দেশব্যাপী আলোচিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৬ – ১৭ সেশনের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী আকবর হোসেনের হত্যাকান্ডের একবছর পেরিয়ে গেলেও এখনো কোন তদন্ত করতে পারে নি প্রশাসন। মানববন্ধনে অংশ নিয়ে আকবেরর পরিবার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ হত্যাকান্ডের দ্রুত-সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচারের জোর দাবি জানান?
গতকাল শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের সামনে আকবর হত্যাকাণ্ড” এর দ্রুত-সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচারের দাবিতে “মানববন্ধন” ও “সংবাদ সম্মেলন” করে আকবরের পরিবার ও সহপাঠীরা।
সংবাদ সম্মেলনে আকবরের বড় বোন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এর সাবেক শিক্ষার্থী মোসাঃ লাবনী খানম আঁখি বলেন, আমার ভাইকে গত বছরের ২৭ আগস্ট চট্টগ্রামের একটি ফ্লাইওভার থেকে ফেলে দিয়ে কে বা কারা হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তা এখনো সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে বের করতে পারে নি প্রশাসন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থলে অবস্থানরত প্রতক্ষ্যদর্শীরা যখন আকবরকে অজ্ঞান ও আহত অবস্থায় হাসপালে নিয়ে যায় তখন তার কোমরের বাম পাশে ভোতা অস্ত্রদিয়ে গভীর এক ক্ষত ছিল। ফ্লাইওভার থেকে ফেলে দেয়ায় তার ব্রেইন অনেকাংশে থেতলে যায়। ব্রেইনে রক্তক্ষরণ হয়ে, টানা ৫দিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এ আইসিইউ তে জীবন-মৃত্যুর সাথে যুদ্ধ করে ১ সেপ্টেম্বর ভোরে আকবর এর মৃত্যু হয়।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তারের বক্তব্য এবং চট্টগ্রাম খুলসী থানা পুলিশের তদন্ত প্রাপ্ত আলামতের ভিত্তিতে প্রাথমিক তদন্তে চট্টগ্রাম খুলসী থানা পুলিশ এটিকে পরিকল্পনা মাফিক হত্যা বলে নিশ্চিত করে।
দীর্ঘ এক বছর পার হয়ে গেলেও অপরাধীরা এখনো ধরা-ছোয়ার বাইরে। পুলিশ দীর্ঘদিন সন্তোষজনক কোনো তথ্য সংগ্রহ করতে না পারায় তদন্তভার চট্টগ্রাম পিবিআই কে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু পিবিআই চট্টগ্রামও এখনো কোন অগ্রগতি করতে পারছে না বলে জানান তিনি।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে আকবরের সহপাঠী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলেন, মৃত আকবরের সাথে খুব অন্যায় হয়েছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। দীর্ঘ এক বছর পেরিয়ে গেলেও আকবরের হত্যার রহস্য সম্পর্কে আমরা ধোয়াশায় রয়েছি। পিবিআই এর হাতে তদন্তভার যাবার পরে আমরা আশা করেছিলাম দ্রুত এ হত্যা রহস্য উদ্ঘাটন হবে। কিন্তু চট্টগ্রাম পিবিআইও কোন সদুত্তর এখনো আমাদের না দিতে পারায় আমরা আশাহত।
এ হত্যান্ডের তদন্তের সর্বশেষ পরিস্থিতি চট্টগ্রাম পিবিআই এর তদন্ত এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কাউকে পাওয়া যায় নি।