সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:৫৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
পুঁইশাক চাষে সফল সুফিয়া, আগ্রহী হচ্ছে অন্য কৃষকরাও অতিরিক্ত টোল আদায় করলেই ইজারা বাতিল-ভোলায় উপদেষ্টা সাখাওয়াত কৃতি ফিরোজীকে বাঁচাতে সাভারে চ্যারিটি কনসার্ট আওয়ামী লীগের সাথে দ্বন্দ্ব নাই, যারা অন্যায় করেছে তাদের বিচার চাই-আব্দুল আউয়াল মিন্টু জলঢাকায় গণঅধিকার পরিষদের গণসমাবেশ সোনারগাঁওয়ে মাসব্যাপি লোককারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব শুরু শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানে ৮৯তম জন্মদিন উপলক্ষে আগৈলঝাড়া বিএনপি’র উদ্যোগে আনন্দ র‌্যালি পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষতিগ্রস্তুদের অবস্থান কর্মসূচি জামালপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির আয়োজনে দুস্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ ভুট্টা চাষে দেশের শীর্ষে চুয়াডাঙ্গা: ৫৯,৬৫৬ হেক্টর জমিতে আবাদ

বিদ্যুৎ বিপর্যয় ‘সরকারের দায়িত্বহীনতায়’- মির্জা ফখরুল

শাহ্জাহান সাজু:
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২২

সারাদেশে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের জন্য সরকারের দায়িত্বহীনতাকে দায়ী করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল বুধবার (৫ অক্টোবর) মুহাম্মদপুরে সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবার হাসান মাহমুদ টুকুর বাসভবনে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, সরকারের কোথাও জবাবদিহিতা নেই। দায়িত্বশীলতার অভাব। এর জন্য দায়ি সরকারের অপরিকল্পিতভাবে প্রজেক্ট গ্রহণ করা, উন্নয়নের কথা বলা। শুধু অপরিকল্পিত নয়, একটা লক্ষ্য আছে- দুর্নীতি করা। সেই দুর্নীতির মাধ্যমে.. উন্নয়নের কথা বলে কাজ গুলো করে মানুষকে দুর্ভোগে ফেলেছে।’ মঙ্গলবার ২টা ৫ মিনিটে একযোগে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এতে রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও সিলেট অঞ্চলের বিস্তৃত এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। প্রায় ৮ ঘণ্টা পরে রাতে ধীরে ধীরে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্ব ‘‘ এই যে লুটপাট করার জন্য যে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তিকে পাওয়ার স্টেশন দিয়েছে, সেই পাওয়ার স্টেশনের স্পেসিফিকেশনগুলো কি, প্রসিডিউরগুলো কি, এটা একটার সাথে আরেকটা ম্যাচ করবে কিনা এসব বিবেচনা করে নাই। না করার ফলে আমরা দেখলাম যে, ৮ ঘন্টা বিদ্যুত নাই। একটা দেশে ৮ ঘন্টা বিদ্যুত না থাকলে কত ওয়ার্ক আউট নষ্ট হয়, কত প্রডাকশন নষ্ট হয় এটা আপনারা সাংবাদিকরা বুঝতে পারছেন।”

তার দল বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বিদ্যুত খাতের উন্নয়ন কিভাবে করবে জানতে চাইলে টুকু বলেন, ‘‘ আমরা একবারে প্রাইভেটাইজেশন জেনারেন করা যাবে না। করলে সাধারণ মানুষের জন্য প্রাইজ করা কঠিন হয়ে যাবে। আমরা মিক্সড করবো।” ‘‘ আমাদের যে পলিসি ছিলো ৩০% বেসরকারি এবং ৬০% সরকারে থাকবে- এভাবে আমরা বিদ্যুতের উন্নয়ন করবো। এই উন্নয়নের সাথে সাথে ট্রান্সমিশন ও ডিসট্রিবিউশটাও সমন্বয় করে করব। যাতে সমস্যা না হয়।” স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘‘ আওয়ামী মডেল অব ইকোনমী- এটা(জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুত বিপর্যয়) তার প্রতিফলন। তারা করেছে কী? দুর্নীতির জন্য একচেটিয়া কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট দিয়েছে যত তাড়াতাড়ি টাকা বানানো যায়।কিন্তু এগুলোর ট্রান্সমিশন,ডিসট্রিবিউশনের যে সিনকোনাইজেশন তারা সেটা করে নাই। কারণ সেদিকে তারা মনোযোগ দেয় নাই। এখান টাকা বেশি আছে বলেই।”
‘‘ সবচেয়ে বড় দূঃখের বিষয় হচ্ছে এই সব পারমিশন কিন্তু আনসোলিসিটেড। এগুলোর টেন্ডার হয় নাই।তাদের(সরকার) নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তিকে দেয়া হয়েছে। আইনও করা হয়েছে যে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলাও করা যাবে না এবং তাদেরকে সমস্ত সুযোগ-সুবিধাসহ ফিক্সড চার্জসহ নিয়মিত পয়সা দিচ্ছে জনগনকে আজকে তার মূল্য দিচ্ছে।”
‘এই সরকার এখন বোঝা’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ সবচেয়ে বড় জিনিস যেটা যে, কোথাও তো কোনো জবাবদিহিতা নাই। দেয়ার ইজ নট ইলেক্টেড পার্লামেন্ট। আপনি যে প্রশ্ন করবেন, কোথাও যে জবাব চাইবে সেই জবাবটাও চাইতে পারছেন না। যেহেতু এই সরকারের কোনো রকমের জনগনের প্রতি তাদের কোনো দায় নেই, দায়িত্বশীলতার ব্যাপার নেই। প্রতিটি ক্ষেত্রে দেখবেন এই ঘটনাগুলো ঘটছে এবং এই ঘটনাটা(জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়) তারই একটা প্রমাণ যে, তাদের দায়িত্বশীলতার অভাব এবং তাদের জবাবদিহিতার অভাবের কারণে এই ঘটনা ঘটছে।”
‘‘ সেই কারণে কিন্তু আমরা বার বার করে বলছি যে, এই সরকার এখন একটা বারডেন হয়ে গেছে দেশের উপরে, এটা একটা বোঝা হয়ে দাঁড়িয়ে গেছে। এই সরকারকে না সরালে এই জাতির অস্তিত্বই টিকে থাকা মুশকিল হবে।” তিনি বলেন, ‘‘ এখান থেকে মুক্তি পাওয়ার একটাই রাস্তা যে, দে মাস্ট রিজাইন এবং একই সঙ্গে একটা কেয়ারটেকারের অধীনে একটা নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। এছাড়া এর কোনো বিকল্প পথ নেই।”
‘‘ তাহলেই শুধুমাত্র এই ভয়াবহ যে একটা ঘাত তৈরি করেছে, ভিসাচ সার্কেল তৈরি করেছে, দুষ্ট চক্র তৈরি করেছে লুটপাট করে যাওয়ার। যেটা আমার সব সময় মনে হয় যে, বর্গীদের মতো অবস্থা হয়ে গেছে বাংলাদেশে। যে বর্গী এসে যেমন লুট করে নিয়ে চলে যেতো ঠিক একই ভাবে আওয়ামী লীগ আজকে লুট করছে, লুট করে পাচার করছে, হাজার হাজার কোটি টাকা তারা পাচার করছে সেই একটা অবস্থায় তারা দেশকে নিয়ে এসছে।”
‘তথ্য উপরিকাঠামোর ঘোষণা ভয়াবহ নিয়ন্ত্রণ’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ এটা ভয়াবহ ব্যাপার। এখানে আমরা যেটা বলছি যে, কর্তৃত্ববাদী এই সরকার, তার যে বর্হিপ্রকাশ, তারা যে আরো নিয়ন্ত্রণের দিকে যাচ্ছে, পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করবে, দেশের মানুষকে বঞ্চিত করবে সমস্ত তথ্য পাওয়া থেকে এটা তারই বর্হিপ্রকাশ। এখন আর কোনো ফাঁক ফোকর রইল না। ‘‘ আমরা এই সার্কুলারের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং এটা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।”




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com