উল্লাপাড়ার সলঙ্গা ইউনিয়নের চরবেড়া গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া জপঝপিয়া (গাঢ়দহ) নদী। সারা বছরই এ নদীতে পানি থাকে। এর মধ্যে বর্ষাকালসহ আরো কয়েক মাস নদীটি পানিতে ভরপুর থাকে। নদীর দুই পারের প্রায় গ্রামের শতশত মানুষের পারাপার হতে হয় চড়বেড়া খেয়াঘাটের একটি ঝুকি পুর্ণ বাঁশের সাকো দিয়ে। সারাবছর পারাপার দুর্ভোগ পোহাতে হয় নদী পারের মানুষের। দুটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ শত শত মানুষের যাতায়াতের একমাত্র পথ এটি। এলাকাবাসী দুর্ভোগ লাঘবে দীর্ঘদিন ধরে একটি সেতু নির্মানের দাবী জানিয়ে আসছে। নদীর পশ্চিম পারের চড়বেড়া, নাইমুড়ি, সাতটিকরি, পুরানবেড়া, বড়গোজা, আঙ্গারু, রানিনগর, জগজিবনপুর, তেলপুকি পুর্বপারে বয়েছে বড়গোজা, দিয়ারপাড়া, মাছুয়াকান্দি, ছোটগোজা, বড়মোহনী, মানিকদিয়া তেলকুপি পুর্বপাড়া সহ ১৫টি গ্রামের মানুষ এখান দিয়ে পারাপার হয়ে যাতায়াত করে। এছাড়া একেবারে নদী পারে পাশাপাশি অবস্থানে চরবেড়া উচ্চবিদ্যালয় ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। আশপাশের সাতটি গ্রামের শিক্ষার্থীদের সেই আদিকাল থেকে চরবেড়ায় খেয়া ঘাটে নৌকা অথবা বাশেঁর চরাটের সাঁকোয় নিয়মিত নদী পারাপার হতে হয়। নদী পাড়ের বাসিন্দারা জানান, এখানে গ্রামবাসির চাঁদার টাকায় বাঁশের সাকো নির্মাণ করা হয়েছে। বাঁশের সাকোটিও ঝুকিপুর্ণ হয়ে গেছে মাঝেমাঝেই অনেকেই পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। নদীর আশপাশের শতশত মানুষ এই ঝুকিপুর্ণ বাঁশের সাকো দিয়ে পারাপার হতে হয়। এখানে একটি সেতু নির্মাণ না হওয়ায় দুর্ভোগের শেষ নেই তাদের। এলাকাবাসী এখানে একটি সেতু নির্মানের দাবী জানান। সলঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান তালুকদার বলেন, চরবেড়ায় খেয়া ঘাটে একটি সেতু নির্মাণ হলে শতশত মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে। এই গুরুত্বপুর্ণ স্থানটিতে সেতু নির্মাণের বিষয়ে এমপি মহোদয়ের সাথে কথা বলবো। উপজেলা প্রকৌশলী আবু সায়েদ বলেন, ওই স্থানে সেতু নির্মানের বিষয়ে পরিকল্পনা ও প্রস্তাবনা দেওয়া হবে।