রংপুরের গঙ্গাচড়ায় চলাচলের সরকারি রাস্তা দখল করে ঘর নির্মাণ করে বসবাস কারীর কবল থেকে রাস্তা উদ্ধারের দাবিতে গতকাল রোববার ইউএনও অফিসের সামনে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। এছাড়া রাস্তা উদ্ধারের জন্য গত ১২ জুলাই ইউএনওর কাছে লিখিত আবেদন দিয়েছে এলাকাবাসী। আবেদন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়নের আলেকিশামত মধ্যপাড়া ঈদগাঁর সাথে মেইন পাকা রাস্তা হতে একটি সরকারি কাচা রাস্তা ওই গ্রাম ঢুকছে। আলেকিশামত মধ্যপাড়া মসজিদ পর্যন্ত এলাকাবাসীর চলাচলে সমস্যা হয়েছে দীর্ঘদিন থেকে। কারণ ওই এলাকার মৃত ছলিম উদ্দিনের পুত্র সুলতান হোসেনগং মসজিদের সামনে সরকারি রাস্তা দখল করে পাকা ঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছে। এলাকাবাসী চলাচলে সমস্যা হয়। তারা রাস্তাটি উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে অন্য পাশ দিয়ে বিভিন্ন জনের মালিকানা জমিতে বিকল্প রাস্তা তৈরি করে চলাচল করে আসছে। সম্প্রতি ওই মালিকানা জমির রাস্তা দিয়ে চলাচলে বাঁধার সৃষ্টি করলে এলাকাবাসী বিপাকে পড়ে। তারা সরকারি রাস্তা থাকা সত্ত্বেও বাড়ি থেকে বের হতে কিংবা মসজিদে নামাজের জন্য যেতে পড়তে হচ্ছে সমস্যায়। কোন রকম বিভিন্ন বিভিন্নভাবে কষ্টে চলাচল করছে। নিরুপায় হয়ে এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কাছে লিখিত আবেদন করে। এদিকে ইউএনও সরেজমিন তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়ে দায়িত্ব দেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ইউএলএওকে। আলেকিশামত বাসী ও কোলকোন্দ ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম বলেন, সরকারি রাস্তা দখল করে ঘর নির্মাণ করে এলাকার লোকজনের চলাচল সমস্যা করায় ইউএনও’র কাছে আবেদন দেই। কিন্তু তিনি যাকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন সে গত দু-মাসেও তদন্ত রির্পোট জমা না দিয়ে টালবাহনা করছে। এলাকার সুরুজ, মহুবর জানান, রাস্তা দখল করায় বিকল্পভাবে মালিকা জমিতে রাস্তা তৈরি করে চলাচল করে আসা হয়ে ছিলো। স এখন সেটি দিয়ে চলাচলে নিষেধ। মসজিদে নামাজ পড়তে যেতে বাড়ি বাহিরে যেতে খুবই সমস্যা। তাই দখলকারীর কবল থেকে সরকারি রাস্তা উদ্ধার করতে এলাকাবাসী ইউএনও’র কাছে আবেদন দেই। আবেদনে গত দু-মাসেও কোন ব্যবস্থা না হওয়ায় মানববন্ধন করি এলাকাবাসী। রাস্তাটি দ্রুত উদ্ধার হলে এলাকাবাসীর চলাচলে কোন সমস্যা থাকবে না। ইউএনও অফিসের অফিস সহকারি ফারুক আহম্মেদ জানান, ইউএনও স্যার ছুটিতে আছেন। তিনি আসলে বিষয়টি অবগত করা হবে।