ময়মনসিংহের ভালুকায় নিন্মমানের ফিসফিড ব্যবহার করে এক খামারির প্রায় ৮ লাখ টাকার মাছের ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি ফিডমিলের মালিককে জানানো হলে উল্টো হুমকী দেয়া হচ্ছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত খামার মালিক জানান।
ঘটনাটি উপজেলার কাচিনা গ্রামের দক্ষিণপাড়ায়। এ ঘটনায় থানায় মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামার মালিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কাচিনা গ্রামের দক্ষিণপাড়ার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে মো: রফিকুল ইসলাম তার নিজস্ব দেড় একর জমিতে দু’টি খামারে সম্প্রতি পাঙ্গাস মাছের চাষ করেন। প্রথমে তিনি সিটি গ্রুপের খাবার ব্যবহার করেন এবং মাছগুলো ৯০০ গ্রাম ওজনের হয়। কিন্তু হঠাৎ আর্থিক সংকটে পড়ায় তিনি স্থানীয় এমএসএস ফিড মিলের মালিক মুরাদ সরকার বিপ্লবের সাথে কথা বলেন। এ সময় তিনি ফাস্ট সিকিউরিটি ব্যাংক ভালুকা শাখার চেক বইয়ের দু’টি পাতা মিক মালককে দিয়ে নগদ ও বাকিতে খাবার এনে মাছের খামারে ব্যবহার শুরু করেন। কিছুদিন খাবার ব্যবহার করার পর খামারের পানি ও নিচের পলিমাটি কালচে রং ধারণ করে মাছগুলো মরে গিয়ে ভেসে উঠতে শুরু করে। এ ভাবে পর্যাক্রমে খামারের মাছগুলো শুকিয়ে প্রায় বেশিরভাগ মাছ মরে গিয়ে প্রায় ৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়ে যায়। খামার মালিক রফিকুল ইসলাম জানান, এমএসএস ফিড মিলের খাবারগুলো খুবই নিন্মমানের এবং মাটি দিয়ে তৈরী। যা ওই মিলের এক কর্মচারীও স্বীকার করেছেন। খাবার ব্যবহার করার কারণে তার খামারের মাছগুলো এক কেজি থেকে ৩০০ গ্রাম ওজনে নেমে আসে এবং পর্যাক্রমে মরে গিয়ে ভেসে উঠে। তাছাড়া খামারের পানিসহ নিচের পলিমাটি কালচে রং ধারণ করে। এতে তার প্রায় ৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। বিষয়টি মিল মালিককে জানানোর পর প্রথমে লোক পাঠিয়ে খামারটি পরিদর্শণ করে ঘটনার সত্যতা পান। ওই সময় মিল মালিককে বকেয়া দুই লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়। কিন্তু ক্ষতির ব্যাপারে কোন আলোচনা না করে পাওনা টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। এমনকি অতি দ্রুত পাওনা টাকা পরিশোধ না করলে মিথ্যে মামলাসহ খুন জখমের হুমকী দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরী (নম্বর-১৩১৯, তারিখ-২৫/০৯/২০২২) করা হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত খামারী জানান। এ ব্যাপারে এমএসএস ফিড মিলের মালিক মুরাদ সরকার বিপ্লবের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান, তার পাওনা টাকা পরিশোধ না করে, অন্য কোম্পানীর খাবার ব্যবহার করার কারনে তার মাছের ক্ষতি করেছে। শামীম নামে এক ডাক্তার পাঠিয়ে ঘটনাটি জানতে পারি। ভালুকা মডেল থানার ওসি কামাল হোসেন জানান, ব্যবসায়ী লেনদেন বিষয়ে হুমকীর বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরী হয়েছে।