বর্তমানে ইন্টারনেটের চাহিদা গ্রাহকদের মাঝে বেড়েই চলেছে। ৩ হাজার ৮৫০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করছে গ্রাহকরা। মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বর্তমানে প্রায় ১০ কোটি ৭৫ লাখ। কিন্তু বিপুল সংখ্যক গ্রাহকের ইন্টারনেট ব্যবহারে দুর্ভোগের শেষ নেই, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় গ্রাহকের ডাটা আছে কিন্তু গতি নাই। গত বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে গ্রাহক স্বার্থ নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশেনর সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, গ্রাহকরা আজ চরমভাবে প্রতারিত হচ্ছে ডাটা ব্যবহার করার ক্ষেত্রে। আমরা যখন অবহেলিত টাকা ফেরত দেয়ার জন্য আবেদন করলাম ডাক ও টেলি যোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার নির্দেশ দিলেন গত আগস্ট থেকে ফেরত দিতে হবে। কিছু কিছু গ্রাহক অবহেলিত ডাটা ফেরত পেলেও অধিকাংশ গ্রাহক তা পাননি। জ্বালানি সংকট ও বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের সাথে সাথে বর্তমান সময়ে ইন্টারনেটের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। নতুন করে ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে- বেশিরভাগ গ্রাহকের ডাটা থাকা সত্ত্বেও গতি না থাকার কারণে গ্রাহক চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
বাংলালিংকের একজন গ্রাহক আমাদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, গত ২৩ সেপ্টম্বর ৩৯৯ টাকায় ২৫ জিবি ডাটা কিনে মোবাইলে ফেসবুক চালানো বা হোয়াটসঅ্যাপ কলে কথা বলতে গিয়েও গতি পান না। একইভাবে চলতি মাসেও একই পরিমাণ ডাটা কিনে চার দিন ব্যবহার করার পর দেখেন এখন আর ব্যবহার করতে পারছেন না।
২৫ জিবি ডাটা থাকার পরও গতি একেবারে কম। একই অবস্থা আরও বেশ কিছু গ্রাহকের ক্ষেত্রেও। গ্রাহকের ভোগান্তির বিষয়টি নিয়ে বাংলালিংক কর্তৃপক্ষের সাথে আমি নিজেও যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি কিন্তু যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হয়েছি। তারা ফোন রিসিভ করেনি। ২০১৭ সাল থেকে জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তরে টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তিগত অভিযোগ গ্রহণ করছে না। বিটিআরসির কাছে হাজার হাজার অভিযোগ থাকলেও নিষ্পত্তি করতে কমিশন ব্যর্থ হয় গ্রাহকদের কমিশনের প্রতি আস্থা কমে গেছে। এ অবস্থায় গ্রাহকরা তাদের অভিযোগ নিয়ে যাবে কোথায়? মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, এখন আমরা গ্রাহক অধিকার নিয়ে কাজ করি। আমরাও আছি মহাবিপদে। আমরা তাই গ্রাহক স্বার্থ রক্ষায় ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রী এবং তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।