত্বস্থানীয় স্মার্টফোন নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান স্যামসাংয়ের পক্ষেই সম্ভব। নাগালের মধ্যে দাম ও সর্বাধুনিক সব সুবিধা এক ফোনে পাওয়ায় এ স্মার্টফোনটির দিকে ঝুঁকছেন দেশের সব শ্রেণির ক্রেতারা। আর নতুন দুটি রঙে বাজারে আসায় এর জনপ্রিয়তা বাজারে আরও কয়েক ধাপ বাড়বে বলে প্রত্যাশা করা যাচ্ছে।