বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরিপূর্ণ অনুসরণের মাধ্যমেই কেবল একটা ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র বা একটি ইসলামী সমাজ কায়েম হতে পারে। কারণ নবী মুহাম্মদ সা: তার দীর্ঘ ২৩ বছরের সংগ্রামী জীবনের মাধ্যমে সে উদাহরণ সৃষ্টি করে গেছেন।
শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ মহানগরী শাখার উদ্যোগে সিরাতুন্নবী সা: উপলক্ষে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ মহানগরী আমির মঈনুদ্দিন আহমাদের সভাপতিত্বে এবং মহানগরী সেক্রেটারি মাওলানা আবু রাকিবের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য এবং ঢাকা অঞ্চল দক্ষিণের পরিচালক সাইফুল আলম খান মিলন, কেন্দ্রীয় মজলিস শূরার সদস্য এবং নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর নায়েবে আমির মুহাম্মদ আবদুল জব্বার, কেন্দ্রীয় মজলিস শূরার সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলার আমীর মমিনুল হক, ঢাকা জেলা দক্ষিণের আমির মো: দেলোয়ার হোসাইন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও নরসিংদী জেলার আমির মাওলানা মুসলেহ উদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিস শূরার সদস্য ও মুন্সিগঞ্জ জেলা আমির অধ্যাপক আ জ ম রুহুল কুদ্দুস, মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি আবদুল্লাহ রোদোয়ান, মাওলানা আবু আবদুল্লাহ আল জাবের, মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য এম এইচ ফারুক, মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা শাহাবুদ্দিন আহমদ, মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, নারায়ণগঞ্জ পূর্ব থানার আমির হাফেজ মাওলানা আবু নাফিস এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও ছাত্রশিবির নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি শফিউল্লাহসহ মহানগরীর অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
আমিরে জামায়াত বলেন, ‘রাসূলের আচরণ দ্বারা দুনিয়ার কোনো মানুষ কষ্ট পায়নি। কেউ কোনোদিন দুঃখ পায়নি। কোনো মানুষ লেনদেন করে ঠকেনি। কেউ প্রতারণার শিকার হয়নি। যার পরিণতিতে ২৩ বছরের মধ্যেই তিনি একটি সোনালী সমাজ উপহার দিতে পেরেছিলেন।
তিনি বলেন, আজও যদি আমরা আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সকল নির্দেশনা রাসূলের মতো করে অনুসরণ করতে পারি এবং দ্বীন প্রতিষ্ঠায় যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারি তাহলে স্বল্প সময়ে দেশের মানুষ সেই সোনালী সমাজ উপভোগ করতে পারবে যেখানে কোনো অন্যায় থাকবে না, অবিচার থাকবে না, জুলুম থাকবে না, নিষ্পেষণ থাকবে না, নির্যাতন থাকবে না, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস থাকবে না এবং মানুষের মধ্যে ধনী-দরিদ্র উঁচু-নিচু আমির-ফকির কোনো ভেদাভেদ থাকবে না।’
তাই সকলকে রাসূল সা:-এর আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য যথাযথ ভূমিকা পালনের উদাত্ত আহ্বান জানান আমিরে জামায়াত।
সাইফুল আলম খান মিলন বলেন, “বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ১০০ জন ব্যক্তিকে নিয়ে ‘দ্যা হান্ড্রেড’ বইটি একজন অমুসলিম মাইকেল এইচ. হার্ট লিখেছিলেন। সেই বইয়ের এক নম্বরে নবী মোহাম্মদ সা:-এর নাম রাখার বিষয়ে লেখককে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছিলেন, মাত্র ২৩ বছরের সংগ্রামী জীবনে নবী মোহাম্মদ সা: এক নতুন আদর্শের মাধ্যমে পৃথিবীর গতি পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছিলেন।”
বাংলাদেশ ইসলামী শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার বলেন, ‘সকল মতাদর্শের উপর দ্বীনে হককে বিজয়ী করার জন্য যুগে যুগে নবী-রাসূলকে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা প্রেরণ করেছেন। কিন্তু আমাদের সমাজের এক শ্রেণীর মানুষ রাসূলের কিছু কিছু সুন্নতকে বড় করে প্রচার করে এবং শুধু সেগুলোই আমল করে রাসূলের প্রেমিক সাজতে চায় আর মানুষের গোটা জিন্দেগিকে বিজাতীয় কালচার দ্বারা পরিচালিত করে মানুষকে সেই দ্বীনে হক থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।’