সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার রুপবাটি ইউনিয়নের সন্তোষা খেয়া ঘাটে যাত্রীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছে নি¤œ আয়ের মানুষ। সন্তোষা গ্রামের মোক্তার হোসেনের ছেলে মুকুল হোসেনের আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা অফিসারের কার্যালয় থেকে লিখিত নির্দেশে চলতি বছরে ১২ হাজার টাকায় উক্ত ঘাটের ইজারা দেওয়া হয় সন্তোষা গ্রামের মুকুল হোসেনকে। ওই এলাকার বাসিন্দা, সাহেদ, আব্দুল মান্নান মন্ডল, কছিম উদ্দিন মন্ডল সহ গ্রামের মানুষজন অভিযোগ করে বলেন, ইজারা পাওয়ার পর থেকেই মুকুল হোসেন সন্তোষা ঘাট থেকে বেড়া বৃশালিখা শালিখাপাড়া ঘাটে পারাপারে যাতায়াতে জোরপুর্বক ২০ টাকা করে আদায় করছে। বছরে মাত্র ১২ হাজার টাকার ইজারা নিয়ে যেখানে জনপ্রতি ভাড়া হওয়ার কথা ২/৫ টাকা সেখানে জনপ্রতি নেওয়া হচ্ছে ১০ টাকা যাওয়া আসা ২০ টাকা। এতে সাধারণ মানুষ ও নি¤œ আয়ের মানুষ ঘাটের নৌকায় যাতায়াত করে চরম বিপাকে পরছে। দিনে দুবার যাওয়া আসা করলে জনপ্রতি ৪০ টাকা ভাড়া দিতে হচ্ছে। সন্তোষা গ্রামটি শাহজাদপুর উপজেলার মধ্যে হলেও শাহজাদপুর শহর দুরত্ব বেশি হওয়ায় এবং বেড়া উপজেলা শহরটি নিকটবর্তী হওয়ায় ওখানকার মানুষদের প্রয়োজনীয় কাজে বেড়া শহরে যাওয়াটাই সহজ হওয়ার কারনেই দিনে ২/১ বার বেড়া যেতে হয়। এ সুজোগটি কাজে লাগিয়ে ইজারাদার মুকুল যাত্রীদের উপর বাড়তি ভাড়ার বোঝা চাপিয়ে দিয়ে যাত্রীদের বেকায়দায় ফেলেছে। এ ঘাট দিয়ে ছাত্র ছাত্রী, ব্যাবসাী,চাকুরীকিবী, সাধারণ মানুষ সহ প্রতিদিন ৫শ থেকে প্রায় ১ হাজার লোকের যাতায়াত? মাত্র ১২ হাজার টাকার ঘাটে প্রতিদিন ৫/১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে যাত্রীদের জিম্মি করে। প্রতিবাদ করলে পেটুয়া বাহিনী লেলিয়ে দেয় সাধারণ মানুষের পেছনে। ভয়ে অনেকেই মুখ খোলে না। প্রতি মঙ্গলবার ১০০ থেকে ২০০ গরু পার করতে হয় এ ঘাট দিয়ে। গরু প্রতি ৫০/১০০ টাকা নেওয়া হয়। ১২ হাজার টাকার ঘাটে বছরে ২০/৩০ লক্ষ টাকা আদায় করা হয় বলে বলেছেন অনেকেই। এ ঘাটে পুর্বে ভাড়া ছিলো ২ টাকা পরে বাড়িয়ে করা হয়েছিলো ৫ টাকা। সেখানে বর্তমানে নেওয়া হচ্ছে ১০ টাকা। যাতায়াত ২০ টাকা। মুকুলের অনৈতিক ভাড়ার জিম্মিদশা থেকে মুক্তি চায় গ্রামবাসী। দ্রুত মুকুলের ইজারা বাতিল ও ভাড়া ২/৩ টাকা করার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। এ বিষয়ে, মুকুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তেলের দাম বাড়ার কারনে এ অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছি। বাড়তি ভাড়া কেউ দেয় আবার কেউ দেয় না। এ ব্যাপারে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তরিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।