ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে উঠতে প্রতিবেশী রাস্তায় বেড়া দেয়ায় চলাচল করতে না পেরে প্রায় সহস্রাধিক মানুষ গৃহবন্দী পড়েছেন। ফলে দুই মাস ধরে গৃহবন্দি হয়ে পরেছেন। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী পরিবাররা সোহেল মাদবরের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর রোববার (৬নভেম্বর) একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের সত্যতা যাছাই বাছাই করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইউপি চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব প্রদান করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। চরম মানবেতর জীবন যাপন করছে ৩ শত পরিবার। রোববার (০৬ নভেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা মাওয়া মহাসড়ক থেকে দক্ষিন উমপাড়া জামে মসজিদে যাতায়াতের রাস্তা থেকে সাদেক মাদবরের বাড়ী পূর্ব পাশ দিয়ে রাস্তাটি ঋষিপাড়া রাস্তায় মিশছে। দীর্ঘদিনের জনচলাচলের এই রাস্তায় গত মাস দুই যাবৎ সোহেল মাদবর তার বাড়ীর সামনে টিনের বেড়া দিয়ে আটকিয়ে রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছেন। গত দুই মাস যাবৎ ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের দক্ষিন উমপাড়া অংশে জনচলাচলের এই রাস্তায় বেড়া দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ঐ এলাকার সাদেক মাদবরের ছেলে সোহেল মাদবরের বিরুদ্ধে। রাস্তার মাঝখানে টিনের বেড়া দিয়ে আটকিয়ে দেয়ায় ৩শত পরিবারের প্রায় সহস্রাধিক লোক চলাচল করতে না পেরে গৃহবন্দি হয়ে পড়েছেন। ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর পক্ষে শেখ নুর মোহাম্মদ ও সুমন রানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জন্মের অনেক পূর্ব থেকে তাদের পরিবার ও অন্যান্য পরিবারসহ সমাজের লোকজন দক্ষিন উমপাড়া গ্রামের এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে আসছে। গত দুই মাস যাবৎ ঐ এলাকার সোহেল মাদবর তার বাড়ির সামনে ও পিছনে জোড় পূর্বক টিনের বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। রাস্তা বন্ধ করে দেয়ার ফলে ৩শ পরিবারের কোমলমতি ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা স্কুলে যেতে পাচ্ছে না। অসুস্থ কোন রোগী হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারছে না। এমনকি বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধিসহ সমাজের কোন মুসল্লি চলাচল করতে না পেরে অন্য সমাজের মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করছেন বলেও স্থানীয়রা জানিয়েছেন। ঋষিপাড়ার স্থানীয় বাসিন্দা অনিল দাস জানান, এই রাস্তা দিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ আমরা ঢাকা মাওয়া মহাসড়কে গিয়ে উঠি। সোহেল মাদবর রাস্তায় বেড়া দেয়া এই রাস্তায় এখন আমরা কেউ চলাচল করতে পারছি না। স্থানীয় মুসল্লি মোবারক জানান, রাস্তা বন্ধ করে দেয়ায় আমাদের সমাজের মুসল্লিরা নিজের মসজিদে নামাজ পড়তে যেতে না পেরে অন্য সমাজের মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করতে হয়। আমরা খুব বিপাকে পড়ে গেছি। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সোহেল মাদবর এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই রাস্তায় আমার পরিবার প্রায় ৬শতাংশ জমি দিয়েছে। ওরা যতক্ষনে না এই রাস্তায় উঠবে তার চেয়ে কম সময়ে উত্তরপাশের রাস্তায় যেতে পারে। রাস্তায় টিনের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেয়ার প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার জমির উপর দিয়ে রাস্তা নিতে হলে আমার কাছ থেকে ভালভাবে বলে নিতে হবে। বকাবকি করলে আমি রাস্তা দিব না। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ হোসেন পাটওয়ারী বলেন, ইতিমধ্যে এই বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দিয়েছি। তিনি বিষয়টি যাচাই বাচাই করে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।