প্রথমবারের মত মোংলা সমুদ্রবন্দর জেটিতে ভিড়েছে ৮মিটার গভীরতার বানিজ্যিক জাহাজ। সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুৎরে বন্দরের ৫ নম্বর জেটিতে পানামা পতাকাবাহী “এম সি সি টোকিও” নামের জাহাজটি ভেড়ানো হয়। জাহজটিতে ৩৭৭ টিউজ কন্টেইনার রয়েছে। এটাই প্রথম ৮ মিটার ড্রাফট-এর জাহাজ মোংলা বন্দর জেটিতে আসল বলে জানিয়েছেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ তরফদার। বন্দর কর্তৃপক্ষ সুত্র জানা যায়, নাব্যতা কম থাকায় সাত বা সাড়ে সাত মিটারের অধিক গভীর জাহাজ জেটি ভিড়তে পারতো না। যে কারণে আট, সাড়ে আট কিংবা ৯ মিটারের গভীর জাহাজের পণ্যবাহী জাহাজ পশুর নদীর মাঝে নোঙ্গর করা হত। সেখান থেকে মালামাল খালাস করা হত। বন্দর ব্যবহারকারীদের দাবির প্রেক্ষিতে খনন কাজ শুরু করেন বন্দর কর্তৃপক্ষে। ড্রেজিংয়ের ফলে এখন মোংলা বন্দরে ৮ মিটার ড্রাফটের জাহাজ আসতে পারছে।
বন্দর ব্যবহারকারী এস এম মোস্তাক মিঠু বলেন, পদ্মা সেতুর সুফলে মোংলা বন্দরের কর্মচাঞ্চল্য বেড়েছে। জেটি এলাকায় ড্রেজিংয়ের ফলে এ বন্দরের গতিশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে বন্দরে জাহাজের আগমনও বাড়বে।ব্যবসায়ীরাও লাভবান হবে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার এন্ড মেরিন) কমডোর মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ তরফদার বলেন, কন্টেইনার নিয়ে প্রথমবারের মত ৮ মিটার ড্রাফটের জাহাজ বন্দর জেটিতে ভিড়েছে।এটা সম্ভব হয়েছে খননের ফলে। ৪৮ ঘন্টার মধ্যে এই জাহাজের মালামাল খালাস করা হবে। খালাস শেষে এখান থেকে আবারও পন্য বোঝাই করে জাহাজটি গন্তব্যে ফিরে যাবে। এটি একটি ট্রায়াল কার্যক্রম ছিল, এই কার্যক্রমে আমরা সফল হলে নিয়মিত মোংলা বন্দরের পার্মানেন্ট জেটিতে ৮ মিটারের অধিক গভীরের জাহাজ প্রবেশ করতে পারবে বলেও জানান তিনি।