বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫১ অপরাহ্ন

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ নানা সঙ্কটে জলঢাকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

রিয়াদ ইসলাম জলঢাকা :
  • আপডেট সময় রবিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২২

লোকবল, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও যন্ত্রপাতি সঙ্কটে নীলফামারী জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এসব সংকটে প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগে পড়ছেন উপজেলার রোগীরা।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর তথ্য অনুযায়ী পূর্বে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি থাকলেও ২০১১ সালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যা বিশিষ্ট করা হয়।কাগজে কলমে শয্যা বৃদ্ধি করা হলেও বাড়েনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সংখ্যা। যে কারণে পরিবর্তন হয়নি সেবার মান।ফলে শয্যা বৃদ্ধি করা হলেও হাসপাতালের প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় উপজেলার ৪ লক্ষাধিক মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে কাঙ্খিত সেবা থেকে। এ ৫০ সয্যা হাসপাতালটিতে জনবল নিয়োগ থাকার কথা ১শত ৯৭জন। ১শত ৯৭ জন পদের আদলে রয়েছে মাত্র ১৩৮জন জনবল। উল্লখ্য যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর জনবল ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে।হাসপাতালটিতে জনবল সংকটের যে সমস্যা এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশের যে সমস্যা রয়েছে তা উত্তরনে সরকার সহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সহ সূধী সমাজের ব্যক্তিবর্গরা। প্রয়োজনীয় জনবল ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির যথাযথ ব্যবহার ও সংস্করণের অভাবে পরে থাকা পর্যাপ্ত কক্ষের সংকটে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে স্বাস্থ্যসেবা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সর্বক্ষণ নাগরিক স্বাস্থ্যসেবার মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নে মোক্ষম ভুমিকা রাখলেও উপরোক্ত কারন সমুহের কারনে স্বাস্থ্য সেবা ঝিমিয়ে পরেছে। বিশেষত প্রয়োজনীয় জনবল এবং পদায়ন অনুযায়ী বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সংকট প্রকট। ফলে জরুরী ভিত্তিতে যে সকল রোগী চিকিৎসাসেবা নিতে হাসপাতালে আসেন তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করার পরামর্শ ছাড়া আর কিছুই করার ক্ষমতা থাকে না কর্তব্যরত চিকিৎসকের। অন্যদিকে লালমনিরহাট জেলাসহ পার্শবতী ডোমার-ডিমলা ও নীলফামারী জেলার মধ্যবর্তী স্থানে এ হাসপাতালটি হওয়ায় রোগীর চাপ ও বেশ বেশি। এ জন্য হাসপাতালটিতে বিভিন্ন স্বাস্থ্যজনীত কারনে রুগীর পদচারণ থাকে সর্বক্ষন। চিকিৎসা ও প্রযুক্তিবিদ মোঃ রাশেদুল ইসলামের সাথে দৈনিক খবর পত্রের একান্ত সাক্ষাৎকারে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.রেজওয়ানুল কবীর ও সরকারের সকল ধরনের নাগরিক সুবিধা প্রদানের আশ্বস্ত করে বলেন, বিভিন্ন প্রতিকুলতার মধ্যেও সরকার কর্তৃক যখন যাহা নির্দেশনা আসে তখন সেটি যথাযথ বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা হয়। তিনি আরো বলেন অন্তঃ বিভাগে প্রতিদিন ১শত জনের অধিক রোগী সেবা নেন এবং বহিঃ বিভাগে প্রতিদিন ৫শত থেকে ৬শত রোগী সেবা গ্রহণ করে থাকেন। এছাড়া প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান যেমন, মা ও শিশুর ভ্যাকসিন, যক্ষা ও কুষ্ঠ রোগীর সেবা প্রদান, মহিলা রোগিদের স্তন এবং জরায়ুর সমস্যা, সক্রমিত রোগীসহ জরুরী বিভাগে ২৪ ঘন্টা চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। এছাড়া এক্সরে ও আলট্রাসনোগ্রাম অকেজো ইসিজি মেশিন আছে কিন্তু টেকনিশিয়ান নেই, একটি নেবুলাইজার মেশিন থাকলেও প্রায় সময় সেটি অকেজো হয়ে পরে থাকে সেই সঙ্গে কনসালটেন্ট ডাক্তার নেই। টেকনিশিয়ান ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় বাহির থেকে এক্সেরে করানো হচ্ছে। ইমারজেন্সি হার্টের সমস্যা জনিত কারণে কোন রোগী আসলে বাহির থেকে ইসিজি মেশিন এনে ইসিজি করা হয়। বাংলাদেশেই সুচিকিৎসা সম্ভব মন্তব্য করে ডাঃ রেজওয়ানুল কবীর বলেন, ৫০ শয্যার হাসপাতালে অনেক সময় ৭০-৮০ জন রোগীকে ভর্তি করতে হয়। অন্যদিকে আউটডোরে প্রতিদিন রোগীর চাপ তো আছেই। উপজেলার বাইরের লালমনিরহাট জেলাসহ পার্শবতী ডোমার-ডিমলা ও নীলফামারী জেলার মধ্যবর্তী স্থান হাসপাতালটি হওয়ায় রোগীর চাপ ও বেশ বেশি। তবে জনবল সংকট, চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রে চিকিৎসক পদ থাকলে ও পদে পদায়নের অভাব, জেনারেল বিশেষজ্ঞ সার্জারী ডাক্তারের শুন্যতার কারনে সিজারিয়ান সেকশন ও সিজার জেনারেল সার্জারী বন্ধ রয়েছে। তাছাড়া হাসপাতালে পর্যান্ত নিরাপত্তার অভাব ও স্থানীয় কিছু দালালসহ ছিটকে চোরদের উপদ্রব বৃদ্ধি পাওয়ায় কিছুটা সমস্যার ও সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এ সব বিষয় সমাধানের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকের নিকট লিখিত ভাবে জানান হয়েছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com