বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৭ অপরাহ্ন

শরীয়তপুরে মা-ইলিশ বেচাকেনা বন্ধে অভিযানে গিয়ে হামলার শিকার সখিপুর থানা পুলিশ

মঞ্জুরুল ইসলাম রনি শরীয়তপুর :
  • আপডেট সময় বুধবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২২

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার দুলার চরে ইলিশ বেচাকেনা বন্ধে অভিযানে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন সখিপুর থানা পুলিশের একটি অভিযানিক দল। শনিবার (১৫ অক্টোবর) দিনগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে দুলারচরে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫/২০ জনকে আসামী করে সখিপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আসামীরা হলেন, সখিপুর থানার দুলারচর গ্রামের শফি দেওয়ান(৪৫), পাপ্পু হাওলাদার(২০), মালেক বেপারী(২৩), জিয়াউল বেপারী(৩০), সিরাজ মন্দি(৪৫), খোকন দেওয়ান(৫০), চরমোহন গ্রামের রবিন বাঘা(২৫), বোরকাঠি গ্রামের তানভীর দেওয়ান(২২), সোনা মিয়া দেওয়ান(৪৮), ফজলুল হক দেওয়ান(৪৫), চরজিংকিং গ্রামের নূরে আলম মোল্লা(২১), চরমোহন গ্রামের মোজাম্মেল বাঘা(৫৫) ও মনির সরকার(৪০)। পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, প্রজনন মৌসুমে সরকার কর্তৃক মা ইলিশ ক্রয় বিক্রয়, পরিবহন, সংরক্ষণ নিষেধ থাকা সত্ত্বেও শফি দেওয়ানের নেতৃত্বে কতিপয় অসাধু লোকজন দুলারচরে অবৈধভাবে মা ইলিশ পরিবহন ও ক্রয় বিক্রয় করে আসছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার (১৫ অক্টোবর) রাতে সখিপুর থানা পুলিশের একটি দল মা ইলিশ পরিবহন ও ক্রয় বিক্রয় বন্ধে দুলারচরে অভিযান চালায়। অভিযানকালে শফি দেওয়ানের নেতৃত্বে আসামীরা পুলিশের ওপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। হামলায় সখিপুর থানার এএসআই নূরে আলম ও কনস্টেবল মাসুদ রানা গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় এএসআই নূরে আলম বাদী হয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে সখিপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসাদুজ্জামান হাওলাদার বলেন, আসামীদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। গত ৭ থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ শিকার, পরিবহন, সংরক্ষণ ও ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করেছে সরকার।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com