নির্বাচনের আগে সরকারের পদত্যাগ দাবি করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি বলেছেন, গাইবান্ধা উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কিভাবে ভোট চুরি করেছে, সিসিটিভিতে সেটা দেখা গেছে। দলীয় সরকারের অধীনে ইভিএম-ব্যালট কোনো ব্যবস্থাতেই সুষ্ঠু, অবাধ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই নির্বাচনের আগে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগর সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির ঢাকা মহানগরের সভাপতি আকবর খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা বহ্নি শিখা জামালী, অরবিন্দু ব্যাপারী বিন্দু, আবুল কালাম আজাদ, মোফাজ্জল হোসেন মোস্তাক, ড. শামসুল হক প্রমুখ। এ ছাড়া সম্মেলনে সংহতি বক্তব্য রাখেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এপোলো জামালী, শ্রমিক নেতা অরবিন্দু বেপারি বিন্দু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতা ইমরান ঈমন, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, কৃষক নেতা সিকদার হারুন মাহমুদ, শ্রমিক নেতা মোহাম্মদ রিয়েল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বলেন, সরকার আজ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কথা বলে। প্রধানমন্ত্রী ১৮ দিন বিদেশ থেকে আসার পর যে বক্তব্য দিচ্ছেন, তা শুনে মানুষের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। তিনি বলেছেন, আগামী বছর নাকি দুর্ভিক্ষ হবে। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যে সিন্ডিকেট, মজুতদার ব্যবসায়ীরা এখন আরো মজুত করবে। যা জনজীবনে সংকট আরো বাড়িয়ে দেবে। তিনি দুর্ভিক্ষের আগেই এই সরকারকে বিদায় দিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। বাজারের আগুণে কোটি-কোটি মানুষ পুড়ে মরছে উল্লেখ করে সাইফুল হক বলেন, বাজারে গেলে দেশে সরকার আছে বলে মনে হয় না। বাজারে টাকা দিলেই পণ্য পাচ্ছেন। অর্থাৎ আমাদের উৎপাদন ঠিক আছে। সমস্যাটা হলো মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। গত ৮ মাসে ৪০-৫০ লাখ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমেছে। তিনি দেশ ও জনগণকে রক্ষায় রাজপথে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন জোরদার করার ডাক দেন।
উদ্বোধনী সমাবেশের পর লাল পতাকা সম্বলিত একটি বর্ণাঢ্য মিছিল তোপখানা রোড বিজয়নগর, সেগুনবাগিচা প্রদক্ষিণ করে পার্টি অফিসে গিয়ে শেষ হয়। বিকেলে সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশন শুরু হয়েছে।