বজ্রপাত প্রতিরোধে ৫ শত তালবীজ বপন করার ব্যতিক্রমী উদ্যেগ হাতে নিয়ে রুপসী শেরপুর নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। যার ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (৭ অক্টোবর) দুপুর থেকে শনিবার (৮ অক্টোবর পর্যন্ত) শেরপুরের ৫ টি উপজেলায় বপন করা হবে ৫ শত তালবীজ। বাংলাদেশের কয়েকটি বজ্রপ্রবন জেলার মধ্যে শেরপুর একটি অধিক বজ্রপ্রবন জেলা। পরিসংখ্যান বলছে, প্রতিবছর শেরপুর জেলায় বর্ষার আগে মধ্যে এপ্রিল এবং জুন এই সময়টিতে ঘন ঘন বজ্রপাত হয়। এছাড়া বর্ষায় মৌসুমি ভারি বৃষ্টি শুরু হওয়ার সময়েও ৭০ শতাংশ বজ্র আঘাত হানে। আর এসব বজ্রপাতে শেরপুরে প্রতিবছর প্রাণ হারায় ১০ থেকে ১২ জন মানুষ। যাদের মধ্যে মৃত্যুর তালিকায় ৮০ শতাংশই কৃষক। কারণ এসময়ে কৃষকেরা মাঠে কৃষি আবাদে কাজ করে থাকেন। এবিষয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী সবুজ জানান, বড় বড় যে কোন গাছ বজ্রপাত টেনে নিতে সক্ষম। এর মধ্যে তালগাছ অন্যতম। যার ফলে প্রাণহানি কম ঘটে। রপসী শেরপুরকে ধন্যবাদ জানাই, তারা আমাদের গ্রামে এসে তালবীজ বপন করেছে। সংগঠনটির উপদেষ্টা মোহাস্মদ আবু সাঈদ বলেন, যেহেতু শেরপুর জেলা একটি বজ্রপ্রবন এলাকা। তাই রপসী শেরপুর বজ্রপ্রতিরোধে যে ৫০০ শত তালবীজ বপনের উদ্যেগ গ্রহন করেছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় কাজ। আশা করি জেলার অন্যানো সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও যেন এই মহৎ কাজে এগিয়ে আসে। রুপসী শেরপুর স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিষ্ঠতা সভাপতি রুবেল মৃধা জানান, এই সংগঠনটি প্রতিনিয়ত স্বেচ্ছাশ্রম ও সামাজিক কাজ করছে। ইতিমধ্যে আমরা শেরপুর জেলার বিভিন্ন ওয়ার্ড, গ্রাম ও ইউনিয়নে ফলজ ও বনজ চারা রোপন করেছি। এরই ধারাবাহিকতায় বজ্র প্রতিরোধে শেরপুরের ৫ টি উপজেলায় মোট ১ শত করে ৫ শত তালবীজ বপন করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করি। এবিষয়ে সংগঠনটির উপদেষ্টা আবুল কালাম আজাদ বলেন, তাল গাছ বজ্রপ্রতিরোধে ব্যাপকভাবে ভূমিকা রাখে। আগে গ্রামগঞ্জ ও শহরেও বড় বড় তালগাছ ছিল। কিন্তু এখন তালগাছের সংখ্যা আশংকাজনক হারে কমে গেছে। এখন তালের বীজ লাগালে বহু বছর ধরে তার ফল পাওয়া যায়। পাশাপাশি বজ্রপ্রতিরোধক হিসেবেও কাজ করে।