মেঘনা উপকূলীয় লক্ষ্মীপুরের বাজার গুলোতে কিছুদিন আগের তুলনায় কম দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। ইলিশের আবাসস্থল নামে খ্যাত এ জেলা। অথচ কিছু দিন আগে বাজারে চড়া দাম হওয়ায় ক্রেতাদের নাগালের বাইরে ছিল রূপালী ইলিশ। এখন বাজারে দাম কম হওয়ায় ক্রেতারা আনেক খুশি।যদি ও আগে দাম বেশি হওয়ায় সর্বসাধারণের ইচ্ছে থাকলেও হাতে নাগালের বাহিরে ছিল এ সুস্বাদু ইলিশের স্বাদ গ্রহন করা। এখন কম দামে ইলিশ ক্রয় করে জনসাধারণ তাদের চাহিদা পূরন করতে পারছেন। জানা যায়, বেশ কয়েকদিন আগেও মেঘনায় জেলেদের জালে আশানুরূপ ইলিশ ধরা না পড়ায় বাজারগুলোতে এর প্রভাব পড়ছে। বাজারে ইলিশ মাছ জেলেদের জালে কম পড়ায় চড়া দামে কিনতে হয়েছে ক্রেতাদের। এখন নদীতে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাচ্ছে জেলেরা তাই আগের তুলনায় বাজারে ইলিশ মাছে ভরপুর। তাই এখানকার উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত নি¤œবিত্তরা সাবার হাতের নাগালে মেঘনা সুস্বাদু ইলিশ। রাতে লক্ষ্মীপুর শহরের দক্ষিণ তেমুহনী, উত্তর তেমুহনী মাছ বাজার ঘুরে এমন চিত্র পরিলক্ষিত হয়। এসব বাজারে ছোট আকারের জাটকা ইলিশ মাছের দাম কিছুদিন আগে ছিল ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি।আর এখন বাজারে ইলিশ ভরপুর হওয়ায় দাম নেমে আসছে জাটকা প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩৫০ আধা কেজি ওজনের প্রতিকেজি ইলিশের দাম চাচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকা আর এক কেজি ওজনের ইলিশ ১১০০ থেকে ১৩০০ টাকা। জেলার ভবানীগঞ্জ, তোরাবগঞ্জ, মান্দারী, জকসিন বাজার পোদ্দার বাজার সোনাপুর পাটওয়ারি বাজার পালের হাট ও কালিবাজার সহ প্রায় সবগুলো বাজারেই আগের তুলনায় কম দামে প্রতিনিয়ত ইলিশ ক্রয়-বিক্রয় হয় বলে জানা যায়। চড়া দামের বিষয়ে বিক্রেতারা বলছেন, জেলেদের জালে আহরনকৃত মাছের পরিমাণ তুলনামূলক অন্যবারের চেয়ে কম। তারউপর মাছ ঘাট থেকেই বাড়তি দামে মাছ কিনতে হয়। এ কারণে বেশ কয়েকদিন আগে লক্ষীপুর জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে ইলিশ মাছের দাম ছিল ক্রেতাদের হাতের নাগালের বাইরে। বর্তমানে মেঘনায় ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ার কারনেই ইলিশ মাছের দাম কম হওয়া স্বাচ্ছন্দে ইলিশ ক্রয় করতে পারে বলে ক্রেতা যমনি খুশি তেমনি বিক্রেতারা। এ বিষয়ে জেলেরা জানিয়েছেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে মাছ শিকারে অতিরিক্ত খরচ বহন করতে হচ্ছে তাদের। লক্ষীপুর সদর উপজেলার মজুচৌধুরী হাটে ট্রলারমালিক মোহাম্মদ সোহেল জানান মেঘনা নদীতে আগে ইলিশ দরা পড়তো কম তাই জেলেরা গভীর নদীতে গিয়ে মাছ শিকার করতে হচ্ছে।ভরা মৌসুমে হলেও কয়েক মাস আগের থেকে আশানুরূপ মাছ পড়ছে জেলেদের জালে।এদিকে আগে মাছ কম অন্য দিকে জ্বালানি তেলের দাম বেশি হওয়ার কারণে মাছ শিকারে জেলেদের হাতে খরছ পড়ে যেতো বেশি।এ কারণে ঘাট থেকে মাছ কিনতে হতো বেশি দামে বাজারে গিয়ে বিক্রি করতাম বেশি দামে। আল্লাহর ইচ্ছা এখন কয়েকদিন থেকে জেলেরা নদীতে গিয়ে মাছ পাচ্ছে ভরপুর আর মাছ ঘাটে ক্রতার পাইকার আসে আগের চেয়ে দিগুন। লক্ষীপুর সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ সারোয়ার জামান বলেন গভির নদীতে থাকা জেলেরা আগে মাছ শিকারে গেলে ফিরে আসতে অল্প কিছু মাছ নিয়ে অথবা খালি ট্রলার নিয়ে এখন জেলেরা মাছ শিকার করতে গেলে কাঙ্খিত মাছ নিয়ে কূলে ফিরে আসে। এ ছাড়া নদীর মুখে জাল পেতে রাখে কিছু অসাধু মৎস্য শিকারীরা।এ কারণ ইলিশ মাছ মেঘনা বিচারণ করতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানান।