বাংলাদেশে দ্রুত বাড়ছে প্রবীণের সংখ্যা। এটি একটি বড় সমস্যা হয়ে উঠেছে। এর ফলে আস্তে আস্তে স্বাস্থ্যসেবা, পারিবারিক সম্পর্ক এবং সামাজিক নিরাপত্তার মতো ইস্যুতে বৃদ্ধি পাচ্ছে চ্যালেঞ্জ। এ কথা বলেছেন বয়স্ক মানুষদের সব রকম মানবাধিকার উপভোগ বিষয়ক জাতিসংঘের নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞ ক্লাইডিয়া মাহলার। এ ইস্যুটির মূল্যায়ন করতে তিনি ৭ নভেম্বর থেকে ১৭ই নভেম্বর বাংলাদেশ সফর করছেন। তিনি বলেছেন, ২০১৯ সালের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে কমপক্ষে এক কোটি ৩০ লাখ মানুষ আছেন, যাদের বয়স ৬০ বছরের ওপরে। তারা মোট জনসংখ্যার শতকরা ৮ ভাগ। এসব দ্রুত বর্ধনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য তৈরি করা হয়েছে বয়স্ক ব্যক্তি ও পিতামাতার রক্ষণাবেক্ষণ আইন, ২০১৩। ক্লাউডিয়া মাহলার বলেন, এই নীতি ও আইনের বাস্তবায়ন সম্পর্কে আমি আরও জানতে চাই। এ খবর দিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনারের অফিস।
তাদের সাইটে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সামাজিক নিরাপত্তা ও সুরক্ষা, বয়সভিত্তিক বৈষম্য ও প্রবীণ, প্রবীণ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সহিংসতা ও নির্যাতন, তাদের জীবনধারণের অবস্থা, বাসস্থানের ব্যবস্থা, পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবার সুবিধা, শ্রমশক্তি-প্রকাশ্য ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণের বিষয়গুলো মূল্যায়ন করবেন জাতিসংঘের এই বিশেষজ্ঞ।
জলবায়ু পরিবর্তন এবং জোরপূর্বক উচ্ছেদ সংক্রান্ত জরুরি অবস্থা সহ বিশেষ মানবাধিকারের বিষয়গুলোও তিনি ফোকাস করবেন। বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে তিনি বাংলাদেশ সফর করছেন। এ সময়ে ঢাকা রংপুর এবং চট্টগ্রামে সরকারের প্রতিনিধি, জাতিসংঘের উপস্থিতি, নাগরিক সমাজের সংগঠনের সঙ্গে প্রবীণ ব্যক্তি, শিক্ষাবিদ এবং প্রবীণদের সঙ্গে তিনি আলোচনা করবেন। তার সফরের শেষে ১৭ই নভেম্বর স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টায় প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করার কথা রয়েছে। এ সময়ে তার প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ শেয়ার করবেন। মিডিয়া ও সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার কঠোরভাবে সীমিত রাখা হবে। এ বিষয়ে তিনি ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে মানবাধিকার কাউন্সিলের কান্ট্রি রিপোর্টে তিনি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট প্রকাশ করবেন।